সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় মঙ্গলবার,খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা আইনজীবীর

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ১২১ Time View

899058f651314c587146f9b869b16cc2 6833f6a5c955d

899058f651314c587146f9b869b16cc2 6833f6a5c955d

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের রায় ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আগামী মঙ্গলবার। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই রায় প্রদান করবেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির আশা প্রকাশ করেছেন যে, আদালতের রায়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পেতে পারেন। তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ, আগামীকাল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন এবং আমরা আশাবাদী যে তিনি খালাস পাবেন।”

গত ৮ মে এই মামলার আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার জন্য ২৭ মে তারিখ নির্ধারণ করে। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির, যাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এর আগে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ পূর্বের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। সে সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত ১২৫৬ জনকে হত্যা বা গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক করে নির্যাতন এবং বহু ঘরবাড়ি লুট ও আগুন দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনি জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এই মামলায় মোট ছয়টি অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে পাঁচটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই এ রায়কে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে দাবি করে আসছে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামিপক্ষ ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরে তার নির্দোষ দাবি করে আপিল করেন। আপিল বিভাগে দাখিল করা ওই আবেদনপত্রে ছিল ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল ও ২৩৪০ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণধর্মী দলিলপত্র।

এখন অপেক্ষা শুধু মঙ্গলবারের রায়ের, যা নির্ধারণ করবে এটিএম আজহারের ভাগ্য।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় মঙ্গলবার,খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা আইনজীবীর

Update Time : ০৩:০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

899058f651314c587146f9b869b16cc2 6833f6a5c955d

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের রায় ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আগামী মঙ্গলবার। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই রায় প্রদান করবেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির আশা প্রকাশ করেছেন যে, আদালতের রায়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পেতে পারেন। তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ, আগামীকাল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন এবং আমরা আশাবাদী যে তিনি খালাস পাবেন।”

গত ৮ মে এই মামলার আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার জন্য ২৭ মে তারিখ নির্ধারণ করে। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির, যাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এর আগে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ পূর্বের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। সে সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত ১২৫৬ জনকে হত্যা বা গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক করে নির্যাতন এবং বহু ঘরবাড়ি লুট ও আগুন দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনি জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এই মামলায় মোট ছয়টি অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে পাঁচটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই এ রায়কে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে দাবি করে আসছে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামিপক্ষ ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরে তার নির্দোষ দাবি করে আপিল করেন। আপিল বিভাগে দাখিল করা ওই আবেদনপত্রে ছিল ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল ও ২৩৪০ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণধর্মী দলিলপত্র।

এখন অপেক্ষা শুধু মঙ্গলবারের রায়ের, যা নির্ধারণ করবে এটিএম আজহারের ভাগ্য।