ভূয়া তথ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা, অপারেশন ডেভিল হান্টে পালিয়েছে গাজীপুরের সন্ত্রাসীরা

- Update Time : ০৫:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৯৪ Time View
সম্প্রতি, গত শুক্রবার রাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনে বিক্ষুব্ধ জনতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা উক্ত স্থান পরিদর্শনে যান। তবে এসময়, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় শাসকদলের সন্ত্রাসীরা, যা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ হামলার পেছনে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল এবং কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী একে ব্যবহার করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিল।
পুলিশি অভিযান ও হলুদ সাংবাদিকতার অপপ্রচার
ঘটনার রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করে। এই গ্রেপ্তার অভিযানের পরপরই কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায়। তারা দাবি করে, পুলিশের ধরপাকড়ের ফলে এলাকাবাসী গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় জনগণ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দাবি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এই মিডিয়াগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কিছু সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করা এবং জনসাধারণের আন্দোলনকে দমন করা। এ ধরনের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করা হলেও বাস্তবে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে অপরাধীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা সুসংগঠিত ছিল এবং শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেই আক্রমণ চালায়। এতে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শাসকদলের মদদপুষ্ট এসব গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছিল এবং তাদের অব্যাহত সহিংস কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ভীত ও শঙ্কিত ছিল। বিশেষ করে, রাজনৈতিক মতভেদকে কেন্দ্র করে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট: সন্ত্রাসীদের বিতাড়ন
এই ঘটনার পর থেকেই দেশব্যাপী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এতে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে তারা স্বস্তি অনুভব করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা জানান, “হাসিনা সরকারের পতনের পরই সুবিধাভোগী বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তবে সাম্প্রতিক অভিযানের ফলে তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকাবাসী এখন অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বিশেষ অভিযান দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তবে, সন্ত্রাসীরা গোপনে পুনরায় সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে, তাই জনগণকে সর্বদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
গণআন্দোলনের প্রতিক্রিয়া ও জনমতের অবস্থান
এই ঘটনার পর থেকেই সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রতিবাদের সুর স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা হয়।
গণআন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, এই ধরনের হামলা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে তারা লাগাতার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চাইবে। জনগণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা রেখেছে এবং চায় যেন অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় আসে।
গণমাধ্যমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও জনগণের প্রতিক্রিয়া
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু সংবাদমাধ্যম এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে। তারা সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করছে। স্থানীয়রা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা আর কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না এবং গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা চায়, মিডিয়া যেন সত্য তথ্য প্রকাশ করে এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে।
উপসংহার
অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসছে। জনগণের প্রত্যাশা, এই অভিযান চালিয়ে পুরোপুরি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। স্থানীয়দের মতে, যতদিন পর্যন্ত এসব অপরাধী ও তাদের মদদদাতা শক্তিকে দমন করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।
প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খুব শিগগিরই এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চিরতরে নির্মূল হবে বলে আশা করা যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা এড়াতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Please Share This Post in Your Social Media

ভূয়া তথ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা, অপারেশন ডেভিল হান্টে পালিয়েছে গাজীপুরের সন্ত্রাসীরা

সম্প্রতি, গত শুক্রবার রাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনে বিক্ষুব্ধ জনতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা উক্ত স্থান পরিদর্শনে যান। তবে এসময়, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় শাসকদলের সন্ত্রাসীরা, যা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ হামলার পেছনে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল এবং কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী একে ব্যবহার করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিল।
পুলিশি অভিযান ও হলুদ সাংবাদিকতার অপপ্রচার
ঘটনার রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করে। এই গ্রেপ্তার অভিযানের পরপরই কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায়। তারা দাবি করে, পুলিশের ধরপাকড়ের ফলে এলাকাবাসী গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় জনগণ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দাবি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এই মিডিয়াগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কিছু সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করা এবং জনসাধারণের আন্দোলনকে দমন করা। এ ধরনের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করা হলেও বাস্তবে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে অপরাধীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা সুসংগঠিত ছিল এবং শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেই আক্রমণ চালায়। এতে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শাসকদলের মদদপুষ্ট এসব গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছিল এবং তাদের অব্যাহত সহিংস কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ভীত ও শঙ্কিত ছিল। বিশেষ করে, রাজনৈতিক মতভেদকে কেন্দ্র করে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট: সন্ত্রাসীদের বিতাড়ন
এই ঘটনার পর থেকেই দেশব্যাপী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এতে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে তারা স্বস্তি অনুভব করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা জানান, “হাসিনা সরকারের পতনের পরই সুবিধাভোগী বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তবে সাম্প্রতিক অভিযানের ফলে তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকাবাসী এখন অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বিশেষ অভিযান দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তবে, সন্ত্রাসীরা গোপনে পুনরায় সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে, তাই জনগণকে সর্বদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
গণআন্দোলনের প্রতিক্রিয়া ও জনমতের অবস্থান
এই ঘটনার পর থেকেই সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রতিবাদের সুর স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা হয়।
গণআন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, এই ধরনের হামলা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে তারা লাগাতার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চাইবে। জনগণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা রেখেছে এবং চায় যেন অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় আসে।
গণমাধ্যমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও জনগণের প্রতিক্রিয়া
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু সংবাদমাধ্যম এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে। তারা সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করছে। স্থানীয়রা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা আর কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না এবং গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা চায়, মিডিয়া যেন সত্য তথ্য প্রকাশ করে এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে।
উপসংহার
অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসছে। জনগণের প্রত্যাশা, এই অভিযান চালিয়ে পুরোপুরি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। স্থানীয়দের মতে, যতদিন পর্যন্ত এসব অপরাধী ও তাদের মদদদাতা শক্তিকে দমন করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।
প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খুব শিগগিরই এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চিরতরে নির্মূল হবে বলে আশা করা যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা এড়াতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।