সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৮০ Time View

1732075826 577b04e4c01dc52f1f1caecabeecd883

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় গার্মেন্টস কর্মী ফজলুল করিম হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) তাকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। 

মামলার পটভূমি: 

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি বিক্ষোভ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন গার্মেন্টস কর্মী ফজলুল করিম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর নিহতের ভাই উত্তরা পূর্ব থানায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার সূত্র অনুযায়ী, আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত সহিংসতার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায় জড়িত ছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি তার নির্দেশেই ওই সহিংস কার্যক্রমে অংশ নেয়। 

গ্রেফতার শুনানি: 

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনিসুল হককে সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, তিনি নৌপথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন। গ্রেফতারের পর থেকেই তাকে রাজধানীর কারাগারে রাখা হয়। 

আজ আদালতে হাজির করার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমান, আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে তার রিমান্ড বাতিল এবং জামিনের আবেদন করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। 

আদালতের আদেশ: 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

প্রতিক্রিয়া: 

এই গ্রেফতার এবং রিমান্ড আদেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। আবার কিছু মহল অভিযোগ করেছেন যে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্রভাবিত। 

পরবর্তী কার্যক্রম: 

তদন্তকারী দল রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আনিসুল হকের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছে, যা মামলার অগ্রগতিতে সহায়তা করবে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 

Update Time : ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় গার্মেন্টস কর্মী ফজলুল করিম হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) তাকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। 

মামলার পটভূমি: 

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি বিক্ষোভ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন গার্মেন্টস কর্মী ফজলুল করিম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর নিহতের ভাই উত্তরা পূর্ব থানায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার সূত্র অনুযায়ী, আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত সহিংসতার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায় জড়িত ছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি তার নির্দেশেই ওই সহিংস কার্যক্রমে অংশ নেয়। 

গ্রেফতার শুনানি: 

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনিসুল হককে সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, তিনি নৌপথে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন। গ্রেফতারের পর থেকেই তাকে রাজধানীর কারাগারে রাখা হয়। 

আজ আদালতে হাজির করার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমান, আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে তার রিমান্ড বাতিল এবং জামিনের আবেদন করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। 

আদালতের আদেশ: 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

প্রতিক্রিয়া: 

এই গ্রেফতার এবং রিমান্ড আদেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। আবার কিছু মহল অভিযোগ করেছেন যে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্রভাবিত। 

পরবর্তী কার্যক্রম: 

তদন্তকারী দল রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আনিসুল হকের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছে, যা মামলার অগ্রগতিতে সহায়তা করবে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।