সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড় আদালতে নিয়োগে সাবেক আইনমন্ত্রীর এলাকারই ৮ জন

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৮৮ Time View

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 1

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ের নিয়োগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা থেকে ৮ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন। ছয়টি পদে নিয়োগ দেওয়া ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে, ১৩ জন অন্যান্য জেলা থেকে, এবং পঞ্চগড় জেলা থেকে মাত্র ১৩ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন।

প্রথমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জন প্রার্থী নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও, বাস্তবে ৩৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন যে, সাবেক আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কারণে তার নিজ এলাকা থেকে অতিরিক্ত প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ও সচেতন পঞ্চগড়বাসী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের সামনে মানববন্ধন করেন। তারা এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, ঢাকা মেট্রো পুলিশ আইডিয়াল ল কলেজের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম রেজা এবং মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান ফয়সাল।

বক্তারা জানান, পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ে গত মার্চ মাসে ছয়টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যার মধ্যে সার্ট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২ জন, অফিস সহকারী পদে ৯ জন, গাড়িচালক পদে ১ জন, জারিকারক পদে ৮ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৮ জনের নিয়োগ ছিল। নিয়োগ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় ৩ এবং ৪ মে, এবং ২১ মে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

নির্ধারিত ২৮ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদান করার সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে, পরীক্ষার আগেই আইনজীবীসহ পঞ্চগড়ের সচেতন নাগরিকরা সাবেক আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপমুক্ত এবং পঞ্চগড়ের যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, পূর্বের মতো এবারও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের নিয়োগ দেবেন, ফলে পঞ্চগড়ের শিক্ষিত বেকার যুবকরা বঞ্চিত হবে।

পরবর্তীতে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা থেকে ৮ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন, যা এই আশঙ্কাকে আরও তীব্র করে তোলে।

দিনাজপুর থেকে ৩ জন, ঠাকুরগাঁও থেকে ৩ জন, রাজশাহী থেকে ২ জন, এবং কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ ও রংপুর থেকে ১ জন করে প্রার্থী পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পঞ্চগড় জেলা থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ জন। যদিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জন প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৪ জনে পৌঁছায়। বিশেষ করে অফিস সহকারী পদে যেখানে ৯ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে ১২ জন নিয়োগ পেয়েছেন এবং অফিস সহায়ক পদে ৮ জনের বদলে ১০ জন নিয়োগ পেয়েছেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যেসব প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে অফিস সহকারী পদে আখাউড়া উপজেলার রাধানগর কলেজপাড়া এলাকার দিদারুল ইসলাম, কসবা উপজেলার তালতলা এলাকার আরিফুল ইসলাম শান্ত এবং সাহাপাড়া এলাকার ধ্রুব দত্ত রয়েছেন। জারিকারক পদে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে আছেন কসবা উপজেলার মইনপুর গোবিন্দপুর এলাকার মহিন উদ্দিন মিয়া ও তেতৈয়া এলাকার আব্দুল কাদির। অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পেয়েছেন আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়া এলাকার রজব আলী, কসবা উপজেলার নেমতাবাদ ভরা জাঙ্গাল এলাকার নিবাস চন্দ্র দাস এবং বিষ্ণাউড়ী ধজনগর এলাকার মোহাম্মদ আল আমিন।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ে বারবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পঞ্চগড়ের মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেখানে বেআইনি কাজ সংঘটিত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তার হস্তক্ষেপে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পঞ্চগড়ের মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করে তিনি কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। ফজলে রাব্বী আরও বলেন, অবিলম্বে সাবেক আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বহিষ্কার করতে হবে এবং সাবেক আইনমন্ত্রীকে এই অনিয়মের জন্য বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

এছাড়াও, এর আগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং সিনিয়র আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি বলেন, “এবারও হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিয়োগের আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে অনেকেই, তবে তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন নিয়োগ পেয়েছে। বেশিরভাগ নিয়োগপ্রাপ্তই সাবেক আইনমন্ত্রীর এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং অন্যান্য জেলা থেকে এসেছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আবারও পঞ্চগড়ের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বঞ্চিত করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে, ফলে বেকারের সংখ্যা খুব বেশি। আমরা সব দিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছি। এই অনিয়মের যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পঞ্চগড় আদালতে নিয়োগে সাবেক আইনমন্ত্রীর এলাকারই ৮ জন

Update Time : ০৮:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ের নিয়োগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা থেকে ৮ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন। ছয়টি পদে নিয়োগ দেওয়া ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে, ১৩ জন অন্যান্য জেলা থেকে, এবং পঞ্চগড় জেলা থেকে মাত্র ১৩ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন।

প্রথমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জন প্রার্থী নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও, বাস্তবে ৩৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন যে, সাবেক আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কারণে তার নিজ এলাকা থেকে অতিরিক্ত প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ও সচেতন পঞ্চগড়বাসী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের সামনে মানববন্ধন করেন। তারা এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, ঢাকা মেট্রো পুলিশ আইডিয়াল ল কলেজের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম রেজা এবং মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান ফয়সাল।

বক্তারা জানান, পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ে গত মার্চ মাসে ছয়টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যার মধ্যে সার্ট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২ জন, অফিস সহকারী পদে ৯ জন, গাড়িচালক পদে ১ জন, জারিকারক পদে ৮ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৮ জনের নিয়োগ ছিল। নিয়োগ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় ৩ এবং ৪ মে, এবং ২১ মে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

নির্ধারিত ২৮ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদান করার সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে, পরীক্ষার আগেই আইনজীবীসহ পঞ্চগড়ের সচেতন নাগরিকরা সাবেক আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপমুক্ত এবং পঞ্চগড়ের যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, পূর্বের মতো এবারও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের নিয়োগ দেবেন, ফলে পঞ্চগড়ের শিক্ষিত বেকার যুবকরা বঞ্চিত হবে।

পরবর্তীতে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা থেকে ৮ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন, যা এই আশঙ্কাকে আরও তীব্র করে তোলে।

দিনাজপুর থেকে ৩ জন, ঠাকুরগাঁও থেকে ৩ জন, রাজশাহী থেকে ২ জন, এবং কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ ও রংপুর থেকে ১ জন করে প্রার্থী পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পঞ্চগড় জেলা থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ জন। যদিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ জন প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৪ জনে পৌঁছায়। বিশেষ করে অফিস সহকারী পদে যেখানে ৯ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে ১২ জন নিয়োগ পেয়েছেন এবং অফিস সহায়ক পদে ৮ জনের বদলে ১০ জন নিয়োগ পেয়েছেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যেসব প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে অফিস সহকারী পদে আখাউড়া উপজেলার রাধানগর কলেজপাড়া এলাকার দিদারুল ইসলাম, কসবা উপজেলার তালতলা এলাকার আরিফুল ইসলাম শান্ত এবং সাহাপাড়া এলাকার ধ্রুব দত্ত রয়েছেন। জারিকারক পদে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে আছেন কসবা উপজেলার মইনপুর গোবিন্দপুর এলাকার মহিন উদ্দিন মিয়া ও তেতৈয়া এলাকার আব্দুল কাদির। অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পেয়েছেন আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়া এলাকার রজব আলী, কসবা উপজেলার নেমতাবাদ ভরা জাঙ্গাল এলাকার নিবাস চন্দ্র দাস এবং বিষ্ণাউড়ী ধজনগর এলাকার মোহাম্মদ আল আমিন।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ে বারবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পঞ্চগড়ের মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেখানে বেআইনি কাজ সংঘটিত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তার হস্তক্ষেপে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পঞ্চগড়ের মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করে তিনি কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। ফজলে রাব্বী আরও বলেন, অবিলম্বে সাবেক আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বহিষ্কার করতে হবে এবং সাবেক আইনমন্ত্রীকে এই অনিয়মের জন্য বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

এছাড়াও, এর আগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং সিনিয়র আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি বলেন, “এবারও হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিয়োগের আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে অনেকেই, তবে তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন নিয়োগ পেয়েছে। বেশিরভাগ নিয়োগপ্রাপ্তই সাবেক আইনমন্ত্রীর এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং অন্যান্য জেলা থেকে এসেছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আবারও পঞ্চগড়ের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বঞ্চিত করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে, ফলে বেকারের সংখ্যা খুব বেশি। আমরা সব দিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছি। এই অনিয়মের যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ