সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন ডিবি হারুন, বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ডা. সাবরিনা

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০১:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৮ Time View

1737269946 e26d2af9aa9a8b72456f68a438e4a420

ডা. সাবরিনা ও ডিবি হারুন

 

বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তিত্ব ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরী। চিকিৎসক পরিচয়ের বাইরেও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের উপস্থিতি, আকর্ষণীয় সাজসজ্জা, ছবি এবং ভিডিও প্রকাশের জন্য আলোচিত। সাম্প্রতিক সময়ে তার শোবিজ কার্যক্রম, নাটকে অভিনয় এবং বিভিন্ন টেলিভিশন ইন্টারভিউ তাকে আরও জনপ্রিয় করেছে। তবে তার জীবনের আলোচনার একটি বড় অংশ জুড়ে আছে আইনি জটিলতা ও বিতর্কিত ঘটনাবলী।

সম্প্রতি তিনি নারায়ণগঞ্জে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। সাবরিনা দাবি করেন, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল এবং এই পুরো ঘটনার পেছনে তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের হাত ছিল।

ডা. সাবরিনার শোবিজে প্রবেশ এবং আলোচনায় উঠে আসা

ডা. সাবরিনা পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও তার ব্যক্তিত্ব এবং সাহসী উপস্থিতি তাকে আলোচনায় রেখেছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শোবিজ জগতে পা রেখেছেন এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে অভিমানে তুমি নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। তার শোবিজ কার্যক্রম অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তবে একই সঙ্গে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এবং জীবনধারার প্রকাশ অনেকের কাছে তার ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করেছে। তবে অনেকেই তার অতীত বিতর্ক এবং আইনি জটিলতার বিষয়গুলো সামনে এনে সমালোচনা করেন।

করোনা কেলেঙ্কারি এবং সাবরিনার নাম জড়ানো

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকটে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। রোগীদের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার অভিযোগে ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট সরবরাহের ঘটনায় জড়িত হিসেবে ডা. সাবরিনা এবং তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর নাম সামনে আসে।

এই ঘটনার জেরে ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার হন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাকে কারাদণ্ড দেয়, যা তাকে দীর্ঘ সময় জেল খাটতে বাধ্য করে। তবে ডা. সাবরিনা এই মামলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেন।

বন্দিনী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম এবং বিস্ফোরক বক্তব্য

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে অংশগ্রহণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবরিনা জানান, তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনসাধারণের মনোযোগ সরিয়ে নিতে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়।”

ডা. সাবরিনা আরও দাবি করেন, “তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ পরিকল্পিতভাবে আমাকে মামলায় জড়ান এবং নাটক সাজিয়ে মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালান।”

ডিবিপ্রধান হারুনের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ডা. সাবরিনা তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুনের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “মামলার সময় হারুন অর রশিদ তেজগাঁও জোনের ডিসি ছিলেন। তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে তেজগাঁও থানায় দেখা করতে বলেন। বারবার ফোন দিয়ে সেখানে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু তার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা আমি জানি না। পরবর্তীতে তেজগাঁও থানায় নিয়ে গিয়ে নাটক সাজিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় শুধুমাত্র আমার মেডিক্যাল কলেজ এবং বিসিএস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। অথচ কোনো প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ছাড়াই আমাকে মামলায় ফাঁসানো হয়।”

মামলার দুর্বলতা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ

ডা. সাবরিনার মতে, তার বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রমাণের অভাব ছিল। তিনি বলেন, “৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে কেউই বলেনি যে আমি তাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিয়েছি বা কোনো চুক্তিতে সই করেছি। সাক্ষীরা শুধু মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বক্তব্য দিয়েছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, “এই মামলার পুরোটা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তৎকালীন ডিবিপ্রধান তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটক সাজিয়েছিলেন এবং মিডিয়ার সহযোগিতায় আমাকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল।”

সাবরিনার দাবি: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি

ডা. সাবরিনা অভিযোগ করেন যে, তৎকালীন সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। “করোনাকালীন সময় সরকারের ব্যর্থতা যখন স্পষ্ট হচ্ছিল, তখন জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর জন্য আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “যে প্রতিষ্ঠানকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, তার কোনো কার্যক্রমে আমি যুক্ত ছিলাম না। তবুও আমাকে এই নাটকের অংশ করা হয়। এটি পুরোপুরি আমার সঙ্গে অন্যায়।”

অতীত বিতর্ক এবং বর্তমান অবস্থান

আইনি জটিলতায় জড়ানোর কারণে তার সামাজিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে তিনি বন্দিনী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। চিকিৎসাসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে নিজের নাম পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন।

ডা. সাবরিনার এই বক্তব্য দেশের আলোচনায় নতুন করে ঝড় তুলেছে। তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুনের ভূমিকা এবং মামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল কী করবে, সেটি সময়ই বলে দেবে।

সংক্ষেপে:
ডা. সাবরিনার অভিযোগ ও বিস্ফোরক তথ্য তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি শুধু ব্যক্তি সাবরিনার জন্যই নয়, বরং দেশের বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন ডিবি হারুন, বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ডা. সাবরিনা

Update Time : ০১:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
ডা. সাবরিনা ও ডিবি হারুন

 

বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তিত্ব ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরী। চিকিৎসক পরিচয়ের বাইরেও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের উপস্থিতি, আকর্ষণীয় সাজসজ্জা, ছবি এবং ভিডিও প্রকাশের জন্য আলোচিত। সাম্প্রতিক সময়ে তার শোবিজ কার্যক্রম, নাটকে অভিনয় এবং বিভিন্ন টেলিভিশন ইন্টারভিউ তাকে আরও জনপ্রিয় করেছে। তবে তার জীবনের আলোচনার একটি বড় অংশ জুড়ে আছে আইনি জটিলতা ও বিতর্কিত ঘটনাবলী।

সম্প্রতি তিনি নারায়ণগঞ্জে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। সাবরিনা দাবি করেন, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল এবং এই পুরো ঘটনার পেছনে তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের হাত ছিল।

ডা. সাবরিনার শোবিজে প্রবেশ এবং আলোচনায় উঠে আসা

ডা. সাবরিনা পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও তার ব্যক্তিত্ব এবং সাহসী উপস্থিতি তাকে আলোচনায় রেখেছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শোবিজ জগতে পা রেখেছেন এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে অভিমানে তুমি নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। তার শোবিজ কার্যক্রম অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তবে একই সঙ্গে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এবং জীবনধারার প্রকাশ অনেকের কাছে তার ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করেছে। তবে অনেকেই তার অতীত বিতর্ক এবং আইনি জটিলতার বিষয়গুলো সামনে এনে সমালোচনা করেন।

করোনা কেলেঙ্কারি এবং সাবরিনার নাম জড়ানো

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকটে রিজেন্ট হাসপাতাল এবং জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। রোগীদের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার অভিযোগে ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট সরবরাহের ঘটনায় জড়িত হিসেবে ডা. সাবরিনা এবং তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর নাম সামনে আসে।

এই ঘটনার জেরে ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার হন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাকে কারাদণ্ড দেয়, যা তাকে দীর্ঘ সময় জেল খাটতে বাধ্য করে। তবে ডা. সাবরিনা এই মামলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেন।

বন্দিনী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম এবং বিস্ফোরক বক্তব্য

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে অংশগ্রহণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবরিনা জানান, তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনসাধারণের মনোযোগ সরিয়ে নিতে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়।”

ডা. সাবরিনা আরও দাবি করেন, “তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ পরিকল্পিতভাবে আমাকে মামলায় জড়ান এবং নাটক সাজিয়ে মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালান।”

ডিবিপ্রধান হারুনের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ডা. সাবরিনা তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুনের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “মামলার সময় হারুন অর রশিদ তেজগাঁও জোনের ডিসি ছিলেন। তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে তেজগাঁও থানায় দেখা করতে বলেন। বারবার ফোন দিয়ে সেখানে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু তার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা আমি জানি না। পরবর্তীতে তেজগাঁও থানায় নিয়ে গিয়ে নাটক সাজিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় শুধুমাত্র আমার মেডিক্যাল কলেজ এবং বিসিএস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। অথচ কোনো প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ছাড়াই আমাকে মামলায় ফাঁসানো হয়।”

মামলার দুর্বলতা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ

ডা. সাবরিনার মতে, তার বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রমাণের অভাব ছিল। তিনি বলেন, “৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে কেউই বলেনি যে আমি তাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিয়েছি বা কোনো চুক্তিতে সই করেছি। সাক্ষীরা শুধু মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বক্তব্য দিয়েছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, “এই মামলার পুরোটা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তৎকালীন ডিবিপ্রধান তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটক সাজিয়েছিলেন এবং মিডিয়ার সহযোগিতায় আমাকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল।”

সাবরিনার দাবি: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি

ডা. সাবরিনা অভিযোগ করেন যে, তৎকালীন সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। “করোনাকালীন সময় সরকারের ব্যর্থতা যখন স্পষ্ট হচ্ছিল, তখন জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর জন্য আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “যে প্রতিষ্ঠানকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, তার কোনো কার্যক্রমে আমি যুক্ত ছিলাম না। তবুও আমাকে এই নাটকের অংশ করা হয়। এটি পুরোপুরি আমার সঙ্গে অন্যায়।”

অতীত বিতর্ক এবং বর্তমান অবস্থান

আইনি জটিলতায় জড়ানোর কারণে তার সামাজিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বর্তমানে তিনি বন্দিনী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। চিকিৎসাসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে নিজের নাম পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন।

ডা. সাবরিনার এই বক্তব্য দেশের আলোচনায় নতুন করে ঝড় তুলেছে। তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুনের ভূমিকা এবং মামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল কী করবে, সেটি সময়ই বলে দেবে।

সংক্ষেপে:
ডা. সাবরিনার অভিযোগ ও বিস্ফোরক তথ্য তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি শুধু ব্যক্তি সাবরিনার জন্যই নয়, বরং দেশের বিচারব্যবস্থা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলছে।