সময়: রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
  • Copy Link
  • Facebook
  • X (Twitter)
  • LinkedIn
  • Email
  • Print
  • More Networks
Copy link

পতিত স্বৈরাচার কামব্যাক ঠেকাতে সবাইকে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে: নুরুল হক নুর

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১০:২১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১০ Time View

nurulhaque 202506111850461 20250706174209 20250706201330

nurulhaque 202506111850461 20250706174209 20250706201330

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতিত স্বৈরাচারী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের সব পক্ষকে পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি এই বিষয়ে আপসহীন অবস্থান না নেওয়া হয়, তাহলে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে।

রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীতে আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন নুর।

জাতীয় ঐক্য নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বেগ

নুর বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা আজ গভীর সংকটে। নিরাপত্তাকে সুসংহত করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনায় বারবার পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সে অঞ্চলের অস্থিরতা দূর করা যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “এই সমস্যা সমাধানে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ এবং রাষ্ট্রীয় চিন্তায় মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। উন্নয়ন কিংবা সামরিক চুক্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, প্রয়োজন আন্তরিক রাজনৈতিক সমাধান।”

পররাষ্ট্রনীতি সরকার পরিবর্তনের যোগসূত্র

পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নুর বলেন, “আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি বদলে যায়, যা একটি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক পরিপক্বতার ঘাটতির পরিচয় বহন করে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আমাদের এক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে—যেসব নীতির ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য জরুরি।”

নির্বাচন সম্ভাব্য গণঅভ্যুত্থান

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে নুর বলেন, “কোনো রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নির্বাচনে গেলে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। জনগণ আর এই সরকার কিংবা তাদের তথাকথিত নির্বাচনের নাটক মেনে নেবে না।”

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরেকটি ভয়াবহ অস্থিরতা ও সংঘাত দেখা দিতে পারে।”

সতর্কবার্তা আহ্বান

নুরুল হক নুর সতর্ক করে বলেন, “যারা আজ নিরব থেকেছেন, কাল তারা ইতিহাসের দায় এড়াতে পারবেন না। পতিত স্বৈরাচারের রাজনীতিকে পুনরায় স্থান দেওয়া মানে দেশে নয়া দুঃশাসনের পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া। এখনই সময় জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।”

তিনি সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, যুব সমাজ এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন ও সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
  • Copy Link
  • Facebook
  • X (Twitter)
  • LinkedIn
  • Email
  • Print
  • More Networks
Copy link

পতিত স্বৈরাচার কামব্যাক ঠেকাতে সবাইকে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে: নুরুল হক নুর

Update Time : ১০:২১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

nurulhaque 202506111850461 20250706174209 20250706201330

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতিত স্বৈরাচারী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের সব পক্ষকে পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি এই বিষয়ে আপসহীন অবস্থান না নেওয়া হয়, তাহলে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে।

রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীতে আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন নুর।

জাতীয় ঐক্য নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বেগ

নুর বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা আজ গভীর সংকটে। নিরাপত্তাকে সুসংহত করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনায় বারবার পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সে অঞ্চলের অস্থিরতা দূর করা যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “এই সমস্যা সমাধানে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ এবং রাষ্ট্রীয় চিন্তায় মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। উন্নয়ন কিংবা সামরিক চুক্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, প্রয়োজন আন্তরিক রাজনৈতিক সমাধান।”

পররাষ্ট্রনীতি সরকার পরিবর্তনের যোগসূত্র

পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নুর বলেন, “আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি বদলে যায়, যা একটি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক পরিপক্বতার ঘাটতির পরিচয় বহন করে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আমাদের এক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে—যেসব নীতির ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য জরুরি।”

নির্বাচন সম্ভাব্য গণঅভ্যুত্থান

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে নুর বলেন, “কোনো রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নির্বাচনে গেলে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। জনগণ আর এই সরকার কিংবা তাদের তথাকথিত নির্বাচনের নাটক মেনে নেবে না।”

তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরেকটি ভয়াবহ অস্থিরতা ও সংঘাত দেখা দিতে পারে।”

সতর্কবার্তা আহ্বান

নুরুল হক নুর সতর্ক করে বলেন, “যারা আজ নিরব থেকেছেন, কাল তারা ইতিহাসের দায় এড়াতে পারবেন না। পতিত স্বৈরাচারের রাজনীতিকে পুনরায় স্থান দেওয়া মানে দেশে নয়া দুঃশাসনের পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া। এখনই সময় জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।”

তিনি সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, যুব সমাজ এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন ও সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করেন।