মানবিক করিডর বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

- Update Time : ০৫:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / ৭৬ Time View
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মানবিক করিডর স্থাপন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ধরনের চুক্তি সম্পাদিত হয়নি।
রোববার (৪ মে) রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান একমাত্র তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই সম্ভব, একত্রীকরণ নয়। মানবিক করিডর নিয়ে কোনো চুক্তি সরকার করেনি।
খলিলুর রহমান আরও জানান, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তবে এটি কেবল ত্রাণ ও খাদ্য সরবরাহের জন্য। অস্ত্র বা সামরিক উপকরণের বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। এই উদ্যোগ জাতিসংঘ পরিচালনা করবে এবং রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। দেশটিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। এ কাজ সহজ না হলেও সরকার তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট দায়ের করেন।
তিনি জানান, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট-২০২৫’ শীর্ষক ৩১৮ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ ও আলোচিত হয়েছে। এর কিছু সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media

মানবিক করিডর বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মানবিক করিডর স্থাপন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ধরনের চুক্তি সম্পাদিত হয়নি।
রোববার (৪ মে) রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান একমাত্র তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই সম্ভব, একত্রীকরণ নয়। মানবিক করিডর নিয়ে কোনো চুক্তি সরকার করেনি।
খলিলুর রহমান আরও জানান, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তবে এটি কেবল ত্রাণ ও খাদ্য সরবরাহের জন্য। অস্ত্র বা সামরিক উপকরণের বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। এই উদ্যোগ জাতিসংঘ পরিচালনা করবে এবং রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। দেশটিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। এ কাজ সহজ না হলেও সরকার তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট দায়ের করেন।
তিনি জানান, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট-২০২৫’ শীর্ষক ৩১৮ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ ও আলোচিত হয়েছে। এর কিছু সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ রয়েছে।