ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট আওয়ামী লীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার

- Update Time : ০৬:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১২২ Time View
ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের চার শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শিলং পুলিশ। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কলকাতা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নেতারা:
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান,
- সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি,
- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন,
- মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল।
মামলার তথ্য:
শিলং পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত নেতারা শিলংয়ে অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হলেও দুইজন এখনও পলাতক। পলাতক ব্যক্তিরা হলেন:
- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ,
- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু।
শিলং থেকে কলকাতায় পালানো:
সূত্রমতে, দেশ ছেড়ে পালানোর পর অভিযুক্তরা শিলংয়ে আশ্রয় নেন। শীতের প্রকোপে ১ ডিসেম্বর শিলং ছেড়ে তারা কলকাতায় চলে যান। তবে শিলং থানা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই তারা কলকাতায় চলে যাওয়ায় পুলিশ তাদের খুঁজতে থাকে। নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অবস্থানকালে কলকাতা পুলিশ তাদের শনাক্ত করে।
স্থানীয়দের মতামত:
শিলং ও কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তবে একই ফ্ল্যাটে থাকার কারণে অন্যরাও মামলায় জড়িয়েছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শিলংয়ের মুভমেন্ট পাস নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় না জানিয়ে কলকাতায় চলে যাওয়ায় তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া:
গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল সম্পর্কে একজন নেতা জানান, “জুয়েল ও রিপনের সুনাম ভালো নয়। ফলে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”
যুবলীগের এক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, “লতিফ আর রিপন এই কাজ করেছে বলে শুনেছি, তবে নিশ্চিত নই। বাকিরা একই ফ্ল্যাটে থাকার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
এই ঘটনাটি সিলেট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার ও ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
Please Share This Post in Your Social Media

ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট আওয়ামী লীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের চার শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শিলং পুলিশ। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কলকাতা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নেতারা:
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান,
- সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি,
- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন,
- মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল।
মামলার তথ্য:
শিলং পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত নেতারা শিলংয়ে অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হলেও দুইজন এখনও পলাতক। পলাতক ব্যক্তিরা হলেন:
- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ,
- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু।
শিলং থেকে কলকাতায় পালানো:
সূত্রমতে, দেশ ছেড়ে পালানোর পর অভিযুক্তরা শিলংয়ে আশ্রয় নেন। শীতের প্রকোপে ১ ডিসেম্বর শিলং ছেড়ে তারা কলকাতায় চলে যান। তবে শিলং থানা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই তারা কলকাতায় চলে যাওয়ায় পুলিশ তাদের খুঁজতে থাকে। নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অবস্থানকালে কলকাতা পুলিশ তাদের শনাক্ত করে।
স্থানীয়দের মতামত:
শিলং ও কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তবে একই ফ্ল্যাটে থাকার কারণে অন্যরাও মামলায় জড়িয়েছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শিলংয়ের মুভমেন্ট পাস নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় না জানিয়ে কলকাতায় চলে যাওয়ায় তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া:
গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল সম্পর্কে একজন নেতা জানান, “জুয়েল ও রিপনের সুনাম ভালো নয়। ফলে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”
যুবলীগের এক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, “লতিফ আর রিপন এই কাজ করেছে বলে শুনেছি, তবে নিশ্চিত নই। বাকিরা একই ফ্ল্যাটে থাকার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
এই ঘটনাটি সিলেট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার ও ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ