“বিচার-সংস্কারের মধ্য দিয়েই নির্বাচন আমাদের মূল লক্ষ্য” ঠাকুরগাঁওয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর ঘোষণা

- Update Time : ১১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
- / ১১১ Time View
নির্বাচনের আগে দেশের বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোয় মৌলিক সংস্কার ছাড়া জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই হওয়া উচিত, তবে তা বিচার ও সংস্কারের মধ্য দিয়েই হওয়া উচিত। এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত “জুলাই পদযাত্রা”-এর সমাপ্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শহীদদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এনসিপি নেতারা
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন করছি না, বরং মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও তাদের পাশে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “এটি শুধুই একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের জাতীয় পুনর্গঠনের লড়াই। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর না হলে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে নির্বাচন অর্থহীন: নেতারা
এ সময় এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা একবাক্যে বলেন, দেশের জনগণ আজ সুশাসন, ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি চায়। শুধু নির্ধারিত তারিখে একটি নির্বাচন আয়োজন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। সে নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং জনগণের আস্থা ভিত্তিক। আর তা সম্ভব দায়বদ্ধ প্রশাসন ও সংস্কারকৃত বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে।
জুলাই পদযাত্রা: প্রতীকী প্রতিবাদ থেকে গণআন্দোলনের বার্তা
এই পদযাত্রা এনসিপি’র চলমান আন্দোলনের একটি কৌশলগত অংশ, যা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ, এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীকী দাবি বহন করে। ঠাকুরগাঁওয়ের মতো মফস্বল শহরে এমন কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি একটি বার্তা দিচ্ছে—এটি এখন আর শুধুই ঢাকার রাজপথের আন্দোলন নয়, বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া গণমানুষের
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, এনসিপি এখন নির্বাচনের দাবি ও বিচার সংস্কারের দাবিকে একসূত্রে গেঁথে দেখছে। এই অবস্থান দেশে একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক জোটের অংশ হিসেবে এনসিপিকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করছে।
আগামী দিনে এই দাবি যদি আরও তীব্রভাবে রাজপথে প্রতিফলিত হয়, তাহলে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হতে হবে।
এটি একটি সরল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়—এটি এক দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের পূর্বাভাস।
Please Share This Post in Your Social Media

“বিচার-সংস্কারের মধ্য দিয়েই নির্বাচন আমাদের মূল লক্ষ্য” ঠাকুরগাঁওয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর ঘোষণা

নির্বাচনের আগে দেশের বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোয় মৌলিক সংস্কার ছাড়া জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই হওয়া উচিত, তবে তা বিচার ও সংস্কারের মধ্য দিয়েই হওয়া উচিত। এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত “জুলাই পদযাত্রা”-এর সমাপ্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শহীদদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এনসিপি নেতারা
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন করছি না, বরং মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও তাদের পাশে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “এটি শুধুই একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের জাতীয় পুনর্গঠনের লড়াই। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর না হলে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে নির্বাচন অর্থহীন: নেতারা
এ সময় এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা একবাক্যে বলেন, দেশের জনগণ আজ সুশাসন, ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি চায়। শুধু নির্ধারিত তারিখে একটি নির্বাচন আয়োজন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। সে নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং জনগণের আস্থা ভিত্তিক। আর তা সম্ভব দায়বদ্ধ প্রশাসন ও সংস্কারকৃত বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে।
জুলাই পদযাত্রা: প্রতীকী প্রতিবাদ থেকে গণআন্দোলনের বার্তা
এই পদযাত্রা এনসিপি’র চলমান আন্দোলনের একটি কৌশলগত অংশ, যা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ, এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীকী দাবি বহন করে। ঠাকুরগাঁওয়ের মতো মফস্বল শহরে এমন কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি একটি বার্তা দিচ্ছে—এটি এখন আর শুধুই ঢাকার রাজপথের আন্দোলন নয়, বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া গণমানুষের
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, এনসিপি এখন নির্বাচনের দাবি ও বিচার সংস্কারের দাবিকে একসূত্রে গেঁথে দেখছে। এই অবস্থান দেশে একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক জোটের অংশ হিসেবে এনসিপিকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করছে।
আগামী দিনে এই দাবি যদি আরও তীব্রভাবে রাজপথে প্রতিফলিত হয়, তাহলে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হতে হবে।
এটি একটি সরল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়—এটি এক দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের পূর্বাভাস।