চীনে নতুন HMPV ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারী ভয়ের জন্ম দেয়

- Update Time : ১০:০০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৭০ Time View
চীন জুড়ে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার আকস্মিক বৃদ্ধি হাসপাতালগুলিকে অভিভূত করেছে, শ্মশানগুলি জলাবদ্ধ করেছে এবং একটি নতুন মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি জনাকীর্ণ চিকিৎসা সুবিধাগুলির উদ্বেগজনক ভিডিওগুলির সাথে গুঞ্জন করছে, যা পরিস্থিতির মাধ্যাকর্ষণ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক জল্পনাকে প্ররোচিত করছে।
হাসপাতাল গুলি শ্বাসযন্ত্রের রোগীদের দ্বারা প্লাবিত
প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত করে যে চীন জুড়ে হাসপাতালগুলি, বিশেষত বেইজিং এবং অন্যান্য বড় শহরগুলিতে, গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের দ্বারা প্লাবিত। ওয়েইবো এবং টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা ভিডিওগুলিতে চিকিত্সার জন্য অপেক্ষা করা রোগীদের দীর্ঘ লাইন, উপচে পড়া জরুরি কক্ষ এবং ক্লান্ত চিকিৎসা কর্মীরা দেখায়। কথিত আছে যে শ্মশানগুলি মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা পরিচালনা করতে লড়াই করছে, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ভাইরাসটি কী হতে পারে?
হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV), একটি কম পরিচিত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস যা ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। HMPV-এর সংক্রমণের ফলে রোগীরা সাধারণ সর্দি, জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই ভাইরাসটি বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাচ্চাদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঘটনা বাড়ছে এবং শিশু হাসপাতালগুলোও রোগীদের চাপে অভিভূত হচ্ছে।
একাধিক ভাইরাস একই সাথে সঞ্চালিত হচ্ছে
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে প্রাদুর্ভাব শুধুমাত্র একটি ভাইরাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং COVID-19 সহ বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ একই সময়ে ছড়িয়ে পড়ছে, যা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে। সংক্রমণের এই সংমিশ্রণটি হাসপাতালে ভর্তির হার বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে বলে মনে করা হয়।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের বয়স ৪০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এই বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি শ্মশানগুলোকেও অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শ্মশানের বাইরের দীর্ঘ সারির ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হচ্ছে।
চীনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সংকটে
চীনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী তাদের ক্লান্তি ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে ওভারটাইম করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
এছাড়া, চীনের গ্রামাঞ্চলগুলিতেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালের অভাব এবং সীমিত চিকিৎসা সুবিধার কারণে সেখানে স্বাস্থ্য সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অভাব
স্বাস্থ্য সংকটের প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনও নতুন মহামারী হওয়ার সম্ভাবনাকে স্বীকার করে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি। হাসপাতালগুলি দৃশ্যত অভিভূত, শ্মশানগুলি ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা পরিচালনা করতে লড়াই করছে, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফুটেজে প্লাবিত হয়েছে, তবুও সরকার নীরব রয়েছে।
জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়ছে এবং নাগরিকরা মনে করছেন যে সরকার পরিস্থিতি গোপন করার চেষ্টা করছে। সামাজিক মিডিয়াতে বহু ব্যবহারকারী দাবি করছেন যে বাস্তব পরিস্থিতি সরকারি প্রতিবেদন থেকে অনেক খারাপ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি চীনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ থেকে তথ্যের অভাবে তারা পরিস্থিতির প্রকৃত মাত্রা নির্ধারণ করতে পারছে না।
WHO-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে চীনের সরকারকে আরও স্বচ্ছ হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করতে হবে।
COVID-19 মহামারীর পুনরাবৃত্তি হতে পারে?
বর্তমান পরিস্থিতি অনেকের কাছে COVID-19 মহামারীর প্রথম দিনগুলির স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে প্রথম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল এবং চীনের সরকার প্রথমে তথ্য গোপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যদি চীন আবারও তথ্য গোপন করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে বিশ্ব একটি নতুন মহামারীর মুখোমুখি হতে পারে।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘ লাইন এবং শ্মশানের বাইরে সারিবদ্ধ লোকজনের ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ব্যবহারকারীরা সরকারকে আরও স্বচ্ছ হওয়ার এবং তথ্য গোপন না করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ?
বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চীন যদি তথ্য শেয়ার করে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছ হয়, তাহলে একটি নতুন মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে যদি চীনের সরকার তথ্য গোপন করে, তাহলে বিশ্ব একটি নতুন স্বাস্থ্য সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি এখন চীনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং চীনের কাছ থেকে আরও তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media

চীনে নতুন HMPV ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারী ভয়ের জন্ম দেয়

চীন জুড়ে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার আকস্মিক বৃদ্ধি হাসপাতালগুলিকে অভিভূত করেছে, শ্মশানগুলি জলাবদ্ধ করেছে এবং একটি নতুন মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি জনাকীর্ণ চিকিৎসা সুবিধাগুলির উদ্বেগজনক ভিডিওগুলির সাথে গুঞ্জন করছে, যা পরিস্থিতির মাধ্যাকর্ষণ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক জল্পনাকে প্ররোচিত করছে।
হাসপাতাল গুলি শ্বাসযন্ত্রের রোগীদের দ্বারা প্লাবিত
প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত করে যে চীন জুড়ে হাসপাতালগুলি, বিশেষত বেইজিং এবং অন্যান্য বড় শহরগুলিতে, গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের দ্বারা প্লাবিত। ওয়েইবো এবং টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা ভিডিওগুলিতে চিকিত্সার জন্য অপেক্ষা করা রোগীদের দীর্ঘ লাইন, উপচে পড়া জরুরি কক্ষ এবং ক্লান্ত চিকিৎসা কর্মীরা দেখায়। কথিত আছে যে শ্মশানগুলি মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা পরিচালনা করতে লড়াই করছে, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ভাইরাসটি কী হতে পারে?
হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV), একটি কম পরিচিত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস যা ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। HMPV-এর সংক্রমণের ফলে রোগীরা সাধারণ সর্দি, জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই ভাইরাসটি বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাচ্চাদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঘটনা বাড়ছে এবং শিশু হাসপাতালগুলোও রোগীদের চাপে অভিভূত হচ্ছে।
একাধিক ভাইরাস একই সাথে সঞ্চালিত হচ্ছে
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে প্রাদুর্ভাব শুধুমাত্র একটি ভাইরাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং COVID-19 সহ বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ একই সময়ে ছড়িয়ে পড়ছে, যা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে। সংক্রমণের এই সংমিশ্রণটি হাসপাতালে ভর্তির হার বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে বলে মনে করা হয়।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের বয়স ৪০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এই বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি শ্মশানগুলোকেও অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শ্মশানের বাইরের দীর্ঘ সারির ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হচ্ছে।
চীনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সংকটে
চীনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী তাদের ক্লান্তি ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে ওভারটাইম করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
এছাড়া, চীনের গ্রামাঞ্চলগুলিতেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালের অভাব এবং সীমিত চিকিৎসা সুবিধার কারণে সেখানে স্বাস্থ্য সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অভাব
স্বাস্থ্য সংকটের প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনও নতুন মহামারী হওয়ার সম্ভাবনাকে স্বীকার করে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি। হাসপাতালগুলি দৃশ্যত অভিভূত, শ্মশানগুলি ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা পরিচালনা করতে লড়াই করছে, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফুটেজে প্লাবিত হয়েছে, তবুও সরকার নীরব রয়েছে।
জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়ছে এবং নাগরিকরা মনে করছেন যে সরকার পরিস্থিতি গোপন করার চেষ্টা করছে। সামাজিক মিডিয়াতে বহু ব্যবহারকারী দাবি করছেন যে বাস্তব পরিস্থিতি সরকারি প্রতিবেদন থেকে অনেক খারাপ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি চীনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ থেকে তথ্যের অভাবে তারা পরিস্থিতির প্রকৃত মাত্রা নির্ধারণ করতে পারছে না।
WHO-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে চীনের সরকারকে আরও স্বচ্ছ হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করতে হবে।
COVID-19 মহামারীর পুনরাবৃত্তি হতে পারে?
বর্তমান পরিস্থিতি অনেকের কাছে COVID-19 মহামারীর প্রথম দিনগুলির স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে প্রথম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল এবং চীনের সরকার প্রথমে তথ্য গোপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যদি চীন আবারও তথ্য গোপন করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে বিশ্ব একটি নতুন মহামারীর মুখোমুখি হতে পারে।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে। হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘ লাইন এবং শ্মশানের বাইরে সারিবদ্ধ লোকজনের ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ব্যবহারকারীরা সরকারকে আরও স্বচ্ছ হওয়ার এবং তথ্য গোপন না করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ?
বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চীন যদি তথ্য শেয়ার করে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছ হয়, তাহলে একটি নতুন মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে যদি চীনের সরকার তথ্য গোপন করে, তাহলে বিশ্ব একটি নতুন স্বাস্থ্য সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি এখন চীনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং চীনের কাছ থেকে আরও তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে।