সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘প্রোফাইল লক’ থাকলে মিলবে না মার্কিন ভিসা!

- Update Time : ০৫:৫৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ৪৮ Time View
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের ভিসা আবেদনকারীদের জন্য কঠোর নতুন নিয়ম চালু করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। এখন থেকে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল ‘লক’ বা ব্যক্তিগত (private) রাখা চলবে না। প্রোফাইল অবশ্যই ‘পাবলিক’ বা সর্বজনীন রাখতে হবে—এমন নির্দেশনা দিয়েছে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
এই নতুন নিয়ম মূলত এফ (F – শিক্ষার্থী), এম (M – বৃত্তিমূলক বা কারিগরি প্রশিক্ষণ), এবং জে (J – এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম) ক্যাটাগরির নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য। দূতাবাস জানায়, এসব আবেদনকারীদের এখন তাদের সমস্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলের গোপনীয়তা সেটিংস ‘পাবলিক’-এ সেট করতে হবে, যেন কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর ডিজিটাল উপস্থিতি যাচাই করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো ভিসা যাচাই ও স্ক্রিনিং প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করা। এক বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করে, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন ব্যক্তিদের শনাক্তে সব তথ্য ব্যবহার করি, যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপস্থিতিও রয়েছে।”
দূতাবাস আরও স্পষ্ট করে জানায়, ভিসা পাওয়া কোনো অধিকার নয়, বরং এটি একটি বিশেষাধিকার। প্রতিটি ভিসা আবেদন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই নিয়মটি মূলত ২০১৯ সালে চালু হওয়া একটি বিধানের সম্প্রসারণ। সে সময় থেকেই ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত ইউজারনেম বা অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু হয়। এবার সেই নীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে, প্রোফাইলকে ‘পাবলিক’ রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হলো।
এদিকে, মে মাসের শেষ দিকে এফ, এম এবং জে ক্যাটাগরির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় সাময়িক বিরতির পর শিগগিরই নতুন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। আগ্রহী আবেদনকারীদের সময়মতো আবেদন করতে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত দেখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন নিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বিষয়টিকে ‘গোপনীয়তার ওপর হস্তক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থার অংশ হিসেবে যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করছেন। তবে একথা নিশ্চিত, এখন থেকে মার্কিন ভিসা পেতে হলে প্রোফাইল ‘লক’ রাখার দিন শেষ।
Please Share This Post in Your Social Media

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘প্রোফাইল লক’ থাকলে মিলবে না মার্কিন ভিসা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের ভিসা আবেদনকারীদের জন্য কঠোর নতুন নিয়ম চালু করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। এখন থেকে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল ‘লক’ বা ব্যক্তিগত (private) রাখা চলবে না। প্রোফাইল অবশ্যই ‘পাবলিক’ বা সর্বজনীন রাখতে হবে—এমন নির্দেশনা দিয়েছে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
এই নতুন নিয়ম মূলত এফ (F – শিক্ষার্থী), এম (M – বৃত্তিমূলক বা কারিগরি প্রশিক্ষণ), এবং জে (J – এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম) ক্যাটাগরির নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য। দূতাবাস জানায়, এসব আবেদনকারীদের এখন তাদের সমস্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলের গোপনীয়তা সেটিংস ‘পাবলিক’-এ সেট করতে হবে, যেন কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর ডিজিটাল উপস্থিতি যাচাই করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো ভিসা যাচাই ও স্ক্রিনিং প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করা। এক বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করে, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন ব্যক্তিদের শনাক্তে সব তথ্য ব্যবহার করি, যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপস্থিতিও রয়েছে।”
দূতাবাস আরও স্পষ্ট করে জানায়, ভিসা পাওয়া কোনো অধিকার নয়, বরং এটি একটি বিশেষাধিকার। প্রতিটি ভিসা আবেদন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই নিয়মটি মূলত ২০১৯ সালে চালু হওয়া একটি বিধানের সম্প্রসারণ। সে সময় থেকেই ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত ইউজারনেম বা অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু হয়। এবার সেই নীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে, প্রোফাইলকে ‘পাবলিক’ রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হলো।
এদিকে, মে মাসের শেষ দিকে এফ, এম এবং জে ক্যাটাগরির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় সাময়িক বিরতির পর শিগগিরই নতুন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। আগ্রহী আবেদনকারীদের সময়মতো আবেদন করতে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত দেখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন নিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বিষয়টিকে ‘গোপনীয়তার ওপর হস্তক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থার অংশ হিসেবে যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করছেন। তবে একথা নিশ্চিত, এখন থেকে মার্কিন ভিসা পেতে হলে প্রোফাইল ‘লক’ রাখার দিন শেষ।