জবি শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু: মেস থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

- Update Time : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬৬ Time View
রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠের পুল এলাকায় একটি ছাত্রী মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
ঘটনার বিবরণ
সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ২৬ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টায় কাঠের পুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি মেস থেকে সাবরিনা রহমান শাম্মী নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
- শাম্মী ওই মেসে একটি আলাদা কক্ষে একা থাকতেন।
- পাশের রুমে অন্য ছাত্রীরা অবস্থান করতেন।
- পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাম্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্ত ও প্রাথমিক তদন্ত
মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে:
- শাম্মীর গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়।
- তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
- শাম্মীর একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দ্রুত তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও সহপাঠীদের প্রতিক্রিয়া
শাম্মীর আকস্মিক মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় মর্মাহত এবং শোকাহত। অনেকেই এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশের মন্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে আত্মহত্যার প্রাথমিক ধারণা নিয়ে তারা কাজ করছে।
সমাজে এমন ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শিক্ষার্থীদের জীবনধারার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবা:
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিত করা উচিত। - পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন:
শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে পরিবার ও সমাজের সক্রিয় ভূমিকা থাকা প্রয়োজন। - বিশেষায়িত হেল্পলাইন:
আত্মহত্যা প্রতিরোধে একটি সক্রিয় হেল্পলাইন তৈরি করা যেতে পারে। - সতর্কতামূলক ব্যবস্থা:
শিক্ষার্থী মেস বা হোস্টেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং নজরদারি রাখা জরুরি।
শাম্মীর অকাল মৃত্যু কেবল তার পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য গভীর বেদনার। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
Please Share This Post in Your Social Media

জবি শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু: মেস থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠের পুল এলাকায় একটি ছাত্রী মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
ঘটনার বিবরণ
সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ২৬ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টায় কাঠের পুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি মেস থেকে সাবরিনা রহমান শাম্মী নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
- শাম্মী ওই মেসে একটি আলাদা কক্ষে একা থাকতেন।
- পাশের রুমে অন্য ছাত্রীরা অবস্থান করতেন।
- পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাম্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্ত ও প্রাথমিক তদন্ত
মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে:
- শাম্মীর গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়।
- তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
- শাম্মীর একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দ্রুত তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও সহপাঠীদের প্রতিক্রিয়া
শাম্মীর আকস্মিক মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় মর্মাহত এবং শোকাহত। অনেকেই এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশের মন্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে আত্মহত্যার প্রাথমিক ধারণা নিয়ে তারা কাজ করছে।
সমাজে এমন ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শিক্ষার্থীদের জীবনধারার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবা:
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিত করা উচিত। - পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন:
শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে পরিবার ও সমাজের সক্রিয় ভূমিকা থাকা প্রয়োজন। - বিশেষায়িত হেল্পলাইন:
আত্মহত্যা প্রতিরোধে একটি সক্রিয় হেল্পলাইন তৈরি করা যেতে পারে। - সতর্কতামূলক ব্যবস্থা:
শিক্ষার্থী মেস বা হোস্টেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং নজরদারি রাখা জরুরি।
শাম্মীর অকাল মৃত্যু কেবল তার পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য গভীর বেদনার। এ ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।