সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯৮ Time View

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

 

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি নির্বাচনের সময় সম্পর্কে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত, যার সময় নির্ধারণ করা হবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে। শুধুমাত্র প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নির্ধারণের এখতিয়ার রাখেন, এবং তার অধীনে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হবে।

গত বৃহস্পতিবার চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে এ বিষয়ে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে, যা বিবেচনা করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এটি তার প্রাথমিক অনুমান, যা বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।

আজ শনিবার দেওয়া তার ব্যাখ্যায় আসিফ নজরুল বলেন, “সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এর জন্য বেশ কিছু ফ্যাক্টর বিবেচনা করতে হবে। টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আমি সব ফ্যাক্টর ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। তবে সরকার যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার এবং রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলে, সেগুলোই মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সংস্কারের বিষয়টি আমি আলোচনায় তুলে ধরেছি। এছাড়া সার্চ কমিটি গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনা করেছি। এই সব ফ্যাক্টর যদি সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে আগামী বছর নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে। তবে এটি আমার ব্যক্তিগত অনুমান, কোনো নিশ্চিত ঘোষণা নয়।”

আসিফ নজরুল আরও বলেন, “আমি যা বলেছি তা শর্তভিত্তিক অনুমান, কিন্তু কিছু গণমাধ্যম এটিকে নির্বাচনের সময় ঘোষণা হিসেবে উপস্থাপন করছে। বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, এটি সঠিক নয়।”

এতে বোঝা যাচ্ছে যে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণে এখনও বিভিন্ন ফ্যাক্টর বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে, এবং সরকারের পক্ষ থেকে এর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

নির্বাচনের সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

Update Time : ০৫:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

 

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি নির্বাচনের সময় সম্পর্কে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত, যার সময় নির্ধারণ করা হবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে। শুধুমাত্র প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নির্ধারণের এখতিয়ার রাখেন, এবং তার অধীনে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হবে।

গত বৃহস্পতিবার চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে এ বিষয়ে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে, যা বিবেচনা করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এটি তার প্রাথমিক অনুমান, যা বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।

আজ শনিবার দেওয়া তার ব্যাখ্যায় আসিফ নজরুল বলেন, “সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এর জন্য বেশ কিছু ফ্যাক্টর বিবেচনা করতে হবে। টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আমি সব ফ্যাক্টর ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। তবে সরকার যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার এবং রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলে, সেগুলোই মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সংস্কারের বিষয়টি আমি আলোচনায় তুলে ধরেছি। এছাড়া সার্চ কমিটি গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনা করেছি। এই সব ফ্যাক্টর যদি সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে আগামী বছর নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে। তবে এটি আমার ব্যক্তিগত অনুমান, কোনো নিশ্চিত ঘোষণা নয়।”

আসিফ নজরুল আরও বলেন, “আমি যা বলেছি তা শর্তভিত্তিক অনুমান, কিন্তু কিছু গণমাধ্যম এটিকে নির্বাচনের সময় ঘোষণা হিসেবে উপস্থাপন করছে। বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, এটি সঠিক নয়।”

এতে বোঝা যাচ্ছে যে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণে এখনও বিভিন্ন ফ্যাক্টর বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে, এবং সরকারের পক্ষ থেকে এর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।