ইসলামে ডিপ্রেশন: কোরআন ও হাদীসের আলোকে করণীয়

- Update Time : ১২:৪০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / ১২৯ Time View
মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিপ্রেশনকে একটি নির্ধারিত মানসিক রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার লক্ষণগুলো হচ্ছে দুঃখবোধ, হতাশা, আগ্রহের অভাব, আত্মবিশ্বাসহীনতা, নিঃসঙ্গতা এবং কখনও আত্মহত্যার প্রবণতা। ইসলামের আলোকে ডিপ্রেশনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কোরআন ও হাদীসে মনোবিজ্ঞানের দিক নির্দেশনামূলক বহু বক্তব্য রয়েছে, যা একজন মুমিনকে এই ধরনের মানসিক সংকট থেকে উত্তরণে সাহায্য করতে পারে।
ডিপ্রেশন সম্পর্কে ইসলামের স্বরূপ দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম একজন মানুষকে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে পূর্ণ সুস্থতার জন্য উৎসাহিত করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন:
“যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে পথ দেখান। আর যিনি আমাকে আহার্য দেন এবং পান করান। আর যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।“
— (সুরা আশ-শু’আরা: ৭৮-৮০)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ রোগের যেমন সৃষ্টিকর্তা, তিনিই তার আরোগ্যও দানকারী। মানসিক রোগও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসলাম ডিপ্রেশনকে কোনো দোষ বা গুনাহ হিসেবে দেখেনি, বরং এটিকে একটি মানবিক দুর্বলতা ও রোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে, যার সমাধান রয়েছে সঠিক আস্থা, ধৈর্য ও চিকিৎসার মাধ্যমে।
কোরআনে আশার বাণী: হতাশা হারাম
ডিপ্রেশনের সবচেয়ে বড় অংশ হলো হতাশা বা ইয়أس। অথচ ইসলাম স্পষ্টভাবে হতাশা ও নিরাশাকে নিষিদ্ধ করেছে:
“আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে থাকেন। নিশ্চয় তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।“
— (সুরা যুমার: ৫৩)
এই আয়াত প্রতিটি হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। আল্লাহর করুণা এতই সীমাহীন যে, সব গোনাহ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি তিনি নিজেই দিয়েছেন। একজন মুমিন কখনও পুরোপুরি ভেঙে পড়বে না, কারণ তার আস্থা থাকে তার প্রভুর অশেষ রহমতের উপর।
নবী (সা.)-এর জীবনে মনোবেদনার সময়কাল
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনেও বহুবার এমন পরিস্থিতি এসেছে, যা মানসিক অবসাদের অনুরূপ। যেমন, তার স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর বছরকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন “আমুল হুযন“ বা দুঃখের বছর হিসেবে। তিনি কেঁদেছেন, ব্যথিত হয়েছেন, নিঃসঙ্গ হয়েছেন — কিন্তু কখনোই হতাশ হননি।
ধৈর্য ও সবরের গুরুত্ব
ডিপ্রেশন মোকাবেলায় ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় সবর বা ধৈর্য-কে। কোরআনে বলা হয়েছে:
“নিশ্চয়ই আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার দিব অসীমভাবে।“
— (সুরা যুমার: ১০)
ধৈর্য কেবল দুঃখ সহ্য করাই নয়, বরং ভবিষ্যতের ভালো আশা করেও আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখার নাম। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক শক্তি, যা আত্মাকে দৃঢ় রাখে এবং হতাশা দূর করে।
নবী (সা.)-এর দোয়া: মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য
রাসূল (সা.) হতাশা বা দুঃখবোধ কাটানোর জন্য কিছু দোয়া শিখিয়েছেন। একটি বিখ্যাত হাদীসে বলা হয়েছে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجزِ وَالكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبنِ وَالبُخلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ غَلَبَةِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।
“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুঃখ ও দুশ্চিন্তা থেকে, আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আমি আশ্রয় চাই কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে, আমি আশ্রয় চাই ঋণের ভার ও মানুষের চাপে পড়া থেকে।“
— (সহিহ বুখারী: ২৮৯৩)
এই দোয়াটি প্রতিদিন পাঠ করা মনের ভার হালকা করতে সাহায্য করে এবং হৃদয়কে প্রশান্ত করে।
নামাজ ও কুরআন পাঠ: আত্মিক প্রশান্তির উৎস
আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহর জিকিরেই হৃদয় প্রশান্তি পায়।“
— (সুরা রা’দ: ২৮)
ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপের সময় নিয়মিত সালাত আদায়, কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির মনের ভেতরে প্রশান্তি আনে। গবেষণায়ও দেখা গেছে, প্রার্থনা ও মেডিটেশন মনকে শান্ত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
চিকিৎসা গ্রহণে বাধা নেই
ইসলাম কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে নিরুৎসাহিত করে না। হাদীসে এসেছে:
“আল্লাহ তা’আলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিকার তিনি সৃষ্টি করেননি।“
— (সহিহ বুখারী: ৫৬৭৮)
অতএব, কেউ যদি ডিপ্রেশনে ভোগেন, তবে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াও ইসলামে অনুমোদিত এবং প্রশংসনীয়। তা হল ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক চিকিৎসা একত্রে প্রয়োগ করা।
সমাজ ও পরিবারে সহানুভূতির ভূমিকা
ডিপ্রেশন আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো সামাজিক এবং ধর্মীয় দায়িত্ব। তাদের প্রতি করুণা, সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে রাসূল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:
“তুমি কারো মুখে হাসি ফোটালে, সেটাও সদকা।“
— (তিরমিযি)
কোনো মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মানুষকে মনোবল ফিরিয়ে দিতে একটি ভালো কথা, একটি সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এক উপায়।
ইসলাম ডিপ্রেশনকে একটি মানবিক দুর্বলতা হিসেবে দেখে এবং তার প্রতিকারে আল্লাহর রহমত, সবর, নামাজ, দোয়া, সহানুভূতি ও চিকিৎসার সমন্বয় নির্দেশ করে। তাই ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির উচিত আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তার করুণা প্রত্যাশা করা, একইসাথে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা দেহ ও মনের পূর্ণ সুস্থতা নিশ্চিত করে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে।
Please Share This Post in Your Social Media
2 thoughts on “ইসলামে ডিপ্রেশন: কোরআন ও হাদীসের আলোকে করণীয়”
Write Your Comment

ইসলামে ডিপ্রেশন: কোরআন ও হাদীসের আলোকে করণীয়

মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিপ্রেশনকে একটি নির্ধারিত মানসিক রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার লক্ষণগুলো হচ্ছে দুঃখবোধ, হতাশা, আগ্রহের অভাব, আত্মবিশ্বাসহীনতা, নিঃসঙ্গতা এবং কখনও আত্মহত্যার প্রবণতা। ইসলামের আলোকে ডিপ্রেশনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কোরআন ও হাদীসে মনোবিজ্ঞানের দিক নির্দেশনামূলক বহু বক্তব্য রয়েছে, যা একজন মুমিনকে এই ধরনের মানসিক সংকট থেকে উত্তরণে সাহায্য করতে পারে।
ডিপ্রেশন সম্পর্কে ইসলামের স্বরূপ দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম একজন মানুষকে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে পূর্ণ সুস্থতার জন্য উৎসাহিত করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন:
“যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে পথ দেখান। আর যিনি আমাকে আহার্য দেন এবং পান করান। আর যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।“
— (সুরা আশ-শু’আরা: ৭৮-৮০)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ রোগের যেমন সৃষ্টিকর্তা, তিনিই তার আরোগ্যও দানকারী। মানসিক রোগও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসলাম ডিপ্রেশনকে কোনো দোষ বা গুনাহ হিসেবে দেখেনি, বরং এটিকে একটি মানবিক দুর্বলতা ও রোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে, যার সমাধান রয়েছে সঠিক আস্থা, ধৈর্য ও চিকিৎসার মাধ্যমে।
কোরআনে আশার বাণী: হতাশা হারাম
ডিপ্রেশনের সবচেয়ে বড় অংশ হলো হতাশা বা ইয়أس। অথচ ইসলাম স্পষ্টভাবে হতাশা ও নিরাশাকে নিষিদ্ধ করেছে:
“আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে থাকেন। নিশ্চয় তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।“
— (সুরা যুমার: ৫৩)
এই আয়াত প্রতিটি হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। আল্লাহর করুণা এতই সীমাহীন যে, সব গোনাহ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি তিনি নিজেই দিয়েছেন। একজন মুমিন কখনও পুরোপুরি ভেঙে পড়বে না, কারণ তার আস্থা থাকে তার প্রভুর অশেষ রহমতের উপর।
নবী (সা.)-এর জীবনে মনোবেদনার সময়কাল
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনেও বহুবার এমন পরিস্থিতি এসেছে, যা মানসিক অবসাদের অনুরূপ। যেমন, তার স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর বছরকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন “আমুল হুযন“ বা দুঃখের বছর হিসেবে। তিনি কেঁদেছেন, ব্যথিত হয়েছেন, নিঃসঙ্গ হয়েছেন — কিন্তু কখনোই হতাশ হননি।
ধৈর্য ও সবরের গুরুত্ব
ডিপ্রেশন মোকাবেলায় ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় সবর বা ধৈর্য-কে। কোরআনে বলা হয়েছে:
“নিশ্চয়ই আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার দিব অসীমভাবে।“
— (সুরা যুমার: ১০)
ধৈর্য কেবল দুঃখ সহ্য করাই নয়, বরং ভবিষ্যতের ভালো আশা করেও আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখার নাম। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক শক্তি, যা আত্মাকে দৃঢ় রাখে এবং হতাশা দূর করে।
নবী (সা.)-এর দোয়া: মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য
রাসূল (সা.) হতাশা বা দুঃখবোধ কাটানোর জন্য কিছু দোয়া শিখিয়েছেন। একটি বিখ্যাত হাদীসে বলা হয়েছে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجزِ وَالكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبنِ وَالبُخلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ غَلَبَةِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।
“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুঃখ ও দুশ্চিন্তা থেকে, আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আমি আশ্রয় চাই কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে, আমি আশ্রয় চাই ঋণের ভার ও মানুষের চাপে পড়া থেকে।“
— (সহিহ বুখারী: ২৮৯৩)
এই দোয়াটি প্রতিদিন পাঠ করা মনের ভার হালকা করতে সাহায্য করে এবং হৃদয়কে প্রশান্ত করে।
নামাজ ও কুরআন পাঠ: আত্মিক প্রশান্তির উৎস
আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহর জিকিরেই হৃদয় প্রশান্তি পায়।“
— (সুরা রা’দ: ২৮)
ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপের সময় নিয়মিত সালাত আদায়, কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির মনের ভেতরে প্রশান্তি আনে। গবেষণায়ও দেখা গেছে, প্রার্থনা ও মেডিটেশন মনকে শান্ত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
চিকিৎসা গ্রহণে বাধা নেই
ইসলাম কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে নিরুৎসাহিত করে না। হাদীসে এসেছে:
“আল্লাহ তা’আলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিকার তিনি সৃষ্টি করেননি।“
— (সহিহ বুখারী: ৫৬৭৮)
অতএব, কেউ যদি ডিপ্রেশনে ভোগেন, তবে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াও ইসলামে অনুমোদিত এবং প্রশংসনীয়। তা হল ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক চিকিৎসা একত্রে প্রয়োগ করা।
সমাজ ও পরিবারে সহানুভূতির ভূমিকা
ডিপ্রেশন আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো সামাজিক এবং ধর্মীয় দায়িত্ব। তাদের প্রতি করুণা, সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে রাসূল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:
“তুমি কারো মুখে হাসি ফোটালে, সেটাও সদকা।“
— (তিরমিযি)
কোনো মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মানুষকে মনোবল ফিরিয়ে দিতে একটি ভালো কথা, একটি সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এক উপায়।
ইসলাম ডিপ্রেশনকে একটি মানবিক দুর্বলতা হিসেবে দেখে এবং তার প্রতিকারে আল্লাহর রহমত, সবর, নামাজ, দোয়া, সহানুভূতি ও চিকিৎসার সমন্বয় নির্দেশ করে। তাই ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির উচিত আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তার করুণা প্রত্যাশা করা, একইসাথে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যা দেহ ও মনের পূর্ণ সুস্থতা নিশ্চিত করে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে।
আরবি দোয়াটা সহ দিয়ে দিতে লেখক ও সম্পাদক দলকে অনুরোধ করছি : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجزِ وَالكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبنِ وَالبُخلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ غَلَبَةِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।
অনেকেই এটা মুখস্থ করতে পারবে যদি আপনারা এটি সংযুক্ত করে দিন। সুন্দর লেখা।
ধন্যবাদ… মুহতারাম আপনার অনুরোধ দোয়াটা সংযুক্ত করা হল