চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের জানাজায় মানুষের ঢল

- Update Time : ০৩:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৮৪ Time View
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা আদালত প্রাঙ্গণে এবং সাড়ে ১১টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে তার গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ায় আরেকটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করে। সাইফুল ইসলামের হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাইফুল ইসলামের প্রথম জানাজায় আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। সেখানে তারা সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলম।
নিহত সাইফুল ইসলাম লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়ে পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা এবং আইনজীবী হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই চলছে এবং মামলা প্রস্তুতির কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।
সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণকে গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের জানাজায় মানুষের ঢল

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা আদালত প্রাঙ্গণে এবং সাড়ে ১১টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে তার গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ায় আরেকটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করে। সাইফুল ইসলামের হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাইফুল ইসলামের প্রথম জানাজায় আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। সেখানে তারা সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলম।
নিহত সাইফুল ইসলাম লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়ে পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা এবং আইনজীবী হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই চলছে এবং মামলা প্রস্তুতির কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।
সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণকে গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।