৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল

- Update Time : ০২:৫১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৯৭ Time View
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতের রায়
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে এই নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আইনগতভাবে যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। ফলে আদালত এই নিয়োগ বাতিলের আদেশ দেন। এই রায়ের ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
পেছনের ঘটনা
গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ও তদন্ত
এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালত নির্দেশ দেন যে, এই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারকে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিছু অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সত্য হলে সেটির সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
নিয়োগপ্রাপ্তদের ভবিষ্যৎ
এই রায়ের ফলে ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই তাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিশ্চিত ভেবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু এখন নতুন জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
পরবর্তী করণীয়
সরকার এখন কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
এই বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
Please Share This Post in Your Social Media

৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতের রায়
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে এই নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আইনগতভাবে যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। ফলে আদালত এই নিয়োগ বাতিলের আদেশ দেন। এই রায়ের ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
পেছনের ঘটনা
গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ও তদন্ত
এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালত নির্দেশ দেন যে, এই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারকে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিছু অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সত্য হলে সেটির সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
নিয়োগপ্রাপ্তদের ভবিষ্যৎ
এই রায়ের ফলে ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই তাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিশ্চিত ভেবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু এখন নতুন জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
পরবর্তী করণীয়
সরকার এখন কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
এই বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।