‘আওয়ামী লীগ বিচারের সম্মুখীন না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতি করার সুযোগ নেই’

- Update Time : ১২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
- / ৯৪ Time View

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে জোরালো বক্তব্য দেন। সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী: বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা’। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন যে, আওয়ামী লীগকে যতদিন পর্যন্ত তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ানো না হবে এবং বিচারের সম্মুখীন করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগকে তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তারা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে না, ততদিন তাদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার বা সুযোগ দেওয়া হবে না।” তার কথার মধ্যে স্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করার ইঙ্গিত ছিল।
এ সেমিনারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম আরও কঠোর বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্টদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছেন, এই সরকারের দায়িত্ব তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।” তার কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠে, বর্তমান সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ সেমিনারে সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার ওপরও জোর দেওয়া হয়। বক্তারা সামরিক আইন সংস্কার এবং সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন। তাদের দাবি ছিল, সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে শুদ্ধ করা হবে।
এই সেমিনারে তিনটি বিশেষ দাবি পেশ করা হয়, যার মধ্যে সামরিক আইন সংস্কার, সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ, এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়গুলোকে প্রতিহত করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। বক্তারা উল্লেখ করেন, সামরিক বাহিনীকে বৈষম্যমুক্ত এবং রাজনীতিমুক্ত করা না হলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
Please Share This Post in Your Social Media

‘আওয়ামী লীগ বিচারের সম্মুখীন না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনীতি করার সুযোগ নেই’


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে জোরালো বক্তব্য দেন। সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী: বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা’। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন যে, আওয়ামী লীগকে যতদিন পর্যন্ত তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ানো না হবে এবং বিচারের সম্মুখীন করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগকে তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তারা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে না, ততদিন তাদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার বা সুযোগ দেওয়া হবে না।” তার কথার মধ্যে স্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করার ইঙ্গিত ছিল।
এ সেমিনারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম আরও কঠোর বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্টদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছেন, এই সরকারের দায়িত্ব তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।” তার কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠে, বর্তমান সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ সেমিনারে সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার ওপরও জোর দেওয়া হয়। বক্তারা সামরিক আইন সংস্কার এবং সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন। তাদের দাবি ছিল, সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে শুদ্ধ করা হবে।
এই সেমিনারে তিনটি বিশেষ দাবি পেশ করা হয়, যার মধ্যে সামরিক আইন সংস্কার, সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ, এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়গুলোকে প্রতিহত করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। বক্তারা উল্লেখ করেন, সামরিক বাহিনীকে বৈষম্যমুক্ত এবং রাজনীতিমুক্ত করা না হলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।