ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

- Update Time : ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
- / ৮০ Time View
লন্ডন সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সাক্ষাতের অনুরোধ জানানো হলেও তাতে সাড়া দেননি স্টারমার—ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড. ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা করা যুক্তরাজ্যের নৈতিক দায়িত্ব, কারণ এই অর্থের সিংহভাগই যুক্তরাজ্যে রয়েছে।” যদিও তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, এ বিষয়ে এখনও স্টারমারের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “তার (স্টারমারের) সঙ্গে আমার কোনো সরাসরি বৈঠক হয়নি। তবে আমি আশা করছি, তিনি বাংলাদেশের পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে সহায়তা করবেন। এগুলো চুরি করা টাকা।”
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ড. ইউনূসের সঙ্গে এখনই কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের। তারা এ বিষয়ে আরও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে অধ্যাপক ইউনূস জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে অর্থ উদ্ধার কার্যক্রমে কিছু সহায়তা দিয়েছে ব্রিটেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থ উদ্ধারে ব্রিটেনের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব রয়েছে। আর লন্ডন সফরের মূল লক্ষ্যই ছিল ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে আরও জোরালো সমর্থন নিশ্চিত করা।”
এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে, বিশেষত একটি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নজর কেড়েছে বিশ্লেষকদের।
Please Share This Post in Your Social Media

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

লন্ডন সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সাক্ষাতের অনুরোধ জানানো হলেও তাতে সাড়া দেননি স্টারমার—ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড. ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা করা যুক্তরাজ্যের নৈতিক দায়িত্ব, কারণ এই অর্থের সিংহভাগই যুক্তরাজ্যে রয়েছে।” যদিও তিনি এটাও স্বীকার করেন যে, এ বিষয়ে এখনও স্টারমারের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “তার (স্টারমারের) সঙ্গে আমার কোনো সরাসরি বৈঠক হয়নি। তবে আমি আশা করছি, তিনি বাংলাদেশের পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে সহায়তা করবেন। এগুলো চুরি করা টাকা।”
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ড. ইউনূসের সঙ্গে এখনই কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের। তারা এ বিষয়ে আরও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে অধ্যাপক ইউনূস জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে অর্থ উদ্ধার কার্যক্রমে কিছু সহায়তা দিয়েছে ব্রিটেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থ উদ্ধারে ব্রিটেনের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব রয়েছে। আর লন্ডন সফরের মূল লক্ষ্যই ছিল ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে আরও জোরালো সমর্থন নিশ্চিত করা।”
এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে, বিশেষত একটি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নজর কেড়েছে বিশ্লেষকদের।