সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

সাজেদা আক্তার
  • Update Time : ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৪২ Time View

11zon resized 6 2501060510

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর অভ্যাস যা অনেকেই জানেন না। কিসমিস, যা সাধারণত শুকানো আঙুর থেকে তৈরি, তা নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে থাকে। পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে এর পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হতে পারে। আসুন, বিস্তারিতভাবে জানি পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী কী:

. হজমশক্তি বাড়ায়

পানিতে ভিজানো কিসমিসে থাকা ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্রের কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। বিশেষভাবে ভিজানোর কারণে কিসমিসের ফাইবারটি আরও সহজে হজম হতে পারে, ফলে পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম কমে যায়। যাদের নিয়মিত হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক এবং সহজ সমাধান।

. রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়

কিসমিসে আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়ক, যা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত পানিতে ভিজানো কিসমিস খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি

কিসমিসে থাকা পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ফলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করা সম্ভব। পটাসিয়ামের উপস্থিতি হার্টের কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সহায়ক, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে এবং হৃদরোগের প্রবণতা কমে যায়।

. শক্তি এবং স্ট্যামিনা বাড়ায়

পানিতে ভিজানো কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক চিনির (ফ্রুকটোস) কারণে শরীরে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি একদম প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। বিশেষত সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে, এটি পুরো দিনের জন্য আপনার শক্তির স্তর ঠিক রাখে। এছাড়া কিসমিসে থাকা বোরন, ক্যালসিয়াম এবং মেগনেসিয়াম শরীরের মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে এবং সাধারণ স্ট্যামিনা বাড়ায়। যারা শারীরিকভাবে বেশি পরিশ্রম করেন বা শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

. ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের কোষের পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে এবং বয়ঃসন্ধিকালীন বা বয়স্ক ত্বকে থাকা বয়সের ছাপ বা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং প্রাণবন্ত রাখে। পানিতে ভিজানো কিসমিস চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী, কারণ এটি চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং চুলের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে। এটি চুলের শিকড়ে শক্তি দেয় এবং চুলের পড়া কমায়।

. প্লাবন এবং উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

কিসমিসে উপস্থিত ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়া রক্তের মধ্যে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL) বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সহায়তা করে। এই উপকারিতা কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা থেকে সৃষ্ট হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মধুমেহ রোগীদের জন্যও কিসমিস একটি উপকারী খাবার, কারণ এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

. ডিটক্সিফিকেশন এবং দেহ থেকে টক্সিন বের করা

কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের ভিতরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এটি দেহের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং আমাদের শরীরকে পরিশুদ্ধ রাখে। এই কারণে এটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে এবং দেহের সাধারণ কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি

কিসমিসে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলির সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিসমিস মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে, মস্তিষ্ককে শিথিল রাখে এবং বিভিন্ন মানসিক সমস্যা যেমন উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ

কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক। এটি পেটের গতি বাড়িয়ে খাবার দ্রুত পেটের বাইরে বের করে দেয়। বিশেষ করে পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার ফলে ফাইবারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে পেট সুস্থ থাকে। এটি সাধারণ হজমের সমস্যার সমাধানও প্রদান করে।

কীভাবে পানিতে ভেজানো কিসমিস খেতে হবে?

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ কিসমিস পানি দিয়ে ভিজিয়ে ১০-১২ ঘণ্টা রেখে দিন। সকালে এই ভিজানো কিসমিস খেয়ে নিন। আপনি চাইলে কিসমিসের সঙ্গে বাদাম বা মধুও যোগ করতে পারেন যা আরও বেশি পুষ্টি যোগ করবে।

পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া একটি সহজ, স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর অভ্যাস যা শরীরের অনেক ধরনের সমস্যায় উপকারী হতে পারে। এটি হজম, হৃদযন্ত্র, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে, যেকোনো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত, যাতে এর উপকারিতা সর্বাধিক পাওয়া যায়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাজেদা আক্তার

সাজেদা আক্তার একজন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী এবং দক্ষ কলামিস্ট, যিনি সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিডিবো নিউজে, তিনি সমাজ, পরিবার এবং জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখেন। একজন অভিজ্ঞ কলামিস্ট হিসেবে, তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় সমাজিক বিষয়, পারিবারিক গতিশীলতা এবং বিভিন্ন জীবনধারা সম্পর্কিত ভাবনাপ্রসূত বিষয়গুলি নিয়ে লেখেন। সামাজিক প্রবণতাগুলি বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা তাকে এই ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান দিয়েছে। সাজেদা আক্তারের কাজ শুধু পাঠকদের তথ্য প্রদান করে না, বরং তাদের অনুপ্রাণিতও করে, যা তাকে সাংবাদিকতা এবং সমাজবিজ্ঞানের জগতে সম্মানিত একটি কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

Update Time : ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর অভ্যাস যা অনেকেই জানেন না। কিসমিস, যা সাধারণত শুকানো আঙুর থেকে তৈরি, তা নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে থাকে। পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে এর পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হতে পারে। আসুন, বিস্তারিতভাবে জানি পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কী কী:

. হজমশক্তি বাড়ায়

পানিতে ভিজানো কিসমিসে থাকা ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্রের কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। বিশেষভাবে ভিজানোর কারণে কিসমিসের ফাইবারটি আরও সহজে হজম হতে পারে, ফলে পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম কমে যায়। যাদের নিয়মিত হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক এবং সহজ সমাধান।

. রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়

কিসমিসে আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়ক, যা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত পানিতে ভিজানো কিসমিস খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি

কিসমিসে থাকা পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ফলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করা সম্ভব। পটাসিয়ামের উপস্থিতি হার্টের কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সহায়ক, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে এবং হৃদরোগের প্রবণতা কমে যায়।

. শক্তি এবং স্ট্যামিনা বাড়ায়

পানিতে ভিজানো কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক চিনির (ফ্রুকটোস) কারণে শরীরে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি একদম প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। বিশেষত সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে, এটি পুরো দিনের জন্য আপনার শক্তির স্তর ঠিক রাখে। এছাড়া কিসমিসে থাকা বোরন, ক্যালসিয়াম এবং মেগনেসিয়াম শরীরের মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে এবং সাধারণ স্ট্যামিনা বাড়ায়। যারা শারীরিকভাবে বেশি পরিশ্রম করেন বা শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

. ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের কোষের পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে এবং বয়ঃসন্ধিকালীন বা বয়স্ক ত্বকে থাকা বয়সের ছাপ বা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং প্রাণবন্ত রাখে। পানিতে ভিজানো কিসমিস চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী, কারণ এটি চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং চুলের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে। এটি চুলের শিকড়ে শক্তি দেয় এবং চুলের পড়া কমায়।

. প্লাবন এবং উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

কিসমিসে উপস্থিত ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়া রক্তের মধ্যে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL) বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সহায়তা করে। এই উপকারিতা কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা থেকে সৃষ্ট হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মধুমেহ রোগীদের জন্যও কিসমিস একটি উপকারী খাবার, কারণ এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

. ডিটক্সিফিকেশন এবং দেহ থেকে টক্সিন বের করা

কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের ভিতরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এটি দেহের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং আমাদের শরীরকে পরিশুদ্ধ রাখে। এই কারণে এটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে এবং দেহের সাধারণ কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি

কিসমিসে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলির সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিসমিস মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে, মস্তিষ্ককে শিথিল রাখে এবং বিভিন্ন মানসিক সমস্যা যেমন উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ

কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক। এটি পেটের গতি বাড়িয়ে খাবার দ্রুত পেটের বাইরে বের করে দেয়। বিশেষ করে পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার ফলে ফাইবারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে পেট সুস্থ থাকে। এটি সাধারণ হজমের সমস্যার সমাধানও প্রদান করে।

কীভাবে পানিতে ভেজানো কিসমিস খেতে হবে?

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ কিসমিস পানি দিয়ে ভিজিয়ে ১০-১২ ঘণ্টা রেখে দিন। সকালে এই ভিজানো কিসমিস খেয়ে নিন। আপনি চাইলে কিসমিসের সঙ্গে বাদাম বা মধুও যোগ করতে পারেন যা আরও বেশি পুষ্টি যোগ করবে।

পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়া একটি সহজ, স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর অভ্যাস যা শরীরের অনেক ধরনের সমস্যায় উপকারী হতে পারে। এটি হজম, হৃদযন্ত্র, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে, যেকোনো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত, যাতে এর উপকারিতা সর্বাধিক পাওয়া যায়।