সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জায়মা রহমানকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে: রাজনীতিতে তার ভবিষ্যত এবং আলোচনার মূল বিষয়

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:০৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩ Time View

zaima rahman 1

 

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা, ব্যারিস্টার জায়মা জারনাজ রহমান। তার এই উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম কৌতূহল এবং আলোচনা সৃষ্টি করেছে—এখন প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি শিগগিরই রাজনীতিতে যুক্ত হতে চলেছেন? কিংবা বিএনপি দলের নেতৃত্বে তার কোনও ভূমিকা থাকবে কিনা।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম, কিন্তু রাজনীতিতে যোগদান এখনো অনিশ্চিত

জায়মা রহমান রাজনীতির অঙ্গনে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন, তবে তার রাজনৈতিক জীবনের পথ এখনো অস্পষ্ট। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অনেক পরিচিত হলেও, জায়মা রহমান এখনো কোনো বড় রাজনৈতিক পদে আসীন হননি।

তবে, গত কয়েক বছরে এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যা তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যতের দিকে আলোকপাত করে। ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডনে চলে যাওয়ার পর, জায়মা রহমানের পড়াশোনা এবং পেশাগত জীবন একেবারে আলাদা পথে গড়িয়েছে। কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টারি পাস করার পর, তিনি আইন পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদিও এখন পর্যন্ত তিনি কোনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি, তবে তার যোগ্যতা এবং দলের প্রতি দায়িত্ববোধ ভবিষ্যতে তাকে রাজনীতিতে প্রবেশের পথ দেখাতে পারে। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কন্যা হিসেবে তার ওপর অনেক দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে।

ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে জায়মার উপস্থিতি: রাজনৈতিক এক নতুন দিক

এবছরের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে জায়মা রহমানের উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও এক ধাপ নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। এটি মূলত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও, এখানে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের উপস্থিতি এবং আলোচনার বিষয়বস্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা, এই অনুষ্ঠানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তারেক রহমানের মেয়ে জায়মা রহমান, তিনজনই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। জায়মা রহমান লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা এটি তাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে একটি পরিচিতি দেয়।

এই ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকে ধারণা করছেন, এটি তার রাজনীতিতে আসার সূচনা হতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এটা রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের সূচনা হতে পারে। তবে, বিএনপি বা জায়মা রহমান নিজে এই বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেননি, তাই এটি এখনো কেবল কৌতূহলের পর্যায়ে রয়েছে।”

পারিবারিক রাজনীতির ঐতিহ্য: ভারতীয় উপমহাদেশে দৃষ্টান্ত

ভারতীয় উপমহাদেশে পারিবারিক রাজনীতির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। রাজনীতির ক্ষেত্রে পারিবারিক উত্তরাধিকারের একটি সুস্পষ্ট ধারা রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে। যেহেতু জায়মা রহমান জিয়া পরিবারের সদস্য, তার রাজনীতিতে আসা অনেকেই স্বাভাবিক মনে করছেন। পূর্বে জিয়াউর রহমানের পরে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে, দলের তরুণদের মধ্যে জায়মা রহমানকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, “এ ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জায়মা রহমান রাজনীতিতে আসছেন—এমন ইঙ্গিত মিলছে। আমাদের দেশে পারিবারিক রাজনীতির ধারাটাই মূলত স্বাভাবিক, এবং জায়মা রহমান যদি রাজনীতিতে আসেন, সেটা তার পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে দেখা হবে।”

নতুন তরুণ নেতৃত্বের দিশা: জায়মা রহমানের ভবিষ্যত

জায়মা রহমানের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশগ্রহণ বিএনপির তরুণ নেতাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। তারা মনে করেন, তার উপস্থিতি শুধুমাত্র তার বাবা তারেক রহমানের প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে নয়, বরং এটি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি একটি বার্তা প্রদান করে। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “এটা আমাদের তরুণ সমাজের জন্য গর্বের ব্যাপার। শুধু তারেক রহমানের মেয়ে হিসেবে নয়, তিনি বাংলাদেশের তরুণদেরও প্রতিনিধিত্ব করছেন।”

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, “এটি এক ধরনের বার্তা যে বিএনপির তরুণ নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জায়মা রহমানের অংশগ্রহণ আমাদের তরুণদের চিন্তাধারা এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।”

রাজনীতি বা আইন? জায়মা রহমানের ভবিষ্যৎ পথ

বর্তমানে, জায়মা রহমান লন্ডনে আইন পেশায় কাজ করছেন। তবে, তার রাজনীতিতে আসা কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিএনপি নেতারা বলছেন, জায়মা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হোন বা না হোন, তিনি যে কোনো ক্ষেত্রে দলের জন্য উপকারী হতে পারেন। তবে, এর জন্য দলের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত এবং তার বাবা-মায়ের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

জায়মা রহমানের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নেবে কি না, তা তার নিজের সিদ্ধান্ত এবং পারিবারিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু এই মুহূর্তে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশগ্রহণ এবং পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য তাকে রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করতে পারে।

বিশ্বনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক: বৈশ্বিক সম্পর্কের প্রসার

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের উইমেন্স ফেলোশিপ ফাউন্ডেশনের নেত্রী রেবেকা ওয়াগনারের সঙ্গে জায়মা রহমানের বৈঠক, বাংলাদেশের বৈশ্বিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার উপস্থিতি ভবিষ্যতে বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই বৈঠক বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রচেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। এটি তার আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও মজবুত করবে।

সব মিলিয়ে, জায়মা রহমানের রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনা এবং তার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা এখনো চলমান। তবে, যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে তা বিএনপির তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জায়মা রহমানকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে: রাজনীতিতে তার ভবিষ্যত এবং আলোচনার মূল বিষয়

Update Time : ০৯:০৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা, ব্যারিস্টার জায়মা জারনাজ রহমান। তার এই উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম কৌতূহল এবং আলোচনা সৃষ্টি করেছে—এখন প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি শিগগিরই রাজনীতিতে যুক্ত হতে চলেছেন? কিংবা বিএনপি দলের নেতৃত্বে তার কোনও ভূমিকা থাকবে কিনা।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম, কিন্তু রাজনীতিতে যোগদান এখনো অনিশ্চিত

জায়মা রহমান রাজনীতির অঙ্গনে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন, তবে তার রাজনৈতিক জীবনের পথ এখনো অস্পষ্ট। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অনেক পরিচিত হলেও, জায়মা রহমান এখনো কোনো বড় রাজনৈতিক পদে আসীন হননি।

তবে, গত কয়েক বছরে এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যা তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যতের দিকে আলোকপাত করে। ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডনে চলে যাওয়ার পর, জায়মা রহমানের পড়াশোনা এবং পেশাগত জীবন একেবারে আলাদা পথে গড়িয়েছে। কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টারি পাস করার পর, তিনি আইন পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদিও এখন পর্যন্ত তিনি কোনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি, তবে তার যোগ্যতা এবং দলের প্রতি দায়িত্ববোধ ভবিষ্যতে তাকে রাজনীতিতে প্রবেশের পথ দেখাতে পারে। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কন্যা হিসেবে তার ওপর অনেক দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে।

ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে জায়মার উপস্থিতি: রাজনৈতিক এক নতুন দিক

এবছরের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে জায়মা রহমানের উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও এক ধাপ নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। এটি মূলত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও, এখানে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের উপস্থিতি এবং আলোচনার বিষয়বস্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা, এই অনুষ্ঠানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তারেক রহমানের মেয়ে জায়মা রহমান, তিনজনই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। জায়মা রহমান লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা এটি তাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে একটি পরিচিতি দেয়।

এই ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকে ধারণা করছেন, এটি তার রাজনীতিতে আসার সূচনা হতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এটা রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের সূচনা হতে পারে। তবে, বিএনপি বা জায়মা রহমান নিজে এই বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেননি, তাই এটি এখনো কেবল কৌতূহলের পর্যায়ে রয়েছে।”

পারিবারিক রাজনীতির ঐতিহ্য: ভারতীয় উপমহাদেশে দৃষ্টান্ত

ভারতীয় উপমহাদেশে পারিবারিক রাজনীতির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। রাজনীতির ক্ষেত্রে পারিবারিক উত্তরাধিকারের একটি সুস্পষ্ট ধারা রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে। যেহেতু জায়মা রহমান জিয়া পরিবারের সদস্য, তার রাজনীতিতে আসা অনেকেই স্বাভাবিক মনে করছেন। পূর্বে জিয়াউর রহমানের পরে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে, দলের তরুণদের মধ্যে জায়মা রহমানকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, “এ ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জায়মা রহমান রাজনীতিতে আসছেন—এমন ইঙ্গিত মিলছে। আমাদের দেশে পারিবারিক রাজনীতির ধারাটাই মূলত স্বাভাবিক, এবং জায়মা রহমান যদি রাজনীতিতে আসেন, সেটা তার পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে দেখা হবে।”

নতুন তরুণ নেতৃত্বের দিশা: জায়মা রহমানের ভবিষ্যত

জায়মা রহমানের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশগ্রহণ বিএনপির তরুণ নেতাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। তারা মনে করেন, তার উপস্থিতি শুধুমাত্র তার বাবা তারেক রহমানের প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে নয়, বরং এটি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি একটি বার্তা প্রদান করে। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “এটা আমাদের তরুণ সমাজের জন্য গর্বের ব্যাপার। শুধু তারেক রহমানের মেয়ে হিসেবে নয়, তিনি বাংলাদেশের তরুণদেরও প্রতিনিধিত্ব করছেন।”

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, “এটি এক ধরনের বার্তা যে বিএনপির তরুণ নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জায়মা রহমানের অংশগ্রহণ আমাদের তরুণদের চিন্তাধারা এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।”

রাজনীতি বা আইন? জায়মা রহমানের ভবিষ্যৎ পথ

বর্তমানে, জায়মা রহমান লন্ডনে আইন পেশায় কাজ করছেন। তবে, তার রাজনীতিতে আসা কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিএনপি নেতারা বলছেন, জায়মা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হোন বা না হোন, তিনি যে কোনো ক্ষেত্রে দলের জন্য উপকারী হতে পারেন। তবে, এর জন্য দলের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত এবং তার বাবা-মায়ের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

জায়মা রহমানের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নেবে কি না, তা তার নিজের সিদ্ধান্ত এবং পারিবারিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু এই মুহূর্তে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশগ্রহণ এবং পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য তাকে রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করতে পারে।

বিশ্বনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক: বৈশ্বিক সম্পর্কের প্রসার

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের উইমেন্স ফেলোশিপ ফাউন্ডেশনের নেত্রী রেবেকা ওয়াগনারের সঙ্গে জায়মা রহমানের বৈঠক, বাংলাদেশের বৈশ্বিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার উপস্থিতি ভবিষ্যতে বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই বৈঠক বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রচেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। এটি তার আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও মজবুত করবে।

সব মিলিয়ে, জায়মা রহমানের রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনা এবং তার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা এখনো চলমান। তবে, যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে তা বিএনপির তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করছে।