সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

নৈপুণ্য অ্যাপ: ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য ও জন্ম নিবন্ধনের নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১২:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯৭ Time View

NOIPUNNA

 নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর নৈপুণ্য অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ব্যবহৃত হতো। এই অ্যাপটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা নেই। তবে, এতে এক কোটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, স্কুল, জন্মনিবন্ধন এবং অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর। অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না, ফলে কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকা অ্যাপটির তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, এবং এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদদের ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, অ্যাপটি এসপ্যায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) তৈরি করেছে এবং এটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। যদি এনসিটিবি অ্যাপটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়, তবে তারা ব্যবস্থা নেবেন, নইলে এটি সম্ভবত মুছে ফেলা হবে। তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের কোন কার্যকরী ফাংশন নেই এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও তারা অনুভব করছেন না।

জানা গেছে, ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অর্ধকোটি টাকা খরচ করে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তবে, মধ্যপথে কারিকুলামের পরিবর্তনের কারণে অ্যাপটির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষকরা জানান, পরীক্ষাহীন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হতো। অ্যাপটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা সম্ভব ছিল। আরও বলা হয়, ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের বিভিন্ন নির্দেশনা সংরক্ষণ করা হতো, যা দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতেন।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির জানান, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হত এবং শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা অ্যাপের মধ্যে ছিল।

এনসিটিবির সাবেক সদস্য মশিউজ্জামান মনে করেন, কোচিং ব্যবসার কারণে অ্যাপটি বিরোধিতার মুখে পড়েছিল। তিনি বলেন, “অ্যাপটি কার্যকর ছিল, তবে ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”

২০২৪ সালে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির জন্য নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়। এই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন অ্যাপটিতে ইনপুট করা হয়। ষাণ্মাসিক মূল্যায়নেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পরবর্তী পরীক্ষাগুলি স্থগিত করা হয়।

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, “অ্যাপটির কার্যকারিতা এবং ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে এটি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।”

অন্যদিকে, এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য, জন্ম নিবন্ধনের নম্বর, অভিভাবকের নাম, এনআইডি নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নৈপুণ্য অ্যাপ বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। অ্যাপটির তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ নেই, কারণ যারা এটি পরিচালনা করছেন, তারা দায়িত্বশীল।”

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মো. সাজ্জাদ হোসেন খান জানান, “অ্যাপটি এখন নিষ্ক্রিয়, তবে এর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।”

 

 

 

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর নৈপুণ্য অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ব্যবহৃত হতো। এই অ্যাপটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা নেই। তবে, এতে এক কোটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, স্কুল, জন্মনিবন্ধন এবং অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর। অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না, ফলে কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকা অ্যাপটির তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, এবং এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদদের ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, অ্যাপটি এসপ্যায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) তৈরি করেছে এবং এটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। যদি এনসিটিবি অ্যাপটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়, তবে তারা ব্যবস্থা নেবেন, নইলে এটি সম্ভবত মুছে ফেলা হবে। তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের কোন কার্যকরী ফাংশন নেই এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও তারা অনুভব করছেন না।

জানা গেছে, ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অর্ধকোটি টাকা খরচ করে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তবে, মধ্যপথে কারিকুলামের পরিবর্তনের কারণে অ্যাপটির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষকরা জানান, পরীক্ষাহীন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হতো। অ্যাপটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা সম্ভব ছিল। আরও বলা হয়, ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের বিভিন্ন নির্দেশনা সংরক্ষণ করা হতো, যা দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতেন।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির জানান, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হত এবং শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা অ্যাপের মধ্যে ছিল।

এনসিটিবির সাবেক সদস্য মশিউজ্জামান মনে করেন, কোচিং ব্যবসার কারণে অ্যাপটি বিরোধিতার মুখে পড়েছিল। তিনি বলেন, “অ্যাপটি কার্যকর ছিল, তবে ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”

২০২৪ সালে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির জন্য নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়। এই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন অ্যাপটিতে ইনপুট করা হয়। ষাণ্মাসিক মূল্যায়নেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পরবর্তী পরীক্ষাগুলি স্থগিত করা হয়।

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, “অ্যাপটির কার্যকারিতা এবং ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে এটি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।”

অন্যদিকে, এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য, জন্ম নিবন্ধনের নম্বর, অভিভাবকের নাম, এনআইডি নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নৈপুণ্য অ্যাপ বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। অ্যাপটির তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ নেই, কারণ যারা এটি পরিচালনা করছেন, তারা দায়িত্বশীল।”

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মো. সাজ্জাদ হোসেন খান জানান, “অ্যাপটি এখন নিষ্ক্রিয়, তবে এর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।”

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

নৈপুণ্য অ্যাপ: ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য ও জন্ম নিবন্ধনের নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি

Update Time : ১২:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

 নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর নৈপুণ্য অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ব্যবহৃত হতো। এই অ্যাপটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা নেই। তবে, এতে এক কোটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, স্কুল, জন্মনিবন্ধন এবং অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর। অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না, ফলে কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকা অ্যাপটির তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, এবং এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদদের ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, অ্যাপটি এসপ্যায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) তৈরি করেছে এবং এটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। যদি এনসিটিবি অ্যাপটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়, তবে তারা ব্যবস্থা নেবেন, নইলে এটি সম্ভবত মুছে ফেলা হবে। তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের কোন কার্যকরী ফাংশন নেই এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও তারা অনুভব করছেন না।

জানা গেছে, ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অর্ধকোটি টাকা খরচ করে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তবে, মধ্যপথে কারিকুলামের পরিবর্তনের কারণে অ্যাপটির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষকরা জানান, পরীক্ষাহীন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হতো। অ্যাপটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা সম্ভব ছিল। আরও বলা হয়, ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের বিভিন্ন নির্দেশনা সংরক্ষণ করা হতো, যা দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতেন।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির জানান, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হত এবং শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা অ্যাপের মধ্যে ছিল।

এনসিটিবির সাবেক সদস্য মশিউজ্জামান মনে করেন, কোচিং ব্যবসার কারণে অ্যাপটি বিরোধিতার মুখে পড়েছিল। তিনি বলেন, “অ্যাপটি কার্যকর ছিল, তবে ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”

২০২৪ সালে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির জন্য নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়। এই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন অ্যাপটিতে ইনপুট করা হয়। ষাণ্মাসিক মূল্যায়নেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পরবর্তী পরীক্ষাগুলি স্থগিত করা হয়।

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, “অ্যাপটির কার্যকারিতা এবং ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে এটি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।”

অন্যদিকে, এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য, জন্ম নিবন্ধনের নম্বর, অভিভাবকের নাম, এনআইডি নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নৈপুণ্য অ্যাপ বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। অ্যাপটির তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ নেই, কারণ যারা এটি পরিচালনা করছেন, তারা দায়িত্বশীল।”

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মো. সাজ্জাদ হোসেন খান জানান, “অ্যাপটি এখন নিষ্ক্রিয়, তবে এর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।”

 

 

 

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর নৈপুণ্য অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ব্যবহৃত হতো। এই অ্যাপটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা নেই। তবে, এতে এক কোটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, স্কুল, জন্মনিবন্ধন এবং অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর। অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না, ফলে কোটি শিক্ষার্থীর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকা অ্যাপটির তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, এবং এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদদের ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, অ্যাপটি এসপ্যায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) তৈরি করেছে এবং এটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। যদি এনসিটিবি অ্যাপটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়, তবে তারা ব্যবস্থা নেবেন, নইলে এটি সম্ভবত মুছে ফেলা হবে। তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের কোন কার্যকরী ফাংশন নেই এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও তারা অনুভব করছেন না।

জানা গেছে, ইউনেস্কোর আর্থিক সহায়তায় ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হয়। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অর্ধকোটি টাকা খরচ করে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তবে, মধ্যপথে কারিকুলামের পরিবর্তনের কারণে অ্যাপটির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষকরা জানান, পরীক্ষাহীন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হতো। অ্যাপটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা সম্ভব ছিল। আরও বলা হয়, ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের বিভিন্ন নির্দেশনা সংরক্ষণ করা হতো, যা দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতেন।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির জানান, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হত এবং শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা অ্যাপের মধ্যে ছিল।

এনসিটিবির সাবেক সদস্য মশিউজ্জামান মনে করেন, কোচিং ব্যবসার কারণে অ্যাপটি বিরোধিতার মুখে পড়েছিল। তিনি বলেন, “অ্যাপটি কার্যকর ছিল, তবে ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”

২০২৪ সালে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির জন্য নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়। এই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন অ্যাপটিতে ইনপুট করা হয়। ষাণ্মাসিক মূল্যায়নেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পরবর্তী পরীক্ষাগুলি স্থগিত করা হয়।

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, “অ্যাপটির কার্যকারিতা এবং ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে এটি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।”

অন্যদিকে, এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, নৈপুণ্য অ্যাপের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য রয়েছে, যেমন নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য, জন্ম নিবন্ধনের নম্বর, অভিভাবকের নাম, এনআইডি নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নৈপুণ্য অ্যাপ বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। অ্যাপটির তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ নেই, কারণ যারা এটি পরিচালনা করছেন, তারা দায়িত্বশীল।”

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মো. সাজ্জাদ হোসেন খান জানান, “অ্যাপটি এখন নিষ্ক্রিয়, তবে এর তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।”