খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন? পিনাকীর পোস্টে জল্পনা-কল্পনা ও আলোড়ন

- Update Time : ০৫:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ৪২ Time View
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব দিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। সোমবার (৩০ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
ওই পোস্টে খালেদা জিয়ার একটি ছবি শেয়ার করে পিনাকী লেখেন, “নতুন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি—যার হাতে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদার পতাকা সবসময় থাকবে সুরক্ষিত ও সমুন্নত।”
পোস্টের কিছুক্ষণ আগেই আরেকটি পোস্টে পিনাকী লেখেন, “‘চুপ্পু যাচ্ছে, কে হচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট? উত্তর জানতে একটু অপেক্ষা করুন।” এই দুই পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় জোর জল্পনা।
পিনাকী তার ইউটিউব চ্যানেলেও এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য একমাত্র যোগ্য ব্যক্তিই রয়েছেন—তিনি বেগম খালেদা জিয়া। ইতিহাসের এই মহানায়িকা আমাদের শিখিয়েছেন মাথা উঁচু করে লড়াই করতে। তিনি একসময় বলেছিলেন—‘ওদের হাতে গোলামির জিঞ্জির, আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা।’ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আজ তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এখন হোক দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি।”
তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া এবং নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস—এই দুই প্রবীণ অভিভাবকই আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশের সূচনায় পৌঁছে দিতে পারেন। খালেদা জিয়া সবসময় এই দেশকে দিয়েছেন, কিন্তু আমরা তাকে কিছুই দিতে পারিনি। এবার সময় এসেছে দেশ তাকে সম্মান জানানোর—রাষ্ট্রপতি বানিয়ে।”
পিনাকী আরও যোগ করেন, “আমরা এমন দুই নেতার নেতৃত্ব একসঙ্গে আর কখনো পাব না। আমরা চাই বেগম খালেদা জিয়ার অধীনেই নির্বাচন হোক, সংসদ সদস্যরা তার কাছেই শপথ নিক। তার অভিভাবকত্বেই হতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।”
পিনাকীর এ বক্তব্য ও পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ একে সাহসী চিন্তা বলে স্বাগত জানিয়েছেন, কেউবা একে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবেও দেখছেন। তবে বিতর্ক যাই হোক, খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আসনে কল্পনা করাও যে একটি বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে স্পষ্ট।
Please Share This Post in Your Social Media

খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন? পিনাকীর পোস্টে জল্পনা-কল্পনা ও আলোড়ন

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব দিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। সোমবার (৩০ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
ওই পোস্টে খালেদা জিয়ার একটি ছবি শেয়ার করে পিনাকী লেখেন, “নতুন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি—যার হাতে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদার পতাকা সবসময় থাকবে সুরক্ষিত ও সমুন্নত।”
পোস্টের কিছুক্ষণ আগেই আরেকটি পোস্টে পিনাকী লেখেন, “‘চুপ্পু যাচ্ছে, কে হচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট? উত্তর জানতে একটু অপেক্ষা করুন।” এই দুই পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় জোর জল্পনা।
পিনাকী তার ইউটিউব চ্যানেলেও এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য একমাত্র যোগ্য ব্যক্তিই রয়েছেন—তিনি বেগম খালেদা জিয়া। ইতিহাসের এই মহানায়িকা আমাদের শিখিয়েছেন মাথা উঁচু করে লড়াই করতে। তিনি একসময় বলেছিলেন—‘ওদের হাতে গোলামির জিঞ্জির, আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা।’ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আজ তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এখন হোক দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি।”
তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া এবং নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস—এই দুই প্রবীণ অভিভাবকই আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশের সূচনায় পৌঁছে দিতে পারেন। খালেদা জিয়া সবসময় এই দেশকে দিয়েছেন, কিন্তু আমরা তাকে কিছুই দিতে পারিনি। এবার সময় এসেছে দেশ তাকে সম্মান জানানোর—রাষ্ট্রপতি বানিয়ে।”
পিনাকী আরও যোগ করেন, “আমরা এমন দুই নেতার নেতৃত্ব একসঙ্গে আর কখনো পাব না। আমরা চাই বেগম খালেদা জিয়ার অধীনেই নির্বাচন হোক, সংসদ সদস্যরা তার কাছেই শপথ নিক। তার অভিভাবকত্বেই হতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।”
পিনাকীর এ বক্তব্য ও পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ একে সাহসী চিন্তা বলে স্বাগত জানিয়েছেন, কেউবা একে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবেও দেখছেন। তবে বিতর্ক যাই হোক, খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতির আসনে কল্পনা করাও যে একটি বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে স্পষ্ট।