সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনিসুল, সালমান ও জিয়াকে অব্যাহতির চেষ্টা: তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১১:২২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৯ Time View

prothomalo bangla 2024 12 25 fj1qtkq1 Untitled 1

 

জুলাইআগস্টের হত্যা মামলা নিয়ে বিতর্ক
জুলাই ও আগস্ট মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত দুটি হত্যাকাণ্ডের মামলা ঘিরে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতির জন্য একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে, বিষয়টি আদালতে জমা দেওয়ার আগেই ধরা পড়ে।

তদন্ত কর্মকর্তার পরিচয় গোপন করার চেষ্টা
ডিবির রমনা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ তাঁর ডিবি পরিচয় গোপন করে নিজেকে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আনিসুল সালমানের অব্যাহতির পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব?
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিতে গোপনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাবের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

নিহতদের পরিবারের অভিযোগ বিচার দাবি
নিহত শাহ-জাহানের মা আয়শা বেগম অভিযোগ করেন যে তাঁর ছেলের হত্যাকাণ্ডের মামলায় পুলিশ যথাযথ তদন্ত করেনি এবং অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়ায় তাঁদের মতামত নেয়নি। তিনি ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছিল

১৬ জুলাই সবুজ ও শাহ-জাহান হত্যার ঘটনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় দায়ী করা হয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের। তবে গোপনে প্রস্তুত করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে দায়ী ছিলেন আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মামলার বাদী ভুল করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করেছিলেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনের তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয় এবং মামলার দুই বাদীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. ইসরাইল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশ বাদী হয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কিন্তু এসব মামলা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নিউমার্কেট থানার ওই দুটি হত্যা মামলায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন।

উল্লেখ্য, জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে ৮৫৮ জন নিহতের তথ্য গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত বিশেষ সেলের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকায় (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে, ২৮ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১,৫৮১ জন।

নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হয়েছিল। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণহানি ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন মামলাগুলোতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গণ-অভ্যুত্থানের সহিংসতায় সারা দেশে ২,৪০০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, এবং রোববার পর্যন্ত ১,২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ৫ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলোর সংখ্যা এবং আসামির সংখ্যা অনেক বেশি। মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে। এসব মামলার যথাযথ তদন্তের জন্য দক্ষ পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সারা দেশে বিভাগভিত্তিক ‘মেন্টরিং অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ধরা পড়া ভুল
গোপনে তৈরি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে আনিসুল, সালমান এবং জিয়াউল আহসান হত্যার ঘটনায় জড়িত নন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ডিবি কর্মকর্তারা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার ব্যাপকতা
জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে ৮৫৮ জন নিহত হওয়ার তথ্য বিশেষ সেলের খসড়া প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে, বিভিন্ন সূত্রে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া তদন্তের পুনঃমূল্যায়ন
ঘটনাগুলো নিয়ে সমাজে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। অনেকে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরছেন। বর্তমানে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবির রমনা অঞ্চলের নতুন তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামকে।

পুলিশের উদ্যোগ
ডিএমপি কমিশনার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন যে অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনার জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই মামলাগুলো বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা, এবং মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলছে। জনগণ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশায় রয়েছে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আনিসুল, সালমান ও জিয়াকে অব্যাহতির চেষ্টা: তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত

Update Time : ১১:২২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

জুলাইআগস্টের হত্যা মামলা নিয়ে বিতর্ক
জুলাই ও আগস্ট মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত দুটি হত্যাকাণ্ডের মামলা ঘিরে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতির জন্য একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে, বিষয়টি আদালতে জমা দেওয়ার আগেই ধরা পড়ে।

তদন্ত কর্মকর্তার পরিচয় গোপন করার চেষ্টা
ডিবির রমনা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ তাঁর ডিবি পরিচয় গোপন করে নিজেকে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আনিসুল সালমানের অব্যাহতির পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব?
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিতে গোপনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাবের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

নিহতদের পরিবারের অভিযোগ বিচার দাবি
নিহত শাহ-জাহানের মা আয়শা বেগম অভিযোগ করেন যে তাঁর ছেলের হত্যাকাণ্ডের মামলায় পুলিশ যথাযথ তদন্ত করেনি এবং অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়ায় তাঁদের মতামত নেয়নি। তিনি ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছিল

১৬ জুলাই সবুজ ও শাহ-জাহান হত্যার ঘটনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় দায়ী করা হয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের। তবে গোপনে প্রস্তুত করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে দায়ী ছিলেন আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মামলার বাদী ভুল করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করেছিলেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনের তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয় এবং মামলার দুই বাদীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. ইসরাইল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশ বাদী হয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কিন্তু এসব মামলা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নিউমার্কেট থানার ওই দুটি হত্যা মামলায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন।

উল্লেখ্য, জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে ৮৫৮ জন নিহতের তথ্য গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত বিশেষ সেলের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকায় (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে, ২৮ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১,৫৮১ জন।

নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হয়েছিল। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণহানি ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন মামলাগুলোতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গণ-অভ্যুত্থানের সহিংসতায় সারা দেশে ২,৪০০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, এবং রোববার পর্যন্ত ১,২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ৫ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলোর সংখ্যা এবং আসামির সংখ্যা অনেক বেশি। মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে। এসব মামলার যথাযথ তদন্তের জন্য দক্ষ পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সারা দেশে বিভাগভিত্তিক ‘মেন্টরিং অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ধরা পড়া ভুল
গোপনে তৈরি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে আনিসুল, সালমান এবং জিয়াউল আহসান হত্যার ঘটনায় জড়িত নন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ডিবি কর্মকর্তারা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার ব্যাপকতা
জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে ৮৫৮ জন নিহত হওয়ার তথ্য বিশেষ সেলের খসড়া প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে, বিভিন্ন সূত্রে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া তদন্তের পুনঃমূল্যায়ন
ঘটনাগুলো নিয়ে সমাজে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। অনেকে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরছেন। বর্তমানে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবির রমনা অঞ্চলের নতুন তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামকে।

পুলিশের উদ্যোগ
ডিএমপি কমিশনার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন যে অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনার জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই মামলাগুলো বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা, এবং মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলছে। জনগণ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশায় রয়েছে।