সময়: বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

স্ত্রীর কিডনি নিয়ে প্রাণে বাঁচলেন, সুস্থ হয়েই জড়িয়ে পড়লেন পরকীয়া আর নির্যাতনে,এক অকৃতজ্ঞ স্বামীর নির্মম কাহিনি

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / ৯৬ Time View

590078a53414d801c391f9cd28c574b3 6865859a2e927

590078a53414d801c391f9cd28c574b3 6865859a2e927

সংসার মানেই ত্যাগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর দায়িত্বের এক পবিত্র বন্ধন। এই বন্ধনে একে অপরকে বোঝা, সম্মান করা আর বিপদে পাশে দাঁড়ানোই তো মানবিকতার পরিচয়। কিন্তু সেই বন্ধনের মাঝেই কখনো কখনো জন্ম নেয় অকৃতজ্ঞতার নির্মম চিত্র। তেমনই এক হৃদয়বিদারক ও লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সাভারের কলমা এলাকা।

৩৫ বছর বয়সী উম্মে সাহেদীনা টুনি—একজন স্ত্রী, একজন মা এবং একজন জীবনদাত্রী। স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে নিজের কিডনি দিয়েছিলেন। স্বামী মোহাম্মদ তারেকের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে পড়লে টুনি সবকিছু ত্যাগ করে স্বামীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যান এবং একসময় নিজের কিডনি দান করেন। সে কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তারেক পুনর্জীবন ফিরে পেলেও, কিছুদিনের মধ্যেই ধরা পড়ে ভয়ানক এক প্রতারণা—সুস্থ হয়েই স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন, জড়িয়ে পড়েন এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় এবং আসক্ত হয়ে পড়েন অনলাইন জুয়ায়।

7acdce979f3ef347a7432cf0de135e69 6865867c5afe3

জীবন রক্ষার যুদ্ধে টুনির আত্মত্যাগ

২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় টুনি ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী তারেকের। বিয়ের এক বছর পর একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়—আজমাইন দিব্য। সুখী দাম্পত্যের স্বপ্ন দেখে যখন দিন কেটে যাচ্ছিল, ২০০৮ সালে হঠাৎ তারেক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়াগনোসিসে জানা যায়, তার দুটি কিডনি প্রায় সম্পূর্ণরূপে অকেজো হয়ে গেছে।

পরিবার, সমাজ সবার দৃষ্টি এড়িয়ে তখন কেবল একজনই ছিলেন পাশে—স্ত্রী টুনি। সদ্য মা হওয়া সত্ত্বেও, তিনি নিজের স্বামীকে বাঁচানোর সংকল্পে পরিবার থেকে টাকা ধার করে, নিজের গহনা বিক্রি করে, বিউটি পার্লার ও বুটিক ব্যবসার আয় থেকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে তার চিকিৎসা চালিয়ে যান। ভারতে বহুবার স্বামীকে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য—প্রতিবার খরচ হতো ২-৩ লক্ষ টাকা।

২০১৯ সালে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসক কেএন সিং-এর তত্ত্বাবধানে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। কিডনি দেন স্ত্রী টুনি নিজেই। অপারেশনের পর টুনির শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। আইসিইউতে রাখা হয় সাতদিন। অথচ সেই সময়েই তারেকের আচরণ পাল্টে যায়। হাসপাতালের কেবিনেই শুরু হয় তার চিৎকার-চেঁচামেচি, এমনকি সহিংস আচরণ।

20d2609a4343968d087f1a690cc8216f 686585f34b8b8

সুস্থ হয়েই নেমে আসে নির্যাতনের ঝড়

দেশে ফিরে এসে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। টুনিকে উপার্জনের সব টাকা এনে দিতে চাপ দেয় তারেক, শ্বশুরবাড়ি থেকেও টাকা আনতে বলে। এরই মধ্যে জানা যায়, তাহমিনা নামে এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এবং অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন।

যে বাড়িটি টুনির মা তাদের থাকার জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন—তার অর্ধেক ছিল টুনির নামে, বাকি অর্ধেক তারেকের নামে। সেই বাড়িটিও তারেক পুরো নিজের নামে লিখে নিতে টুনিকে চাপ দিতে থাকে। চাপ না মানায় চলে চরম মারধর। টুনির শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। তিনি বলেন, “আমার পেটে অপারেশনের জায়গায় লাথি মারেছে। আমি ভেঙে পড়েছি মানসিক ও শারীরিকভাবে।”

আইনি লড়াইয়ে দাঁড়ালেন টুনি

২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি টুনি সাভার থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তবে তারেক কৌশলে পরদিন মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করে। এরপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ে। শেষপর্যন্ত ২২ এপ্রিল যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন টুনি। ২৪ এপ্রিল তারেক গ্রেপ্তার হন এবং এক মাস পর ৪ জুন জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্ত হয়েই প্রেমিকার বাসায় গিয়ে ওঠেন তিনি।

পরিবার প্রতিবেশীদের সাক্ষ্য

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, “টুনি আপা ছিল তারেক ভাইয়ের জন্য ছায়ার মতো। নিজের বাড়িতে পার্লার খুলে, বুটিক চালিয়ে সংসার চালিয়েছেন, স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছেন। অথচ সুস্থ হওয়ার পর তারেক ভাই তার ওপর চড়াও হতেন। এটা আমরা অনেকবার দেখেছি।”

টুনির মা বলেন, “আমার মেয়ের জন্য আমি নিজের পেনশন ও একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছি। প্রতি বছর ৮-১০ লাখ টাকা খরচ হতো তারেকের চিকিৎসায়। অথচ এখন সেই মেয়েকেই নির্যাতন করছে, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, কিডনি পেয়েই সব কিছু পাল্টে দিয়েছে।”

আইনের আশ্বাস মানবিক আবেদন

আইনজীবী নেহার ফারুক বলেন, “যে নারীর দয়ায় আজ তিনি বেঁচে, তাকেই দিনের পর দিন নির্যাতন করেছে তারেক। এটা চরম অকৃতজ্ঞতার দৃষ্টান্ত।” তিনি জানান, চার্জশিট হাতে পেলেই জামিন বাতিলের আবেদন জানাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “এই ঘটনা শুধু নারী নির্যাতন নয়, এটি মানবদেহ সংযোজন আইন ভঙ্গেরও উদাহরণ। প্রতারণার মাধ্যমে স্ত্রীর অঙ্গ নিয়েছেন, সুতরাং টুনি চাইলে তার বিরুদ্ধে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনেও মামলা করতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “এমন শাস্তি হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অকৃতজ্ঞতার সাহস না পায়। সেই নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”

শেষ কথা

এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারের ভাঙনের গল্প নয়, এটি এক নারীর আত্মত্যাগ, তার নিঃস্ব হওয়ার, বিশ্বাসভঙ্গের এবং নির্যাতিত হওয়ার নির্মম অধ্যায়। টুনি যেমন বলেছেন, “আমি চাই না, আমার মতো আর কোনো মেয়ে নিজের জীবনকে ভালোবাসার নামে এই অন্ধকারে ফেলুক।”

এই ঘটনাটি যেন সমাজে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করে তোলে—ভালোবাসা যেন কারও দুর্বলতা না হয়, আর আত্মত্যাগ যেন কোনো নারীর জীবনের সর্বনাশের কারণ না হয়।

সংবাদের সূত্র: ঢাকা পোস্ট, টুনির পারিবারিক সাক্ষাৎকার আইনজীবীদের মন্তব্য

 

Please Share This Post in Your Social Media

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

স্ত্রীর কিডনি নিয়ে প্রাণে বাঁচলেন, সুস্থ হয়েই জড়িয়ে পড়লেন পরকীয়া আর নির্যাতনে,এক অকৃতজ্ঞ স্বামীর নির্মম কাহিনি

Update Time : ০৬:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

590078a53414d801c391f9cd28c574b3 6865859a2e927

সংসার মানেই ত্যাগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর দায়িত্বের এক পবিত্র বন্ধন। এই বন্ধনে একে অপরকে বোঝা, সম্মান করা আর বিপদে পাশে দাঁড়ানোই তো মানবিকতার পরিচয়। কিন্তু সেই বন্ধনের মাঝেই কখনো কখনো জন্ম নেয় অকৃতজ্ঞতার নির্মম চিত্র। তেমনই এক হৃদয়বিদারক ও লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সাভারের কলমা এলাকা।

৩৫ বছর বয়সী উম্মে সাহেদীনা টুনি—একজন স্ত্রী, একজন মা এবং একজন জীবনদাত্রী। স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে নিজের কিডনি দিয়েছিলেন। স্বামী মোহাম্মদ তারেকের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে পড়লে টুনি সবকিছু ত্যাগ করে স্বামীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যান এবং একসময় নিজের কিডনি দান করেন। সে কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তারেক পুনর্জীবন ফিরে পেলেও, কিছুদিনের মধ্যেই ধরা পড়ে ভয়ানক এক প্রতারণা—সুস্থ হয়েই স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন, জড়িয়ে পড়েন এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় এবং আসক্ত হয়ে পড়েন অনলাইন জুয়ায়।

7acdce979f3ef347a7432cf0de135e69 6865867c5afe3

জীবন রক্ষার যুদ্ধে টুনির আত্মত্যাগ

২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় টুনি ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী তারেকের। বিয়ের এক বছর পর একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়—আজমাইন দিব্য। সুখী দাম্পত্যের স্বপ্ন দেখে যখন দিন কেটে যাচ্ছিল, ২০০৮ সালে হঠাৎ তারেক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়াগনোসিসে জানা যায়, তার দুটি কিডনি প্রায় সম্পূর্ণরূপে অকেজো হয়ে গেছে।

পরিবার, সমাজ সবার দৃষ্টি এড়িয়ে তখন কেবল একজনই ছিলেন পাশে—স্ত্রী টুনি। সদ্য মা হওয়া সত্ত্বেও, তিনি নিজের স্বামীকে বাঁচানোর সংকল্পে পরিবার থেকে টাকা ধার করে, নিজের গহনা বিক্রি করে, বিউটি পার্লার ও বুটিক ব্যবসার আয় থেকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে তার চিকিৎসা চালিয়ে যান। ভারতে বহুবার স্বামীকে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য—প্রতিবার খরচ হতো ২-৩ লক্ষ টাকা।

২০১৯ সালে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসক কেএন সিং-এর তত্ত্বাবধানে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। কিডনি দেন স্ত্রী টুনি নিজেই। অপারেশনের পর টুনির শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। আইসিইউতে রাখা হয় সাতদিন। অথচ সেই সময়েই তারেকের আচরণ পাল্টে যায়। হাসপাতালের কেবিনেই শুরু হয় তার চিৎকার-চেঁচামেচি, এমনকি সহিংস আচরণ।

20d2609a4343968d087f1a690cc8216f 686585f34b8b8

সুস্থ হয়েই নেমে আসে নির্যাতনের ঝড়

দেশে ফিরে এসে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। টুনিকে উপার্জনের সব টাকা এনে দিতে চাপ দেয় তারেক, শ্বশুরবাড়ি থেকেও টাকা আনতে বলে। এরই মধ্যে জানা যায়, তাহমিনা নামে এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এবং অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন।

যে বাড়িটি টুনির মা তাদের থাকার জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন—তার অর্ধেক ছিল টুনির নামে, বাকি অর্ধেক তারেকের নামে। সেই বাড়িটিও তারেক পুরো নিজের নামে লিখে নিতে টুনিকে চাপ দিতে থাকে। চাপ না মানায় চলে চরম মারধর। টুনির শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। তিনি বলেন, “আমার পেটে অপারেশনের জায়গায় লাথি মারেছে। আমি ভেঙে পড়েছি মানসিক ও শারীরিকভাবে।”

আইনি লড়াইয়ে দাঁড়ালেন টুনি

২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি টুনি সাভার থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তবে তারেক কৌশলে পরদিন মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করে। এরপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ে। শেষপর্যন্ত ২২ এপ্রিল যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন টুনি। ২৪ এপ্রিল তারেক গ্রেপ্তার হন এবং এক মাস পর ৪ জুন জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্ত হয়েই প্রেমিকার বাসায় গিয়ে ওঠেন তিনি।

পরিবার প্রতিবেশীদের সাক্ষ্য

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, “টুনি আপা ছিল তারেক ভাইয়ের জন্য ছায়ার মতো। নিজের বাড়িতে পার্লার খুলে, বুটিক চালিয়ে সংসার চালিয়েছেন, স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছেন। অথচ সুস্থ হওয়ার পর তারেক ভাই তার ওপর চড়াও হতেন। এটা আমরা অনেকবার দেখেছি।”

টুনির মা বলেন, “আমার মেয়ের জন্য আমি নিজের পেনশন ও একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছি। প্রতি বছর ৮-১০ লাখ টাকা খরচ হতো তারেকের চিকিৎসায়। অথচ এখন সেই মেয়েকেই নির্যাতন করছে, বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, কিডনি পেয়েই সব কিছু পাল্টে দিয়েছে।”

আইনের আশ্বাস মানবিক আবেদন

আইনজীবী নেহার ফারুক বলেন, “যে নারীর দয়ায় আজ তিনি বেঁচে, তাকেই দিনের পর দিন নির্যাতন করেছে তারেক। এটা চরম অকৃতজ্ঞতার দৃষ্টান্ত।” তিনি জানান, চার্জশিট হাতে পেলেই জামিন বাতিলের আবেদন জানাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “এই ঘটনা শুধু নারী নির্যাতন নয়, এটি মানবদেহ সংযোজন আইন ভঙ্গেরও উদাহরণ। প্রতারণার মাধ্যমে স্ত্রীর অঙ্গ নিয়েছেন, সুতরাং টুনি চাইলে তার বিরুদ্ধে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনেও মামলা করতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “এমন শাস্তি হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অকৃতজ্ঞতার সাহস না পায়। সেই নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”

শেষ কথা

এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারের ভাঙনের গল্প নয়, এটি এক নারীর আত্মত্যাগ, তার নিঃস্ব হওয়ার, বিশ্বাসভঙ্গের এবং নির্যাতিত হওয়ার নির্মম অধ্যায়। টুনি যেমন বলেছেন, “আমি চাই না, আমার মতো আর কোনো মেয়ে নিজের জীবনকে ভালোবাসার নামে এই অন্ধকারে ফেলুক।”

এই ঘটনাটি যেন সমাজে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করে তোলে—ভালোবাসা যেন কারও দুর্বলতা না হয়, আর আত্মত্যাগ যেন কোনো নারীর জীবনের সর্বনাশের কারণ না হয়।

সংবাদের সূত্র: ঢাকা পোস্ট, টুনির পারিবারিক সাক্ষাৎকার আইনজীবীদের মন্তব্য