স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে নিরলস সাংবাদিক সৈনিকদের কথা: মামলা ঝুলছে, স্বীকৃতি অধরাই

- Update Time : ১২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০৩ Time View
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় যারা সরব হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই আজ বাড়িছাড়া, দেশছাড়া। তাঁদের পাশাপাশি, পরিবার-পরিজনেরাও পড়েছেন চরম হয়রানির শিকার। সাহসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের কারণে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রবাসে অমানবিক জীবনযাপন সত্ত্বেও তাঁরা নিরলসভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেছেন স্বৈরাচারী সরকারের অন্যায় ও বাংলাদেশি মানুষের সংগ্রামের কথা। তাঁদের এই অকুতোভয় সংগ্রাম শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে।
ছাত্র-জনতার অন্তর্বর্তী সরকারের আজ ৮৪তম দিন। দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল এই অন্তর্বর্তী সরকার এসব প্রতিবাদী ব্যক্তিদের সম্মান জানাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করবে। কিন্তু এখনো এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বেশ কয়েকজন সংগ্রামী সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, যারা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আন্তর্জাতিকভাবে অবদান রেখেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, ফাহাম আবদুস সালাম, শাহেদ আলম, আবদুর রব ভুট্টো, সাইফুর সাগর, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ আরও অনেকেই রয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশকে পরিবর্তনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রতিবাদী ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। তাঁদের অধিকাংশ এখনো মামলার জন্য দেশে ফিরতে পারছেন না, যদিও তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, কিন্তু অনেকে মামলার কারণে এখনো দেশে ফিরতে পারছেন না।
প্রবাসে সংগ্রামী জীবন ও তাঁদের প্রভাব
প্রবাসে থাকা এসব সাহসী ব্যক্তির জীবন সহজ ছিল না। সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য, যিনি বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন, সাধারণ মানুষের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাঁর তীক্ষ্ণ ও অকুতোভয় বক্তব্যে লাখো মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এর জন্য তাঁর বৃদ্ধ মা এবং মামা দেশে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। চরম হয়রানির শিকার হওয়া সত্ত্বেও পিনাকী মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অবিচল ছিলেন এবং বর্তমান সরকারকেও বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার ইউটিউব টকশোতে বিগত সরকারের দুর্নীতি ও অপকর্ম তুলে ধরেছেন। এ কারণে তাঁর পরিবারে নির্যাতন নেমে আসে। সরকারবিরোধী বক্তব্যের জন্য তাঁকে নয় মাস জেল খাটতে হয়েছিল এবং পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এমনকি, ২০২১ সালে তাঁর বোন নুসরাত শাহরিনকে গ্রেপ্তার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়। সুইডেনে অবস্থানরত তাসনীম খলিল, যিনি নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক, সরকারের গোপন অপকর্ম নিয়ে একের পর এক অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করেছেন। কুখ্যাত আয়নাঘরের ঘটনাটি তুলে ধরার ফলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিক শাহেদ আলম যুক্তরাষ্ট্র থেকে নানা বিশ্লেষণাত্মক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরও পুরোটা সময় সরব ছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের একাধিক দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভির নাজমুস সাকিবও সরব ছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সাংবাদিক আবদুর রব ভুট্টো ভিডিওসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সরকারের অপকর্ম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখেন। এ কারণে তাঁর পরিবারকেও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। বিজ্ঞানী ফাহাম আবদুস সালামের ভিডিও বেশ সাড়া ফেলে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তাঁর বক্তব্য বিপুল আবেদন তৈরি করে। ব্লগার আসাদ নূরের বরগুনার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাবা-মাসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে দুই দিন আটক রাখাসহ অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। এই প্রতিবাদী সৈনিকদের কষ্টের জীবনের কথা বাংলাদেশ প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবে।
নিপীড়নের নির্মম চিত্র: ঘরছাড়া প্রতিবাদী সাংবাদিকরা
জানা গেছে, যেসব সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট বিদেশে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, ফাহাম আবদুস সালাম, শাহেদ আলম, আবদুর রব ভুট্টো, সাইফুর সাগর, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ আরও অনেকে।
মুশফিকুল ফজল আনসারী থেকে মনির হায়দার পর্যন্ত, একের পর এক সাহসী সাংবাদিক বিদেশে থেকে অনলাইনে দেশের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে বসে মনির হায়দার সরকারের বিরুদ্ধে সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। ইলিয়াস হোসেন সামাজিক মাধ্যমে শুরু থেকেই সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন এবং একাধিক গোপন তথ্য প্রকাশ করে জনগণের সামনে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রবাসে থেকেও এই সংগ্রামীদের সমর্থন জানানো সহজ ছিল না; প্রতিনিয়ত তাদের পরিবারও হয়রানির মুখে পড়েছে।
বিশ্বমঞ্চে তাঁদের সাহসিকতা স্বীকৃত হলেও নিজ দেশে এখনো তাঁরা স্বীকৃতি পাননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে যাঁরা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্বীকৃতির দাবিতে আজও দাঁড়িয়ে আছে দেশবাসী।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
Please Share This Post in Your Social Media

স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে নিরলস সাংবাদিক সৈনিকদের কথা: মামলা ঝুলছে, স্বীকৃতি অধরাই

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় যারা সরব হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই আজ বাড়িছাড়া, দেশছাড়া। তাঁদের পাশাপাশি, পরিবার-পরিজনেরাও পড়েছেন চরম হয়রানির শিকার। সাহসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের কারণে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রবাসে অমানবিক জীবনযাপন সত্ত্বেও তাঁরা নিরলসভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেছেন স্বৈরাচারী সরকারের অন্যায় ও বাংলাদেশি মানুষের সংগ্রামের কথা। তাঁদের এই অকুতোভয় সংগ্রাম শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে।
ছাত্র-জনতার অন্তর্বর্তী সরকারের আজ ৮৪তম দিন। দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল এই অন্তর্বর্তী সরকার এসব প্রতিবাদী ব্যক্তিদের সম্মান জানাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করবে। কিন্তু এখনো এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বেশ কয়েকজন সংগ্রামী সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, যারা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আন্তর্জাতিকভাবে অবদান রেখেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, ফাহাম আবদুস সালাম, শাহেদ আলম, আবদুর রব ভুট্টো, সাইফুর সাগর, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ আরও অনেকেই রয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশকে পরিবর্তনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রতিবাদী ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। তাঁদের অধিকাংশ এখনো মামলার জন্য দেশে ফিরতে পারছেন না, যদিও তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, কিন্তু অনেকে মামলার কারণে এখনো দেশে ফিরতে পারছেন না।
প্রবাসে সংগ্রামী জীবন ও তাঁদের প্রভাব
প্রবাসে থাকা এসব সাহসী ব্যক্তির জীবন সহজ ছিল না। সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য, যিনি বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন, সাধারণ মানুষের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাঁর তীক্ষ্ণ ও অকুতোভয় বক্তব্যে লাখো মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এর জন্য তাঁর বৃদ্ধ মা এবং মামা দেশে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। চরম হয়রানির শিকার হওয়া সত্ত্বেও পিনাকী মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অবিচল ছিলেন এবং বর্তমান সরকারকেও বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ার ইউটিউব টকশোতে বিগত সরকারের দুর্নীতি ও অপকর্ম তুলে ধরেছেন। এ কারণে তাঁর পরিবারে নির্যাতন নেমে আসে। সরকারবিরোধী বক্তব্যের জন্য তাঁকে নয় মাস জেল খাটতে হয়েছিল এবং পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এমনকি, ২০২১ সালে তাঁর বোন নুসরাত শাহরিনকে গ্রেপ্তার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়। সুইডেনে অবস্থানরত তাসনীম খলিল, যিনি নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক, সরকারের গোপন অপকর্ম নিয়ে একের পর এক অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করেছেন। কুখ্যাত আয়নাঘরের ঘটনাটি তুলে ধরার ফলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিক শাহেদ আলম যুক্তরাষ্ট্র থেকে নানা বিশ্লেষণাত্মক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরও পুরোটা সময় সরব ছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের একাধিক দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভির নাজমুস সাকিবও সরব ছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সাংবাদিক আবদুর রব ভুট্টো ভিডিওসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সরকারের অপকর্ম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখেন। এ কারণে তাঁর পরিবারকেও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। বিজ্ঞানী ফাহাম আবদুস সালামের ভিডিও বেশ সাড়া ফেলে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তাঁর বক্তব্য বিপুল আবেদন তৈরি করে। ব্লগার আসাদ নূরের বরগুনার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাবা-মাসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে দুই দিন আটক রাখাসহ অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। এই প্রতিবাদী সৈনিকদের কষ্টের জীবনের কথা বাংলাদেশ প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবে।
নিপীড়নের নির্মম চিত্র: ঘরছাড়া প্রতিবাদী সাংবাদিকরা
জানা গেছে, যেসব সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট বিদেশে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, ফাহাম আবদুস সালাম, শাহেদ আলম, আবদুর রব ভুট্টো, সাইফুর সাগর, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ আরও অনেকে।
মুশফিকুল ফজল আনসারী থেকে মনির হায়দার পর্যন্ত, একের পর এক সাহসী সাংবাদিক বিদেশে থেকে অনলাইনে দেশের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে বসে মনির হায়দার সরকারের বিরুদ্ধে সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। ইলিয়াস হোসেন সামাজিক মাধ্যমে শুরু থেকেই সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন এবং একাধিক গোপন তথ্য প্রকাশ করে জনগণের সামনে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রবাসে থেকেও এই সংগ্রামীদের সমর্থন জানানো সহজ ছিল না; প্রতিনিয়ত তাদের পরিবারও হয়রানির মুখে পড়েছে।
বিশ্বমঞ্চে তাঁদের সাহসিকতা স্বীকৃত হলেও নিজ দেশে এখনো তাঁরা স্বীকৃতি পাননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে যাঁরা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্বীকৃতির দাবিতে আজও দাঁড়িয়ে আছে দেশবাসী।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন