ফাঁসির আগে কাদের মোল্লার শেষ কথা

- Update Time : ০৮:১১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৯৮ Time View

“আমার শহীদি রক্তে যেন ইসলামী আন্দোলনের বিজয় আসে। প্রতিশোধের পথে যাবে না তোমরা, বরং যাদের জন্য আমি লড়াই করেছি, তাদের সহযোগিতায় চেষ্টা করবে সবসময়।” – এ কথাগুলোই ফাঁসির আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ দেখা করার সময় প্রিয় সন্তান হাসান মওদুদকে বলেছিলেন জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ কাদের মোল্লা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ফরিদপুরের সদরপুরে এক গণসমাবেশে শহীদ কাদের মোল্লার এই শেষ ইচ্ছার কথা জানালেন তার ছেলে হাসান
হাসান মওদুদ, কাদের মোল্লার ছয় সন্তানের মধ্যে চতুর্থ, দীর্ঘ ১২ বছর মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি নিজের পরিচয় দেন এবং তার বাবার শেষ মুহূর্তের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আব্বু আমাকে অনেকগুলো কথা বলেছিলেন, তবে দুটি কথা বিশেষভাবে মনে আছে। ফাঁসির সময় আমরা বিচলিত থাকলেও আব্বু ছিলেন সম্পূর্ণ ধীরস্থির। শীতকাল ছিল, তিনি সবুজ পাঞ্জাবি পরেছিলেন। ফাঁসির আগ মুহূর্তে তিনি জেলারকে অনুরোধ করেন আমাকে শেষবারের মতো বুকে জড়িয়ে নিতে।“
হাসান মওদুদ আরো বলেন, “ফাঁসির পর আব্বুর দেহ সদরপুরে নিয়ে আসা হলেও আমাদের পথে বাধা দেওয়া হয়েছিল। থানায় নিয়ে গিয়ে আমাদের আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি আব্বুর সহযোগীদেরও বারবার মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু আজ তারা কোথায়? এটি আল্লাহর বিচার।“
গণসমাবেশে সদরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. দেলোয়ার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বদরুদ্দিন, সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব, অধ্যাপক মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি–বৈঠার তাণ্ডবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগের এই অন্যায়–নির্যাতনের বিচার হবে এবং বাংলাদেশকে অন্যায় ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।”
গণসমাবেশে স্থানীয় জনগণ ও দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে সকলেই শহীদ কাদের মোল্লার স্মৃতিচারণ করে তার আদর্শ ও স্বপ্নের পথে অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
Please Share This Post in Your Social Media

ফাঁসির আগে কাদের মোল্লার শেষ কথা


“আমার শহীদি রক্তে যেন ইসলামী আন্দোলনের বিজয় আসে। প্রতিশোধের পথে যাবে না তোমরা, বরং যাদের জন্য আমি লড়াই করেছি, তাদের সহযোগিতায় চেষ্টা করবে সবসময়।” – এ কথাগুলোই ফাঁসির আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ দেখা করার সময় প্রিয় সন্তান হাসান মওদুদকে বলেছিলেন জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ কাদের মোল্লা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ফরিদপুরের সদরপুরে এক গণসমাবেশে শহীদ কাদের মোল্লার এই শেষ ইচ্ছার কথা জানালেন তার ছেলে হাসান
হাসান মওদুদ, কাদের মোল্লার ছয় সন্তানের মধ্যে চতুর্থ, দীর্ঘ ১২ বছর মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি নিজের পরিচয় দেন এবং তার বাবার শেষ মুহূর্তের স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আব্বু আমাকে অনেকগুলো কথা বলেছিলেন, তবে দুটি কথা বিশেষভাবে মনে আছে। ফাঁসির সময় আমরা বিচলিত থাকলেও আব্বু ছিলেন সম্পূর্ণ ধীরস্থির। শীতকাল ছিল, তিনি সবুজ পাঞ্জাবি পরেছিলেন। ফাঁসির আগ মুহূর্তে তিনি জেলারকে অনুরোধ করেন আমাকে শেষবারের মতো বুকে জড়িয়ে নিতে।“
হাসান মওদুদ আরো বলেন, “ফাঁসির পর আব্বুর দেহ সদরপুরে নিয়ে আসা হলেও আমাদের পথে বাধা দেওয়া হয়েছিল। থানায় নিয়ে গিয়ে আমাদের আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি আব্বুর সহযোগীদেরও বারবার মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু আজ তারা কোথায়? এটি আল্লাহর বিচার।“
গণসমাবেশে সদরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. দেলোয়ার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বদরুদ্দিন, সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব, অধ্যাপক মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি–বৈঠার তাণ্ডবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগের এই অন্যায়–নির্যাতনের বিচার হবে এবং বাংলাদেশকে অন্যায় ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।”
গণসমাবেশে স্থানীয় জনগণ ও দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে সকলেই শহীদ কাদের মোল্লার স্মৃতিচারণ করে তার আদর্শ ও স্বপ্নের পথে অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।