ব্রিটেনে ভাঙনের মুখে লেবার পার্টি: করবিন-সুলতানার নতুন সমাজতান্ত্রিক দল গঠনের ঘোষণা, বাম রাজনীতিতে বড় আলোড়ন

- Update Time : ০৩:০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
- / ৬৭ Time View
যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যেখানে লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবার আরও স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে। সদ্য পদত্যাগী এমপি জারা সুলতানা ও সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন একযোগে এক নতুন সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে সারা দেশের বামপন্থী রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই পদক্ষেপ ব্রিটেনে রাজনৈতিক ভারসাম্যের কেন্দ্রকে এক নতুন দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
করবিন ও সুলতানার নেতৃত্বে নতুন দলের সূচনা
গত ৩ জুলাই লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জারা সুলতানা এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) জানান, তিনি এবং করবিন একটি নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন। যদিও দলটির নাম এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এতে স্বতন্ত্র এমপি, সমাজতান্ত্রিক অ্যাকটিভিস্ট এবং বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মীরা যুক্ত হবেন।
সুলতানা বলেন, “আমরা এমন একটি দল গড়তে চাই, যা সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শান্তি, ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে এবং নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর হবে।” করবিন যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্পৃক্ততা ঘোষণা করেননি, তবে তার আগের বক্তব্যগুলোতে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে তার ভূমিকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ সংকট
জেরেমি করবিনকে লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সময়। করবিনের বহিষ্কার ছিল ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন বিষয়ে তার স্পষ্ট অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে। এবার করবিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সুলতানার দল ত্যাগ এবং নতুন দলের ঘোষণা লেবার পার্টির মধ্যে যে মতপার্থক্য ও আদর্শিক বিভাজন চলছে, সেটিকে আরও গভীরভাবে উন্মোচন করেছে।
সুলতানা তার পদত্যাগপত্রে লেখেন, “আমাকে একসময় লেবার পার্টি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল, কারণ আমি এমন একটি প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলাম যা দরিদ্র পরিবারের জন্য দ্বিতীয় সন্তানের উপর আরোপিত ভাতার সীমা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়। আমি সেটি আবারও করব। কারণ আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি মানে সাহসের সঙ্গে মানুষের পক্ষে দাঁড়ানো।”
সমাজতন্ত্র
সুলতানা একে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে ‘সমাজতন্ত্র বনাম বর্বরতা’র লড়াই হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই যেখানে মানুষের খরচ চালানো সম্ভব, যেখানে ধনীদের কর ছাড় নয় বরং জনসেবায় বিনিয়োগ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার, আমরা কল্যাণভাতা হ্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব। বিলিয়নিয়ারদের প্রভাব, এবং যে লেবার সরকার জনস্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ, তার বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকব।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রভাব
ব্রিটেনের রাজনীতিতে এই নতুন দলের আবির্ভাব কেবল একটি নতুন সংগঠনের জন্ম নয়, বরং মূলধারার রাজনীতিকে নতুন করে সাজানোর আহ্বানও বটে। সুলতানার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির সহ-নেতা জ্যাক পোলানস্কি। তিনি লিখেছেন, “যারা টোরি, রিফর্ম এবং ব্যর্থ লেবার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, তারা আমার বন্ধু।”
লেবার পার্টির ভেতর থেকেই অনেকে সুলতানার পদত্যাগকে দুঃখজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। সাবেক শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডনেল বলেন, “এটি লেবার পার্টির জন্য একটি চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত যে, একজন প্রতিশ্রুতিশীল, স্পষ্টভাষী তরুণ নেত্রীকে দল ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।”
জরিপে নতুন দলের উত্থান
সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুযায়ী, এই নবগঠিত বাম রাজনৈতিক দল যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এটি লেবার পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা, বিশেষত তখন যখন লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের সমর্থন প্রায় সমান।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি নতুন দলটি সঠিকভাবে সংগঠিত হয় এবং স্পষ্ট আদর্শিক অবস্থান গ্রহণ করে, তবে তারা কেবল বিরোধী শক্তি হিসেবেই নয়, ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সমাজতান্ত্রিক ঘরানার জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম
সুলতানার ‘টিম জারা’ নামে একটি সংযোগ লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে নতুন দলে যোগদানের আহ্বান আরও সুসংগঠিত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এরই মধ্যে হাজারো সমর্থন ও মন্তব্য জমা পড়েছে। অনেকেই বলছেন, “এটাই সময়, যখন বামপন্থীরা নিজেদের একটি সংগঠিত কণ্ঠ তৈরি করতে পারে।”
জেরেমি করবিন তার আগের বক্তব্যে বলেছিলেন, “আমরা এমন একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি দিতে চাই, যা শান্তি, ন্যায়ের ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তোলে।” করবিনের নেতৃত্বে থাকা সময়কালে লেবার পার্টি অনেক তরুণ ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষের সমর্থন পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাই এখন নতুন দলের মূল উদ্দেশ্য।
লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ ভাঙন ও নতুন সমাজতান্ত্রিক দলের আত্মপ্রকাশ ব্রিটিশ রাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। জারা সুলতানা ও জেরেমি করবিনের উদ্যোগ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে আদর্শিক স্পষ্টতা, সামাজিক ন্যায় এবং বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্নকে সামনে রাখা হয়েছে।
এই নতুন উদ্যোগ কতটা সফল হবে বা নির্বাচনী রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—ব্রিটেনের রাজনীতিতে সমাজতান্ত্রিক চেতনার জন্য নতুন করে একটি ‘আলাদা ঘর’ গড়ে তোলার ডাক এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ়, সাহসী ও সংগঠিত।
Please Share This Post in Your Social Media

ব্রিটেনে ভাঙনের মুখে লেবার পার্টি: করবিন-সুলতানার নতুন সমাজতান্ত্রিক দল গঠনের ঘোষণা, বাম রাজনীতিতে বড় আলোড়ন

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যেখানে লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবার আরও স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে। সদ্য পদত্যাগী এমপি জারা সুলতানা ও সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন একযোগে এক নতুন সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে সারা দেশের বামপন্থী রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই পদক্ষেপ ব্রিটেনে রাজনৈতিক ভারসাম্যের কেন্দ্রকে এক নতুন দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
করবিন ও সুলতানার নেতৃত্বে নতুন দলের সূচনা
গত ৩ জুলাই লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জারা সুলতানা এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) জানান, তিনি এবং করবিন একটি নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন। যদিও দলটির নাম এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এতে স্বতন্ত্র এমপি, সমাজতান্ত্রিক অ্যাকটিভিস্ট এবং বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মীরা যুক্ত হবেন।
সুলতানা বলেন, “আমরা এমন একটি দল গড়তে চাই, যা সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শান্তি, ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে এবং নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর হবে।” করবিন যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্পৃক্ততা ঘোষণা করেননি, তবে তার আগের বক্তব্যগুলোতে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগে তার ভূমিকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ সংকট
জেরেমি করবিনকে লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সময়। করবিনের বহিষ্কার ছিল ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন বিষয়ে তার স্পষ্ট অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে। এবার করবিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সুলতানার দল ত্যাগ এবং নতুন দলের ঘোষণা লেবার পার্টির মধ্যে যে মতপার্থক্য ও আদর্শিক বিভাজন চলছে, সেটিকে আরও গভীরভাবে উন্মোচন করেছে।
সুলতানা তার পদত্যাগপত্রে লেখেন, “আমাকে একসময় লেবার পার্টি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল, কারণ আমি এমন একটি প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলাম যা দরিদ্র পরিবারের জন্য দ্বিতীয় সন্তানের উপর আরোপিত ভাতার সীমা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়। আমি সেটি আবারও করব। কারণ আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি মানে সাহসের সঙ্গে মানুষের পক্ষে দাঁড়ানো।”
সমাজতন্ত্র বনাম বর্বরতা: রাজনৈতিক লড়াইয়ের নতুন বিবরণ
সুলতানা একে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে ‘সমাজতন্ত্র বনাম বর্বরতা’র লড়াই হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই যেখানে মানুষের খরচ চালানো সম্ভব, যেখানে ধনীদের কর ছাড় নয় বরং জনসেবায় বিনিয়োগ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার, আমরা কল্যাণভাতা হ্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব। বিলিয়নিয়ারদের প্রভাব, এবং যে লেবার সরকার জনস্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ, তার বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকব।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রভাব
ব্রিটেনের রাজনীতিতে এই নতুন দলের আবির্ভাব কেবল একটি নতুন সংগঠনের জন্ম নয়, বরং মূলধারার রাজনীতিকে নতুন করে সাজানোর আহ্বানও বটে। সুলতানার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির সহ-নেতা জ্যাক পোলানস্কি। তিনি লিখেছেন, “যারা টোরি, রিফর্ম এবং ব্যর্থ লেবার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, তারা আমার বন্ধু।”
লেবার পার্টির ভেতর থেকেই অনেকে সুলতানার পদত্যাগকে দুঃখজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। সাবেক শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডনেল বলেন, “এটি লেবার পার্টির জন্য একটি চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত যে, একজন প্রতিশ্রুতিশীল, স্পষ্টভাষী তরুণ নেত্রীকে দল ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।”
জরিপে নতুন দলের উত্থান
সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুযায়ী, এই নবগঠিত বাম রাজনৈতিক দল যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এটি লেবার পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা, বিশেষত তখন যখন লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের সমর্থন প্রায় সমান।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি নতুন দলটি সঠিকভাবে সংগঠিত হয় এবং স্পষ্ট আদর্শিক অবস্থান গ্রহণ করে, তবে তারা কেবল বিরোধী শক্তি হিসেবেই নয়, ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সমাজতান্ত্রিক ঘরানার জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম
সুলতানার ‘টিম জারা’ নামে একটি সংযোগ লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে নতুন দলে যোগদানের আহ্বান আরও সুসংগঠিত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এরই মধ্যে হাজারো সমর্থন ও মন্তব্য জমা পড়েছে। অনেকেই বলছেন, “এটাই সময়, যখন বামপন্থীরা নিজেদের একটি সংগঠিত কণ্ঠ তৈরি করতে পারে।”
জেরেমি করবিন তার আগের বক্তব্যে বলেছিলেন, “আমরা এমন একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি দিতে চাই, যা শান্তি, ন্যায়ের ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তোলে।” করবিনের নেতৃত্বে থাকা সময়কালে লেবার পার্টি অনেক তরুণ ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষের সমর্থন পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাই এখন নতুন দলের মূল উদ্দেশ্য।
লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ ভাঙন ও নতুন সমাজতান্ত্রিক দলের আত্মপ্রকাশ ব্রিটিশ রাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। জারা সুলতানা ও জেরেমি করবিনের উদ্যোগ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে আদর্শিক স্পষ্টতা, সামাজিক ন্যায় এবং বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্নকে সামনে রাখা হয়েছে।
এই নতুন উদ্যোগ কতটা সফল হবে বা নির্বাচনী রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—ব্রিটেনের রাজনীতিতে সমাজতান্ত্রিক চেতনার জন্য নতুন করে একটি ‘আলাদা ঘর’ গড়ে তোলার ডাক এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ়, সাহসী ও সংগঠিত।