এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা: সেবা বিঘ্নে উদ্বেগ, শাস্তির মুখে দোষীরা

- Update Time : ১০:৫৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / ৭১ Time View
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের দপ্তরে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি ও আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছে। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, বিলম্বে অফিসে আসা কিংবা অননুমোদিতভাবে দপ্তর ত্যাগ করাকে সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী আচরণ হিসেবে বিবেচনা করে এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে এনবিআর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে
শনিবার (২৮ জুন) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, চলমান অর্থবছরের শেষ সময়ে যখন রাজস্ব সংগ্রহ ও আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, তখন মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতি এবং সময়মতো দায়িত্ব পালন না করায় জনসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এনবিআর বলেছে, তারা এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে, বিশেষ করে এমন সময় যখন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে সারা দেশে রাজস্ব বিভাগে কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা যদি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অফিসে উপস্থিত না হন, কিংবা অনুমতি ছাড়া দপ্তর ত্যাগ করেন, তাহলে তা ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা’ অনুযায়ী শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেন এই সতর্কতা?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের রাজস্ব আহরণে প্রধান ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে সরকারি কোষাগারে অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করাই এর প্রধান দায়িত্ব। বছরের শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এনবিআর এবং এর অধীনস্থ দপ্তরগুলোকে সর্বোচ্চ তৎপরতা দেখাতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে শুরু হওয়া আন্দোলনের কারণে মাঠপর্যায়ে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরগুলোতে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে এনবিআর মনে করছে, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির স্বার্থে এ ধরনের অচলাবস্থাকে কোনোমতেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। জনসাধারণের সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে এবং ব্যবসায়ীরা যথাসময়ে কাগজপত্র, ছাড়পত্র ও রাজস্ব সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এ কড়া সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশনা
এনবিআর বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অর্থবছরের শেষ তিন কর্মদিবস—২৮, ২৯ ও ৩০ জুন—ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আহরণ স্বাভাবিক রাখতে এনবিআরের অধীন কাস্টমস হাউস, কর অঞ্চল, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটসহ সব বিভাগীয় দপ্তরের কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—তারা যেন নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন এবং সেবা কার্যক্রম সচল রাখেন।
বিশেষভাবে বলা হয়েছে, অফিস চলাকালে কোনো কর্মকর্তা যদি জরুরি প্রয়োজনে অফিস ত্যাগ করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই তার দপ্তর প্রধানের পূর্বানুমতি নিতে হবে এবং নির্ধারিত ‘অফিস ত্যাগ রেজিস্টারে’ সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক এবং এর ব্যত্যয় হলে দাপ্তরিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
প্রসঙ্গত, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ নামক একটি প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘদিন ধরে এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংস্কার, পদোন্নতির সুষ্ঠু নীতিমালা, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, এবং স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিষদ ২৮ জুন থেকে সারা দেশে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে দেশব্যাপী রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম স্থবির হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনবিআরের দৃষ্টিভঙ্গি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, তারা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবিগুলোকে সম্মান করে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী। তবে সেই সঙ্গে তারা এটাও স্পষ্ট করেছে যে, জনসেবা, জাতীয় রাজস্ব এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকে অবহেলা বা অচলাবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া চলবে না। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা সরকারি কর্মচারীদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব।
এনবিআর বলেছে, তারা দপ্তরের মধ্যে একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ ও জনবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে চায়, যাতে রাজস্ব আদায়ে গতি আসে এবং জনগণ সময়মতো সরকারি সেবা পায়। তারা আশা প্রকাশ করেছে, দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্বশীল আচরণ করবেন এবং প্রশাসনিক কাঠামোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই সতর্কতা কেবল একটি প্রশাসনিক আদেশ নয়, এটি জনস্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এমন সময় যখন দেশের অর্থনীতি নানা চাপে রয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেশি, তখন এনবিআর তার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় অবস্থানে যাচ্ছে। এনবিআরের এই উদ্যোগ সুশাসন, জবাবদিহি ও জনসেবার মানোন্নয়নে সহায়ক হবে বলেই আশা করা যায়।
Please Share This Post in Your Social Media

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা: সেবা বিঘ্নে উদ্বেগ, শাস্তির মুখে দোষীরা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের দপ্তরে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিতি ও আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছে। অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, বিলম্বে অফিসে আসা কিংবা অননুমোদিতভাবে দপ্তর ত্যাগ করাকে সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী আচরণ হিসেবে বিবেচনা করে এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে এনবিআর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে
শনিবার (২৮ জুন) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, চলমান অর্থবছরের শেষ সময়ে যখন রাজস্ব সংগ্রহ ও আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, তখন মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতি এবং সময়মতো দায়িত্ব পালন না করায় জনসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এনবিআর বলেছে, তারা এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে, বিশেষ করে এমন সময় যখন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে সারা দেশে রাজস্ব বিভাগে কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা যদি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অফিসে উপস্থিত না হন, কিংবা অনুমতি ছাড়া দপ্তর ত্যাগ করেন, তাহলে তা ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা’ অনুযায়ী শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেন এই সতর্কতা?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের রাজস্ব আহরণে প্রধান ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে সরকারি কোষাগারে অর্থ প্রবাহ নিশ্চিত করাই এর প্রধান দায়িত্ব। বছরের শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এনবিআর এবং এর অধীনস্থ দপ্তরগুলোকে সর্বোচ্চ তৎপরতা দেখাতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে শুরু হওয়া আন্দোলনের কারণে মাঠপর্যায়ে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরগুলোতে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে এনবিআর মনে করছে, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির স্বার্থে এ ধরনের অচলাবস্থাকে কোনোমতেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। জনসাধারণের সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে এবং ব্যবসায়ীরা যথাসময়ে কাগজপত্র, ছাড়পত্র ও রাজস্ব সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এ কড়া সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশনা
এনবিআর বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অর্থবছরের শেষ তিন কর্মদিবস—২৮, ২৯ ও ৩০ জুন—ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আহরণ স্বাভাবিক রাখতে এনবিআরের অধীন কাস্টমস হাউস, কর অঞ্চল, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটসহ সব বিভাগীয় দপ্তরের কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—তারা যেন নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন এবং সেবা কার্যক্রম সচল রাখেন।
বিশেষভাবে বলা হয়েছে, অফিস চলাকালে কোনো কর্মকর্তা যদি জরুরি প্রয়োজনে অফিস ত্যাগ করতে চান, তবে তাকে অবশ্যই তার দপ্তর প্রধানের পূর্বানুমতি নিতে হবে এবং নির্ধারিত ‘অফিস ত্যাগ রেজিস্টারে’ সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক এবং এর ব্যত্যয় হলে দাপ্তরিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
প্রসঙ্গত, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ নামক একটি প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘদিন ধরে এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংস্কার, পদোন্নতির সুষ্ঠু নীতিমালা, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, এবং স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিষদ ২৮ জুন থেকে সারা দেশে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে দেশব্যাপী রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম স্থবির হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনবিআরের দৃষ্টিভঙ্গি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, তারা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবিগুলোকে সম্মান করে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী। তবে সেই সঙ্গে তারা এটাও স্পষ্ট করেছে যে, জনসেবা, জাতীয় রাজস্ব এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকে অবহেলা বা অচলাবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া চলবে না। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা সরকারি কর্মচারীদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব।
এনবিআর বলেছে, তারা দপ্তরের মধ্যে একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ ও জনবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে চায়, যাতে রাজস্ব আদায়ে গতি আসে এবং জনগণ সময়মতো সরকারি সেবা পায়। তারা আশা প্রকাশ করেছে, দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্বশীল আচরণ করবেন এবং প্রশাসনিক কাঠামোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই সতর্কতা কেবল একটি প্রশাসনিক আদেশ নয়, এটি জনস্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এমন সময় যখন দেশের অর্থনীতি নানা চাপে রয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেশি, তখন এনবিআর তার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় অবস্থানে যাচ্ছে। এনবিআরের এই উদ্যোগ সুশাসন, জবাবদিহি ও জনসেবার মানোন্নয়নে সহায়ক হবে বলেই আশা করা যায়।