ইরান দূতাবাসে শোক বইয়ে জামায়াতের স্বাক্ষর: ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও সংহতি প্রকাশ

- Update Time : ০৫:৫৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ৫২ Time View

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানি নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও সংহতি জানিয়ে ইরান দূতাবাসে শোক বইতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা। দলটির দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসে উপস্থিত হন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দলের মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। তারা ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে জামায়াত নেতারা বলেন, “ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের ঘোরতর লঙ্ঘন করে ইরানের উপর সরাসরি হামলা চালিয়েছে। এই বর্বর আগ্রাসনে ইরানের সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ বহু নাগরিক শাহাদতবরণ করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার এক হীন ষড়যন্ত্র।”
তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ইরানের জনগণের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।”
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে ডা. তাহের নিহতদের ‘শহীদ’ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। একইসাথে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং নিহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি জামায়াত প্রতিনিধিদলের এই মানবিক সহমর্মিতা ও নৈতিক অবস্থানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ সবসময় নির্যাতিত ও নিপীড়িতদের পাশে থেকেছে। জামায়াতের এই সংহতি ও প্রতিবাদ আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের এই সহানুভূতির প্রতি কৃতজ্ঞ।”
সাক্ষাতের সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক সৌজন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি প্রতীকী অবস্থান প্রকাশ। বিশেষ করে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও প্রতিবাদের বার্তা তুলে ধরতে জামায়াতের এ ধরনের কূটনৈতিক অংশগ্রহণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
Please Share This Post in Your Social Media

ইরান দূতাবাসে শোক বইয়ে জামায়াতের স্বাক্ষর: ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও সংহতি প্রকাশ


ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানি নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও সংহতি জানিয়ে ইরান দূতাবাসে শোক বইতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা। দলটির দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসে উপস্থিত হন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দলের মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। তারা ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে জামায়াত নেতারা বলেন, “ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের ঘোরতর লঙ্ঘন করে ইরানের উপর সরাসরি হামলা চালিয়েছে। এই বর্বর আগ্রাসনে ইরানের সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ বহু নাগরিক শাহাদতবরণ করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার এক হীন ষড়যন্ত্র।”
তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ইরানের জনগণের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।”
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে ডা. তাহের নিহতদের ‘শহীদ’ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। একইসাথে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং নিহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি জামায়াত প্রতিনিধিদলের এই মানবিক সহমর্মিতা ও নৈতিক অবস্থানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ সবসময় নির্যাতিত ও নিপীড়িতদের পাশে থেকেছে। জামায়াতের এই সংহতি ও প্রতিবাদ আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের এই সহানুভূতির প্রতি কৃতজ্ঞ।”
সাক্ষাতের সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক সৌজন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি প্রতীকী অবস্থান প্রকাশ। বিশেষ করে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও প্রতিবাদের বার্তা তুলে ধরতে জামায়াতের এ ধরনের কূটনৈতিক অংশগ্রহণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।