সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে অভিষেকের কড়া জবাব: “আমার পরিবার আছে, আপনাদের ব্যথা দেওয়ার অধিকার নেই”

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৬ Time View

c7883de5da8c94f8a038a5e280ceeb54 6862713409e1f

c7883de5da8c94f8a038a5e280ceeb54 6862713409e1f

বলিউডের অন্যতম আলোচিত তারকা জুটি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন—যাঁদের প্রেম, বিয়ে এবং পারিবারিক জীবনের নানা পর্ব এক সময় রূপকথার মতো মনে হয়েছিল দর্শকের কাছে। ২০০৭ সালে বিয়ের পর ২০১১ সালে তাদের কন্যা আরাধ্যার জন্ম হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়মিতভাবে উঠে আসছে সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই গুঞ্জনের শুরু কখনো ঐশ্বরিয়ার একা মেয়েকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া, কখনো শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা, আবার কখনো অভিষেকের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে বিভিন্ন জল্পনা থেকে। বলিউডের একাংশ বারবারই ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল, এই দম্পতির মধ্যে হয়তো টানাপোড়েন চলছে। এসব জল্পনার জবাবে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বচ্চন—কঠোর ভাষায়।

আমার পরিবারের অনুভূতি আছে, সবার নয়

সম্প্রতি এক ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন বলেন,
কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমার পরিবার আছে, যাদের অনুভূতি আছে। ওরা কষ্ট পায় এইসব গুজব থেকে। আপনি যদি ভাবেন আমি সব কিছুর ব্যাখ্যা দেব, তাহলে ভুল করছেন। কারণ, আমার কথা তো ভুলভাবেই ব্যাখ্যা করা হবে। নেতিবাচক খবরই তো বেশি চলে, বেশি বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন,
যারা এভাবে গুজব ছড়ান, তাঁরা আমার কেউ না। আমার জীবন বাঁচাতে আপনি আসবেন না। তাহলে কেন আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করবেন? কম্পিউটারের সামনে বসে ভুলভাল মন্তব্য করা খুব সহজ। কিন্তু ভাবুন তো, সেই মন্তব্য কেউ পড়ছে, যিনি সত্যিই কষ্ট পাচ্ছেন। বুঝতে পারি না কতটা মোটা চামড়ার হলে এমন কথা বলা যায়।

উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব তাদের, আমার নয়

অভিষেক স্পষ্ট করে জানান, এইসব ভিত্তিহীন গুজবের উত্তর দেওয়া তার দায়িত্ব নয়। বরং যারা এসব কথা রটাচ্ছেন, তারাই উত্তর দিন।

আমি কাউকে উত্তর দিতে

বাধ্য নই। এই গুজবের জবাব তাদেরই দেওয়া উচিত, যারা এই গুজব ছড়ায়। আমার বক্তব্যে কিছু যায় আসে না। বরং আমি চাই, মানুষ একটু মানবিক হোক। কারণ, এসব মন্তব্যের পেছনে বাস্তব মানুষ, পরিবার অনুভূতি জড়িয়ে থাকে।

গুজব বনাম বাস্তবতা

বলিউডে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। তবে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার ক্ষেত্রে তা যেন একপ্রকার নিয়মিত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতদিন দুজনের কেউই এসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। কিন্তু এবারের অভিষেকের বক্তব্য অত্যন্ত সরাসরি এবং আবেগঘন—যা বহুদিনের বিতর্ককে অনেকটা স্তব্ধ করে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বলিউড পর্যবেক্ষকরা।

একসঙ্গে, নীরবে পথচলা

বিগত বছরগুলোতে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক অনেক সময়ই একসঙ্গে অনুষ্ঠানে দেখা না গেলেও, কখনোই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেননি। বরং মেয়েকে ঘিরে তাদের পারিবারিক দায়বদ্ধতা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। সম্প্রতি কন্যা আরাধ্যার একটি স্কুল ইভেন্টে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে, যা অনেকের কল্পনাকে ভুল প্রমাণ করেছে।

যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো যেন খুব সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন অভিষেক বচ্চনের এই কঠোর অথচ সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সময়োপযোগী ও সাহসী। তার কথার মর্মার্থ একটাই—তারকারাও মানুষ, তাদের পরিবার অনুভূতি আছে। দায়িত্বহীন মন্তব্য কেবল তাদের নয়, পুরো সমাজকেই আহত করে।
এই বার্তা হয়তো অনেকের চেতনাকে নাড়া দেবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে অভিষেকের কড়া জবাব: “আমার পরিবার আছে, আপনাদের ব্যথা দেওয়ার অধিকার নেই”

Update Time : ০৭:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

c7883de5da8c94f8a038a5e280ceeb54 6862713409e1f

বলিউডের অন্যতম আলোচিত তারকা জুটি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন—যাঁদের প্রেম, বিয়ে এবং পারিবারিক জীবনের নানা পর্ব এক সময় রূপকথার মতো মনে হয়েছিল দর্শকের কাছে। ২০০৭ সালে বিয়ের পর ২০১১ সালে তাদের কন্যা আরাধ্যার জন্ম হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়মিতভাবে উঠে আসছে সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই গুঞ্জনের শুরু কখনো ঐশ্বরিয়ার একা মেয়েকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া, কখনো শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা, আবার কখনো অভিষেকের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে বিভিন্ন জল্পনা থেকে। বলিউডের একাংশ বারবারই ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল, এই দম্পতির মধ্যে হয়তো টানাপোড়েন চলছে। এসব জল্পনার জবাবে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বচ্চন—কঠোর ভাষায়।

আমার পরিবারের অনুভূতি আছে, সবার নয়

সম্প্রতি এক ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন বলেন,
কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমার পরিবার আছে, যাদের অনুভূতি আছে। ওরা কষ্ট পায় এইসব গুজব থেকে। আপনি যদি ভাবেন আমি সব কিছুর ব্যাখ্যা দেব, তাহলে ভুল করছেন। কারণ, আমার কথা তো ভুলভাবেই ব্যাখ্যা করা হবে। নেতিবাচক খবরই তো বেশি চলে, বেশি বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন,
যারা এভাবে গুজব ছড়ান, তাঁরা আমার কেউ না। আমার জীবন বাঁচাতে আপনি আসবেন না। তাহলে কেন আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করবেন? কম্পিউটারের সামনে বসে ভুলভাল মন্তব্য করা খুব সহজ। কিন্তু ভাবুন তো, সেই মন্তব্য কেউ পড়ছে, যিনি সত্যিই কষ্ট পাচ্ছেন। বুঝতে পারি না কতটা মোটা চামড়ার হলে এমন কথা বলা যায়।

উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব তাদের, আমার নয়

অভিষেক স্পষ্ট করে জানান, এইসব ভিত্তিহীন গুজবের উত্তর দেওয়া তার দায়িত্ব নয়। বরং যারা এসব কথা রটাচ্ছেন, তারাই উত্তর দিন।

আমি কাউকে উত্তর

দিতে বাধ্য নই। এই গুজবের জবাব তাদেরই দেওয়া উচিত, যারা এই গুজব ছড়ায়। আমার বক্তব্যে কিছু যায় আসে না। বরং আমি চাই, মানুষ একটু মানবিক হোক। কারণ, এসব মন্তব্যের পেছনে বাস্তব মানুষ, পরিবার অনুভূতি জড়িয়ে থাকে।

গুজব বনাম বাস্তবতা

বলিউডে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। তবে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার ক্ষেত্রে তা যেন একপ্রকার নিয়মিত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতদিন দুজনের কেউই এসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। কিন্তু এবারের অভিষেকের বক্তব্য অত্যন্ত সরাসরি এবং আবেগঘন—যা বহুদিনের বিতর্ককে অনেকটা স্তব্ধ করে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বলিউড পর্যবেক্ষকরা।

একসঙ্গে, নীরবে পথচলা

বিগত বছরগুলোতে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক অনেক সময়ই একসঙ্গে অনুষ্ঠানে দেখা না গেলেও, কখনোই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেননি। বরং মেয়েকে ঘিরে তাদের পারিবারিক দায়বদ্ধতা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। সম্প্রতি কন্যা আরাধ্যার একটি স্কুল ইভেন্টে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে, যা অনেকের কল্পনাকে ভুল প্রমাণ করেছে।

যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো যেন খুব সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন অভিষেক বচ্চনের এই কঠোর অথচ সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সময়োপযোগী ও সাহসী। তার কথার মর্মার্থ একটাই—তারকারাও মানুষ, তাদের পরিবার অনুভূতি আছে। দায়িত্বহীন মন্তব্য কেবল তাদের নয়, পুরো সমাজকেই আহত করে।
এই বার্তা হয়তো অনেকের চেতনাকে নাড়া দেবে।