জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে চব্বিশের গণবিপ্লব: ডা. শফিকুর

- Update Time : ০৯:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০১ Time View
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির, ডা. শফিকুর রহমান, বলেছেন, “চব্বিশের গণবিপ্লবই হবে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি।” তিনি আরও বলেন, এই গণবিপ্লবের মূল চেতনা থেকে যাতে কোনো দল বিচ্যুত না হয়, সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
গাজীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের জেলা আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ডা. শফিকুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের অবশ্যই জনগণের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ন্যায্য দাবি থাকলে, সেই দাবিকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা বা দুঃসাহস কেউ যেন দেখাতে না পারে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা আমাদের হৃদয়ের অংশ। তাদের দাবি ছিল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অর্থাৎ আমরা সুবিচার চাই। সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হলে, সেই সমাজে ডাকাতি ও চুরি করার কোনো স্থান থাকবে না। সেখানে সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচারের সুযোগ থাকবে না। যেখানে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে ঘুষের দৌরাত্ম্যও চলবে না।”
জাতীয় সংকটে সবাইকে একত্রিত থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, “আমরা বলেছি, দল এবং ধর্ম যার যার, কিন্তু দেশ আমাদের সবার। দেশের মৌলিক স্বার্থে রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো বিভাজন এ জাতি চায় না। সংকট এসেছে, সংকট আছে এবং সংকট থাকবে। সব জাতীয় সংকটকে একত্রে মোকাবেলা করতে হবে।”
তিনি পূর্ববর্তী সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আগের সরকারের মন্ত্রীরা, এমনকি অর্থমন্ত্রী একসময় বলতেন, ‘ঘুষকে এখন ঘুষ বলা ঠিক হবে না; এটাকে স্পিড মানি বলতে হবে।’ তারা ঘুষকে এইভাবে জাতীয়করণ করেছিলেন ঘোষণা দিয়ে।” অন্য একজন মন্ত্রী আরও বলতেন, “আমার মন্ত্রণালয়ে ঘুষ খাবেন, কিন্তু একটু কম করে নেবেন।”
বিচারব্যবস্থা প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, “যে নাগরিকই হোক, যে দলের বা ধর্মের, তিনি আদালতে গেলে ন্যায়বিচার পাবেন। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন না। কারো ফোন কলের কারণে একজন নাগরিকের জীবনে অত্যাচারের গতি স্থবির হবে না। বিচারপ্রার্থীকে ন্যায়বিচারের জন্য এ দরজা থেকে সে দরজায় ঘুরতে হবে না। বিচার কখনোই কারো মুখ দেখে বা কারো ফোনের মাধ্যমে প্রভাবিত হবে না, ইনশাআল্লাহ।”
গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সফি উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাকিম এবং মাওলানা সেফাউল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আনিসুর রহমান বিশ্বাস, এবং প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুরও সভায় উপস্থিত ছিলেন। রহমান, মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, নায়েবে আমির খায়রুল হাসান, সেক্রেটারি আবু সাইদ ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে চব্বিশের গণবিপ্লব: ডা. শফিকুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির, ডা. শফিকুর রহমান, বলেছেন, “চব্বিশের গণবিপ্লবই হবে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি।” তিনি আরও বলেন, এই গণবিপ্লবের মূল চেতনা থেকে যাতে কোনো দল বিচ্যুত না হয়, সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
গাজীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের জেলা আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ডা. শফিকুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের অবশ্যই জনগণের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ন্যায্য দাবি থাকলে, সেই দাবিকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা বা দুঃসাহস কেউ যেন দেখাতে না পারে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা আমাদের হৃদয়ের অংশ। তাদের দাবি ছিল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অর্থাৎ আমরা সুবিচার চাই। সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হলে, সেই সমাজে ডাকাতি ও চুরি করার কোনো স্থান থাকবে না। সেখানে সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচারের সুযোগ থাকবে না। যেখানে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে ঘুষের দৌরাত্ম্যও চলবে না।”
জাতীয় সংকটে সবাইকে একত্রিত থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, “আমরা বলেছি, দল এবং ধর্ম যার যার, কিন্তু দেশ আমাদের সবার। দেশের মৌলিক স্বার্থে রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো বিভাজন এ জাতি চায় না। সংকট এসেছে, সংকট আছে এবং সংকট থাকবে। সব জাতীয় সংকটকে একত্রে মোকাবেলা করতে হবে।”
তিনি পূর্ববর্তী সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আগের সরকারের মন্ত্রীরা, এমনকি অর্থমন্ত্রী একসময় বলতেন, ‘ঘুষকে এখন ঘুষ বলা ঠিক হবে না; এটাকে স্পিড মানি বলতে হবে।’ তারা ঘুষকে এইভাবে জাতীয়করণ করেছিলেন ঘোষণা দিয়ে।” অন্য একজন মন্ত্রী আরও বলতেন, “আমার মন্ত্রণালয়ে ঘুষ খাবেন, কিন্তু একটু কম করে নেবেন।”
বিচারব্যবস্থা প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, “যে নাগরিকই হোক, যে দলের বা ধর্মের, তিনি আদালতে গেলে ন্যায়বিচার পাবেন। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন না। কারো ফোন কলের কারণে একজন নাগরিকের জীবনে অত্যাচারের গতি স্থবির হবে না। বিচারপ্রার্থীকে ন্যায়বিচারের জন্য এ দরজা থেকে সে দরজায় ঘুরতে হবে না। বিচার কখনোই কারো মুখ দেখে বা কারো ফোনের মাধ্যমে প্রভাবিত হবে না, ইনশাআল্লাহ।”
গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সফি উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাকিম এবং মাওলানা সেফাউল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আনিসুর রহমান বিশ্বাস, এবং প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুরও সভায় উপস্থিত ছিলেন। রহমান, মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, নায়েবে আমির খায়রুল হাসান, সেক্রেটারি আবু সাইদ ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।