সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন সব সদস্য

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭২ Time View

bb4d374e77b25c75b690f395591c625e 676694b83e345

নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম

 

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক মহানগর পিপি ও আইনজীবী আবদুস সাত্তার জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেন এবং নিজেও কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে, কমিটির সদস্যসচিবসহ আরও চার সদস্য একইভাবে অব্যাহতি চেয়েছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান আবদুস সাত্তার বলেন, “আদালত প্রাঙ্গণের সংঘর্ষ, ভাঙচুর এবং আইনজীবী হত্যার ঘটনার পর ১০ নভেম্বর সমিতির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রিপোর্ট দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৫ নভেম্বর। এর মধ্যে সদস্যসচিবসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন। এটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় সাধারণ কোনো ব্যক্তি দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে মনে করছি না। একজন জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ কারণেই তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছি।”

ঘটনার প্রেক্ষাপট:
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ ঘটে। ওই সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা প্রদান, এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গ্রেপ্তার

স্বীকারোক্তি:
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস, এবং রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্তের এই জটিল প্রক্রিয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন সব সদস্য

Update Time : ০৮:৫০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম

 

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক মহানগর পিপি ও আইনজীবী আবদুস সাত্তার জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেন এবং নিজেও কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে, কমিটির সদস্যসচিবসহ আরও চার সদস্য একইভাবে অব্যাহতি চেয়েছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান আবদুস সাত্তার বলেন, “আদালত প্রাঙ্গণের সংঘর্ষ, ভাঙচুর এবং আইনজীবী হত্যার ঘটনার পর ১০ নভেম্বর সমিতির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রিপোর্ট দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৫ নভেম্বর। এর মধ্যে সদস্যসচিবসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন। এটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় সাধারণ কোনো ব্যক্তি দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে মনে করছি না। একজন জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ কারণেই তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছি।”

ঘটনার প্রেক্ষাপট:
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ ঘটে। ওই সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা প্রদান, এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গ্রেপ্তার

স্বীকারোক্তি:
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস, এবং রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্তের এই জটিল প্রক্রিয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।