মাকে হাসপাতালে রেখে কেন্দ্রে দেরিতে আসা ছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

- Update Time : ০২:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
- / ৮০ Time View
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনেই একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার মুখোমুখি হয় রাজধানীর এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
ঘটনার সময় ছাত্রীটি কেন্দ্রে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অসহায় সেই মূহূর্তের ছবি ও ভিডিও দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তার মানবিক পরিস্থিতির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তার পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রীটির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিষয়টি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং এটি এখন বিবেচনাধীন রয়েছে। ছাত্রীটি মাকে হাসপাতালে রেখে পরীক্ষায় আসতে গিয়ে যে ত্যাগ ও মানবিক দায়িত্ব দেখিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থী অমানবিক পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা হারিয়ে ফেলুক।”
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, পরীক্ষার বিধিমালা কঠোর হলেও বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে পুনঃপরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে যথাযথ নথিপত্র ও সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে।
এদিকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদরাও এই বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, একটি পরীক্ষার চেয়ে একজন শিক্ষার্থীর মানবিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক দায়িত্ববোধ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।
সবার প্রত্যাশা, কর্তৃপক্ষ মানবিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে এবং ছাত্রীটি যেন তার স্বপ্ন পূরণের পথে নতুন করে এগিয়ে যেতে পারে।
Please Share This Post in Your Social Media

মাকে হাসপাতালে রেখে কেন্দ্রে দেরিতে আসা ছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনেই একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার মুখোমুখি হয় রাজধানীর এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
ঘটনার সময় ছাত্রীটি কেন্দ্রে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অসহায় সেই মূহূর্তের ছবি ও ভিডিও দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তার মানবিক পরিস্থিতির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তার পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রীটির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিষয়টি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং এটি এখন বিবেচনাধীন রয়েছে। ছাত্রীটি মাকে হাসপাতালে রেখে পরীক্ষায় আসতে গিয়ে যে ত্যাগ ও মানবিক দায়িত্ব দেখিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থী অমানবিক পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা হারিয়ে ফেলুক।”
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, পরীক্ষার বিধিমালা কঠোর হলেও বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে পুনঃপরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে যথাযথ নথিপত্র ও সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে।
এদিকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদরাও এই বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, একটি পরীক্ষার চেয়ে একজন শিক্ষার্থীর মানবিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক দায়িত্ববোধ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।
সবার প্রত্যাশা, কর্তৃপক্ষ মানবিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে এবং ছাত্রীটি যেন তার স্বপ্ন পূরণের পথে নতুন করে এগিয়ে যেতে পারে।