জুলাই অভ্যুত্থান: শেখ হাসিনার অডিও ফাঁস, গুলি চালানোর নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করল বিবিসি

- Update Time : ১১:৫৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / ৫১ Time View
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকায় ঘটে যাওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতা নিয়ে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে একটি অডিও রেকর্ডিং। এতে স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। এ অডিও রেকর্ডিংয়ের সত্যতা সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইনভেস্টিগেশনস, যা এখন গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কী ছিল সেই অডিওতে?
২০২৫ সালের মার্চ মাসে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফাঁস হওয়া অডিওটিতে শেখ হাসিনাকে এক অজ্ঞাত উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপে বলতে শোনা যায়, “ঘটনাস্থলে যারা যাবে, lethal weapon (প্রাণঘাতী অস্ত্র) নিয়ে যাবে। যেখানেই পাবে, shoot (গুলি) করবে।” ফোনালাপটি, যা ঘটা করে গণভবনে রেকর্ড করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তখনকার চলমান সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের প্রতিক্রিয়া ও মনোভাবের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটায়।
এই অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে ইয়ারশট নামক এক আন্তর্জাতিক অডিও বিশ্লেষণ সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে—রেকর্ডিংটিতে কোনো কাটাছেঁড়া, এডিট বা প্রযুক্তিগত বিকৃতি নেই। তারা নিশ্চিত করেছে, এটি একটি আসল ও অকৃত্রিম রেকর্ডিং। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো কোনো কক্ষে স্পিকারে চালিয়ে গোপনে রেকর্ড করা হয়েছিল।
বিবিসির তদন্ত এবং প্রতিক্রিয়া
বিবিসি ইনভেস্টিগেশনস নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অডিওটির সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত করেছে যে রেকর্ডিংটি শেখ হাসিনারই কণ্ঠস্বর। তাদের বিশ্লেষণ অনুসারে, ফোনালাপটি ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ৮টার কিছু পর রেকর্ড করা হয়, যখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছিল এবং বহু মৃত্যু ঘটেছিল।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন, বিবিসিকে বলেন—“এই রেকর্ডিং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি একটি পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য ও ভেরিফায়েবল প্রমাণ, যা শেখ হাসিনার সরাসরি ভূমিকা প্রমাণ করে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটি গণহত্যার নির্দেশদানের সরাসরি প্রমাণ এবং এই রেকর্ডিং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্যে অপরিহার্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।”
আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ এই রেকর্ডিং নিয়ে একেবারে ভিন্ন সুরে কথা বলছে। দলটির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, “রেকর্ডিংটির সত্যতা এখনো নিশ্চিত নয়। এমনকি যদি এটি সত্যও হয়, তাহলে তা ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি বৈধ ও জরুরি প্রতিক্রিয়া।”
তারা দাবি করেন, “সরকারের নির্দেশ ছিল আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোনো হত্যার উদ্দেশ্যে কেউ নির্দেশ দেয়নি।”
আওয়ামী লীগ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও তদন্ত
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা স্বীকার করছি কিছু সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতায় জড়িয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত চলমান রয়েছে এবং কেউ রেহাই পাবে না।”
শেখ হাসিনার বিচার ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত
২০২৫ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা নির্দেশ, এবং বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকানোর অভিযোগে বিচার শুরু করেছে।
বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে এবং বাংলাদেশ সরকার তার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান মনে করেন, “রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।”
নতুন সরকার ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে কাজ করছে এবং নতুন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় অনেকেই মনে করছেন, দলটি সাময়িকভাবে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হতে পারে।
সেনাবাহিনীর নীরবতা
বিবিসি সেনাবাহিনীর কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
অথচ, অভ্যুত্থান ও গণদমন অভিযানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, সেনাবাহিনী চুপচাপ সরকারি আদেশ মেনে চলেছে, যার ফলে হতাহতদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
এই অডিও ফাঁস এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ভয়াবহ মোড় এনে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যে অভিযোগ ছিল শুধু রাজনৈতিক প্রচারণা বা গুজবের পর্যায়ে, তা এখন পরিণত হয়েছে বাস্তব দলিলে। শেখ হাসিনার নির্দেশে এক নির্মম অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল, যার পরিণতি আজও বহন করছে বাংলাদেশের জনগণ।
Please Share This Post in Your Social Media

জুলাই অভ্যুত্থান: শেখ হাসিনার অডিও ফাঁস, গুলি চালানোর নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করল বিবিসি

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকায় ঘটে যাওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতা নিয়ে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে একটি অডিও রেকর্ডিং। এতে স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। এ অডিও রেকর্ডিংয়ের সত্যতা সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইনভেস্টিগেশনস, যা এখন গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কী ছিল সেই অডিওতে?
২০২৫ সালের মার্চ মাসে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফাঁস হওয়া অডিওটিতে শেখ হাসিনাকে এক অজ্ঞাত উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপে বলতে শোনা যায়, “ঘটনাস্থলে যারা যাবে, lethal weapon (প্রাণঘাতী অস্ত্র) নিয়ে যাবে। যেখানেই পাবে, shoot (গুলি) করবে।” ফোনালাপটি, যা ঘটা করে গণভবনে রেকর্ড করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তখনকার চলমান সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের প্রতিক্রিয়া ও মনোভাবের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটায়।
এই অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে ইয়ারশট নামক এক আন্তর্জাতিক অডিও বিশ্লেষণ সংস্থা এবং বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে—রেকর্ডিংটিতে কোনো কাটাছেঁড়া, এডিট বা প্রযুক্তিগত বিকৃতি নেই। তারা নিশ্চিত করেছে, এটি একটি আসল ও অকৃত্রিম রেকর্ডিং। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো কোনো কক্ষে স্পিকারে চালিয়ে গোপনে রেকর্ড করা হয়েছিল।
বিবিসির তদন্ত এবং প্রতিক্রিয়া
বিবিসি ইনভেস্টিগেশনস নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অডিওটির সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত করেছে যে রেকর্ডিংটি শেখ হাসিনারই কণ্ঠস্বর। তাদের বিশ্লেষণ অনুসারে, ফোনালাপটি ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ৮টার কিছু পর রেকর্ড করা হয়, যখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছিল এবং বহু মৃত্যু ঘটেছিল।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন, বিবিসিকে বলেন—“এই রেকর্ডিং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি একটি পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য ও ভেরিফায়েবল প্রমাণ, যা শেখ হাসিনার সরাসরি ভূমিকা প্রমাণ করে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এটি গণহত্যার নির্দেশদানের সরাসরি প্রমাণ এবং এই রেকর্ডিং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্যে অপরিহার্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।”
আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ এই রেকর্ডিং নিয়ে একেবারে ভিন্ন সুরে কথা বলছে। দলটির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, “রেকর্ডিংটির সত্যতা এখনো নিশ্চিত নয়। এমনকি যদি এটি সত্যও হয়, তাহলে তা ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি বৈধ ও জরুরি প্রতিক্রিয়া।”
তারা দাবি করেন, “সরকারের নির্দেশ ছিল আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোনো হত্যার উদ্দেশ্যে কেউ নির্দেশ দেয়নি।”
আওয়ামী লীগ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও তদন্ত
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা স্বীকার করছি কিছু সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতায় জড়িয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত চলমান রয়েছে এবং কেউ রেহাই পাবে না।”
শেখ হাসিনার বিচার ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত
২০২৫ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা নির্দেশ, এবং বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকানোর অভিযোগে বিচার শুরু করেছে।
বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে এবং বাংলাদেশ সরকার তার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান মনে করেন, “রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।”
নতুন সরকার ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে কাজ করছে এবং নতুন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় অনেকেই মনে করছেন, দলটি সাময়িকভাবে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হতে পারে।
সেনাবাহিনীর নীরবতা
বিবিসি সেনাবাহিনীর কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
অথচ, অভ্যুত্থান ও গণদমন অভিযানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, সেনাবাহিনী চুপচাপ সরকারি আদেশ মেনে চলেছে, যার ফলে হতাহতদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
এই অডিও ফাঁস এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ভয়াবহ মোড় এনে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যে অভিযোগ ছিল শুধু রাজনৈতিক প্রচারণা বা গুজবের পর্যায়ে, তা এখন পরিণত হয়েছে বাস্তব দলিলে। শেখ হাসিনার নির্দেশে এক নির্মম অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল, যার পরিণতি আজও বহন করছে বাংলাদেশের জনগণ।