হজ টিমে মালি, গাড়িচালক ও পিয়ন: সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন সফরসঙ্গী

- Update Time : ১১:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
- / ৩২ Time View
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে যান। তাদের সেবা, নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে একাধিক টিম পাঠায়। উদ্দেশ্য—হাজিদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা। তবে বাস্তবতা বলছে, এই উদ্যোগে দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নতুন কোনো বিষয় নয়।
চলতি বছরও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গঠিত পাঁচটি টিমে মোট ২৯৩ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী হজ উপলক্ষে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মালি, গাড়িচালক, পিয়ন, গানম্যান, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও টাইপিস্ট। যদিও মন্ত্রণালয় বলছে, এসব নিয়োগ নীতিমালা মেনেই করা হয়েছে, তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন
উপদেষ্টার সফরসঙ্গী তার স্ত্রী ও দুই বোন:
গত ২৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা একটি নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়—সরকারি ব্যয়ে বিদেশ সফরের সময় কোনো কর্মকর্তার স্ত্রী, স্বামী বা সন্তান সফরসঙ্গী হতে পারবেন না। অথচ হজ মনিটরিং টিমে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন-এর সঙ্গে গেছেন তার স্ত্রী কামরুন্নেসা হাসিনা ও দুই বোন খন্দকার উম্মে সালমা এবং আরিফা মাহবুবা। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান-এর স্ত্রী মোরশেদা পারভীনও আছেন ওই টিমে।
যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয় দাবি করেছে—তাঁরা ব্যক্তিগত খরচে গেছেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এটা যদি ব্যক্তিগত হজ হতো, তাহলে তারা কেন সরকারি মনিটরিং টিমের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত? এভাবে সরকারি নীতিমালাকে পাশ কাটিয়ে সুবিধা নেওয়া যে দায়িত্বহীনতা ও স্বজনপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না
কমিটির আড়ালে ভ্রমণবিলাস: অপ্রয়োজনীয় জনবল দিয়ে সেবার নামে অপচয়
ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর কারিগরি ও সহায়ক টিমে যে ৬৪ জন কর্মচারী পাঠিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তালিকায় রয়েছেন:
- মালি: বেগম সুমা আক্তার
- গাড়িচালক: আক্তারুজ্জামান সরকার, টিটু মিয়া, বাকিউল আলম প্রমুখ
- অফিস সহায়ক: মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আরমান, তানিয়া আক্তার
- সাঁট মুদ্রাক্ষরিক, কম্পিউটার অপারেটর, গানম্যানসহ আরও অনেকে
ধর্ম উপদেষ্টা দাবি করেছেন, “হজ মৌসুমে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় যে তিনটি অফিস চালু করা হয়, সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য এসব কর্মচারী দরকার।” যদিও বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, হাজিদের সহায়তার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকর ভূমিকা প্রায় অনুপস্থিত।
অভিজ্ঞতাহীন গাইড, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও হাজিদের দুর্ভোগ
হজে গিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকা হাজিরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, তাদের গাইডের সঙ্গে দেখা হয় বিমানে ওঠার পরে, অনেক সময় সেই গাইড নিজেই জীবনে প্রথমবার হজ করছেন!
অতিরিক্ত দুর্ভোগ দেখা দেয় আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থাপনায়। হাব (হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)-এর সাবেক দুই কর্মকর্তা বলেন, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ের টিমে থাকা বেশিরভাগ কর্মচারীর হজ সংক্রান্ত কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তারা হজের পরিবেশ বোঝেন না, বিদেশে বিপুল হাজিদের সেবা দেয়ার জন্য তারা প্রস্তুত না।”
বেসরকারি এজেন্সিগুলো যেখানে রান্না-বান্না, স্বাস্থ্যসেবা ও রুম সহায়তার মতো বিষয়গুলো নিজস্ব কর্মী দিয়ে দেখভাল করে, সেখানে সরকারি হাজিরা সরকারি গাফিলতির শিকা
প্রশাসনিকভাবে অকার্যকর এবং খাতের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব
হাবের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ একাধিক হজ এজেন্সি মালিক মনে করেন, এই অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় জনবল পাঠিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে। তদুপরি, যাদের হজ সেবায় যাওয়ার কথা—তাঁরা না গিয়ে বদলে যাচ্ছেন এমন লোকজন, যাদের আসলে কোন কাজই নেই সেখানে।
তাঁরা আরও বলেন, “আমরা যখন এসব অনিয়ম নিয়ে কথা বলি, তখন মন্ত্রণালয় হুমকি দেয়। আমাদের লাইসেন্স বাতিল বা শাস্তির ভয় দেখানো হয়।
সরকারি ব্যয়ের নামে আত্মীয়স্বজনের ভ্রমণ সুরক্ষিত?
এবারও দেখা যাচ্ছে, অনেক কর্মচারীকে হজ টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাদের পরিচিতি ‘সফরসঙ্গী’। তাদের মধ্যে আছেন: মাজহারুল ইসলাম, জাফর ইকবাল, রেক্সোনা আক্তার, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, ইকরামুল হক এবং মো. আবদুল জব্বার।
এই চর্চা একটি “চেইন অফ প্রিভিলেজ”-এর সৃষ্টি করে, যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজের ঘনিষ্ঠদের হজের নামে সৌদি ভ্রমণে পাঠান, সরকারি ব্যয় বা প্রভাব খাটিয়ে।
চূড়ান্ত মূল্যায়ন: কীভাবে এই অনিয়ম থামানো যাবে?
সরকারি হজ ব্যবস্থাপনাকে জনবান্ধব ও দক্ষ করতে হলে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি:
- নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ—অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ—হজ টিমে শুধু অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত জনবল পাঠাতে হবে।
- স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ—প্রতি বছর কারা হজ টিমে যাচ্ছেন, তাদের পদবি, দায়িত্ব ও ব্যাকগ্রাউন্ড প্রকাশ্য হতে হবে।
- বেসরকারি খাতের দক্ষতা কাজে লাগানো—সরকারি তত্ত্বাবধানে থাকলেও বাস্তব সেবায় বেসরকারি এজেন্সির ভূমিকাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
- হজ ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন—স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য হজ ম্যানেজমেন্টকে পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে।
পবিত্র হজ কেবল একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি আত্মশুদ্ধি ও মানবসেবার একটি পথ। সেই পবিত্র অভিযাত্রাকে যারা ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্র বানিয়েছেন, তারা ধর্মের সঙ্গে যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, তেমনি দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। এখন সময়—এ অনিয়মের চক্র ছিন্ন করে হজ ব্যবস্থাপনায় সত্যিকারের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার।
Please Share This Post in Your Social Media

হজ টিমে মালি, গাড়িচালক ও পিয়ন: সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন সফরসঙ্গী

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে যান। তাদের সেবা, নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে একাধিক টিম পাঠায়। উদ্দেশ্য—হাজিদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা। তবে বাস্তবতা বলছে, এই উদ্যোগে দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নতুন কোনো বিষয় নয়।
চলতি বছরও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গঠিত পাঁচটি টিমে মোট ২৯৩ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী হজ উপলক্ষে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মালি, গাড়িচালক, পিয়ন, গানম্যান, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও টাইপিস্ট। যদিও মন্ত্রণালয় বলছে, এসব নিয়োগ নীতিমালা মেনেই করা হয়েছে, তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন
উপদেষ্টার সফরসঙ্গী তার স্ত্রী ও দুই বোন:
গত ২৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা একটি নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়—সরকারি ব্যয়ে বিদেশ সফরের সময় কোনো কর্মকর্তার স্ত্রী, স্বামী বা সন্তান সফরসঙ্গী হতে পারবেন না। অথচ হজ মনিটরিং টিমে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন-এর সঙ্গে গেছেন তার স্ত্রী কামরুন্নেসা হাসিনা ও দুই বোন খন্দকার উম্মে সালমা এবং আরিফা মাহবুবা। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান-এর স্ত্রী মোরশেদা পারভীনও আছেন ওই টিমে।
যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয় দাবি করেছে—তাঁরা ব্যক্তিগত খরচে গেছেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এটা যদি ব্যক্তিগত হজ হতো, তাহলে তারা কেন সরকারি মনিটরিং টিমের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত? এভাবে সরকারি নীতিমালাকে পাশ কাটিয়ে সুবিধা নেওয়া যে দায়িত্বহীনতা ও স্বজনপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না
কমিটির আড়ালে ভ্রমণবিলাস: অপ্রয়োজনীয় জনবল দিয়ে সেবার নামে অপচয়
ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর কারিগরি ও সহায়ক টিমে যে ৬৪ জন কর্মচারী পাঠিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তালিকায় রয়েছেন:
- মালি: বেগম সুমা আক্তার
- গাড়িচালক: আক্তারুজ্জামান সরকার, টিটু মিয়া, বাকিউল আলম প্রমুখ
- অফিস সহায়ক: মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আরমান, তানিয়া আক্তার
- সাঁট মুদ্রাক্ষরিক, কম্পিউটার অপারেটর, গানম্যানসহ আরও অনেকে
ধর্ম উপদেষ্টা দাবি করেছেন, “হজ মৌসুমে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় যে তিনটি অফিস চালু করা হয়, সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য এসব কর্মচারী দরকার।” যদিও বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, হাজিদের সহায়তার ক্ষেত্রে তাদের কার্যকর ভূমিকা প্রায় অনুপস্থিত।
অভিজ্ঞতাহীন গাইড, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও হাজিদের দুর্ভোগ
হজে গিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকা হাজিরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, তাদের গাইডের সঙ্গে দেখা হয় বিমানে ওঠার পরে, অনেক সময় সেই গাইড নিজেই জীবনে প্রথমবার হজ করছেন!
অতিরিক্ত দুর্ভোগ দেখা দেয় আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থাপনায়। হাব (হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)-এর সাবেক দুই কর্মকর্তা বলেন, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ের টিমে থাকা বেশিরভাগ কর্মচারীর হজ সংক্রান্ত কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তারা হজের পরিবেশ বোঝেন না, বিদেশে বিপুল হাজিদের সেবা দেয়ার জন্য তারা প্রস্তুত না।”
বেসরকারি এজেন্সিগুলো যেখানে রান্না-বান্না, স্বাস্থ্যসেবা ও রুম সহায়তার মতো বিষয়গুলো নিজস্ব কর্মী দিয়ে দেখভাল করে, সেখানে সরকারি হাজিরা সরকারি গাফিলতির শিকা
প্রশাসনিকভাবে অকার্যকর এবং খাতের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব
হাবের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ একাধিক হজ এজেন্সি মালিক মনে করেন, এই অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় জনবল পাঠিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে। তদুপরি, যাদের হজ সেবায় যাওয়ার কথা—তাঁরা না গিয়ে বদলে যাচ্ছেন এমন লোকজন, যাদের আসলে কোন কাজই নেই সেখানে।
তাঁরা আরও বলেন, “আমরা যখন এসব অনিয়ম নিয়ে কথা বলি, তখন মন্ত্রণালয় হুমকি দেয়। আমাদের লাইসেন্স বাতিল বা শাস্তির ভয় দেখানো হয়।
সরকারি ব্যয়ের নামে আত্মীয়স্বজনের ভ্রমণ সুরক্ষিত?
এবারও দেখা যাচ্ছে, অনেক কর্মচারীকে হজ টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাদের পরিচিতি ‘সফরসঙ্গী’। তাদের মধ্যে আছেন: মাজহারুল ইসলাম, জাফর ইকবাল, রেক্সোনা আক্তার, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, ইকরামুল হক এবং মো. আবদুল জব্বার।
এই চর্চা একটি “চেইন অফ প্রিভিলেজ”-এর সৃষ্টি করে, যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজের ঘনিষ্ঠদের হজের নামে সৌদি ভ্রমণে পাঠান, সরকারি ব্যয় বা প্রভাব খাটিয়ে।
চূড়ান্ত মূল্যায়ন: কীভাবে এই অনিয়ম থামানো যাবে?
সরকারি হজ ব্যবস্থাপনাকে জনবান্ধব ও দক্ষ করতে হলে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি:
- নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ—অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ—হজ টিমে শুধু অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত জনবল পাঠাতে হবে।
- স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ—প্রতি বছর কারা হজ টিমে যাচ্ছেন, তাদের পদবি, দায়িত্ব ও ব্যাকগ্রাউন্ড প্রকাশ্য হতে হবে।
- বেসরকারি খাতের দক্ষতা কাজে লাগানো—সরকারি তত্ত্বাবধানে থাকলেও বাস্তব সেবায় বেসরকারি এজেন্সির ভূমিকাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
- হজ ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন—স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য হজ ম্যানেজমেন্টকে পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে।
পবিত্র হজ কেবল একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি আত্মশুদ্ধি ও মানবসেবার একটি পথ। সেই পবিত্র অভিযাত্রাকে যারা ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্র বানিয়েছেন, তারা ধর্মের সঙ্গে যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, তেমনি দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। এখন সময়—এ অনিয়মের চক্র ছিন্ন করে হজ ব্যবস্থাপনায় সত্যিকারের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার।