তাসনীম জারাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য: সাময়িক বরখাস্ত হলেন মহেশখালীর সরকারি কর্মচারী রেজাউল করিম কাজল

- Update Time : ০৮:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / ৮ Time View
এনসিপি নেত্রী তাসনীম জারাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী রেজাউল করিম কাজলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার (৮ জুলাই) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলী আজগরের স্বাক্ষরিত একটি দপ্তর আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুদর্শন কান্তি দে বলেন, “বুধবার সকালে আমি অফিসিয়াল চিঠি পেয়েছি। তিনি (রেজাউল করিম কাজল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কুরুচিপূর্ণ পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন, যা প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “তাসনীম জারা একজন নাগরিক। তাকে নিয়ে সরকারি কর্মচারী হিসেবে রেজাউল করিম কাজলের এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধির পরিপন্থী। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও এডিট করা ফটোকার্ড ছড়িয়ে তিনি শিষ্টাচার ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় মামলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ৭ জুলাই রাতে পোস্টটি করা হয় এবং তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউএনও, জেলা প্রশাসক এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ইয়ামিন বলেন, “আমরা গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। তবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে একজন সরকারি কর্মচারী যদি রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা লঙ্ঘন করেন, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই বিতর্কিত ফটোকার্ডে বড় করে তাসনীম জারার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবির এক কোণায় প্রধান উপদেষ্টার একটি ছবি রয়েছে, যার চোখে পাকিস্তানের পতাকা বসানো হয়েছে। কার্ডটিতে আরও দেখা যায় এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত কয়েকজন ব্যক্তির ছবি।
এই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলে যেমন নিন্দা জোরালো হয়েছে, তেমনি সামাজিক মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। নীতিমালার বাইরে গিয়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন আচরণ যে বরদাস্ত করা হবে না, তা পরিষ্কার করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিষয়টি এখন বিভাগীয় তদন্তে রয়েছে, যেখানে দোষ প্রমাণিত হলে পরবর্তী সময়ে রেজাউল করিম কাজলের বিরুদ্ধে স্থায়ী বরখাস্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
Please Share This Post in Your Social Media

তাসনীম জারাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য: সাময়িক বরখাস্ত হলেন মহেশখালীর সরকারি কর্মচারী রেজাউল করিম কাজল

এনসিপি নেত্রী তাসনীম জারাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী রেজাউল করিম কাজলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার (৮ জুলাই) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আলী আজগরের স্বাক্ষরিত একটি দপ্তর আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুদর্শন কান্তি দে বলেন, “বুধবার সকালে আমি অফিসিয়াল চিঠি পেয়েছি। তিনি (রেজাউল করিম কাজল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কুরুচিপূর্ণ পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন, যা প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “তাসনীম জারা একজন নাগরিক। তাকে নিয়ে সরকারি কর্মচারী হিসেবে রেজাউল করিম কাজলের এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধির পরিপন্থী। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও এডিট করা ফটোকার্ড ছড়িয়ে তিনি শিষ্টাচার ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় মামলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ৭ জুলাই রাতে পোস্টটি করা হয় এবং তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউএনও, জেলা প্রশাসক এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ইয়ামিন বলেন, “আমরা গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। তবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে একজন সরকারি কর্মচারী যদি রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা লঙ্ঘন করেন, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই বিতর্কিত ফটোকার্ডে বড় করে তাসনীম জারার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবির এক কোণায় প্রধান উপদেষ্টার একটি ছবি রয়েছে, যার চোখে পাকিস্তানের পতাকা বসানো হয়েছে। কার্ডটিতে আরও দেখা যায় এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত কয়েকজন ব্যক্তির ছবি।
এই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলে যেমন নিন্দা জোরালো হয়েছে, তেমনি সামাজিক মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। নীতিমালার বাইরে গিয়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন আচরণ যে বরদাস্ত করা হবে না, তা পরিষ্কার করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিষয়টি এখন বিভাগীয় তদন্তে রয়েছে, যেখানে দোষ প্রমাণিত হলে পরবর্তী সময়ে রেজাউল করিম কাজলের বিরুদ্ধে স্থায়ী বরখাস্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।