নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছেই হাসিনার অবস্থান, আছে কড়া নিরাপত্তা

- Update Time : ০৮:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ৮৮ Time View

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। তবে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, শেখ হাসিনা রাজধানী নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেট ও খান মার্কেটের সন্নিকটে একটি সুরক্ষিত বাংলোতে অবস্থান করছেন। সেখানে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা তাঁর নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানায়, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনে একটি সুরক্ষিত বাড়িতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসরণ করে তিনি মাঝে মাঝে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে যান। তবে তাঁর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সেই বাংলোর সঠিক ঠিকানা প্রকাশ করেনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
হিন্দুস্তান টাইমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান করা বাংলোটি বহিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুরক্ষিত, যা তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রিত্বকালে তিনি বিভিন্ন সহিংসতার অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হন, যা তাঁর জীবন ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর দিল্লির এই আবাসস্থলটি সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রটোকল মেনে সুরক্ষিত করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে ঘিরে থাকছে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী ও আধুনিক প্রযুক্তিগত নজরদারি।
বৃহস্পতিবার ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে শেখ হাসিনা প্রথমে হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমানে দিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনে অবস্থান করছেন। এর আগেও ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, তাকে লোধি গার্ডেন এলাকায় দেখা গেছে, যা তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নতুন বাসস্থানটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)’ পরিচালিত একটি সেফহাউস। শেখ হাসিনার জীবনের প্রতি সম্ভাব্য হুমকির প্রেক্ষিতে তারা এই সেফহাউসের সঠিক অবস্থান গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁর নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা যায়।
Please Share This Post in Your Social Media

নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছেই হাসিনার অবস্থান, আছে কড়া নিরাপত্তা


ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। তবে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, শেখ হাসিনা রাজধানী নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেট ও খান মার্কেটের সন্নিকটে একটি সুরক্ষিত বাংলোতে অবস্থান করছেন। সেখানে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা তাঁর নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানায়, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনে একটি সুরক্ষিত বাড়িতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসরণ করে তিনি মাঝে মাঝে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে যান। তবে তাঁর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সেই বাংলোর সঠিক ঠিকানা প্রকাশ করেনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
হিন্দুস্তান টাইমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান করা বাংলোটি বহিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুরক্ষিত, যা তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রিত্বকালে তিনি বিভিন্ন সহিংসতার অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হন, যা তাঁর জীবন ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর দিল্লির এই আবাসস্থলটি সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রটোকল মেনে সুরক্ষিত করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে ঘিরে থাকছে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী ও আধুনিক প্রযুক্তিগত নজরদারি।
বৃহস্পতিবার ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে শেখ হাসিনা প্রথমে হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমানে দিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনে অবস্থান করছেন। এর আগেও ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, তাকে লোধি গার্ডেন এলাকায় দেখা গেছে, যা তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নতুন বাসস্থানটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)’ পরিচালিত একটি সেফহাউস। শেখ হাসিনার জীবনের প্রতি সম্ভাব্য হুমকির প্রেক্ষিতে তারা এই সেফহাউসের সঠিক অবস্থান গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁর নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা যায়।