পতনের আগে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

- Update Time : ০৯:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১১০ Time View
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ক্ষমতা হারানোর ঠিক আগে পাচারের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা মুদ্রণ করেছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এই ব্রিফিংয়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্রের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ব্রিফিংয়ের আগে, অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্রের খসড়া রিপোর্ট হস্তান্তর করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার এস আলম গ্রুপকে অর্থ পাচারের সুযোগ করে দিতে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অনিয়মের শ্বেতপত্রে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে দেশে দুর্নীতির মহাপরিচ্ছন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। উন্নয়নের প্রচারণার নামে দেশে ঘটে যাওয়া বিশাল লুটপাটের ভয়াবহ তথ্য এতে উঠে এসেছে।
অধ্যাপক ইউনূস এই তথ্য সম্পর্কে বলেন, “আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।”
শফিকুল আলম বলেন, “এই দুর্নীতির সাথে রাজনীতিবিদ, আমলা এবং কিছু ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই লুটপাট সম্ভব হয়েছে। এমনকি কিছু সাংবাদিকও এটি বৈধতা দিয়েছেন।”
খেলাপি ঋণ ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে মন্তব্য
প্রেস সচিব আরও জানান, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের মতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত হার প্রায় ৩০ শতাংশ হতে পারে। তবে নতুন করে টাকা ছাপানোর ফলে মুদ্রাস্ফীতির উপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করা হয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর প্রচেষ্টা
অর্থ পাচারের তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সরকার বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর জন্য এফবিআইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ
দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, “সরকার
তিনি আশ্বস্ত করেন, নতুন মুদ্রণ মুদ্রাস্ফীতির উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
Please Share This Post in Your Social Media

পতনের আগে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ক্ষমতা হারানোর ঠিক আগে পাচারের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা মুদ্রণ করেছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এই ব্রিফিংয়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্রের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ব্রিফিংয়ের আগে, অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্রের খসড়া রিপোর্ট হস্তান্তর করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার এস আলম গ্রুপকে অর্থ পাচারের সুযোগ করে দিতে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অনিয়মের শ্বেতপত্রে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে দেশে দুর্নীতির মহাপরিচ্ছন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। উন্নয়নের প্রচারণার নামে দেশে ঘটে যাওয়া বিশাল লুটপাটের ভয়াবহ তথ্য এতে উঠে এসেছে।
অধ্যাপক ইউনূস এই তথ্য সম্পর্কে বলেন, “আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।”
শফিকুল আলম বলেন, “এই দুর্নীতির সাথে রাজনীতিবিদ, আমলা এবং কিছু ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই লুটপাট সম্ভব হয়েছে। এমনকি কিছু সাংবাদিকও এটি বৈধতা দিয়েছেন।”
খেলাপি ঋণ ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে মন্তব্য
প্রেস সচিব আরও জানান, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের মতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত হার প্রায় ৩০ শতাংশ হতে পারে। তবে নতুন করে টাকা ছাপানোর ফলে মুদ্রাস্ফীতির উপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করা হয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর প্রচেষ্টা
অর্থ পাচারের তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সরকার বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর জন্য এফবিআইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ
দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, “সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য রাখতে কাজ করছে। সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা চলছে।”
তিনি আশ্বস্ত করেন, নতুন মুদ্রণ মুদ্রাস্ফীতির উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।