সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯০ Time View

us EDUCATION

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা করার অঙ্গীকার নিয়ে শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেইউ) অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।” এ বক্তব্যটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিচায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এম মাহফুজুর রহমান। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এতে উল্লেখ করা হয় যে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগের ফলে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও নৈতিকতার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।

স্টিফেন ইবেলি আরও জানান, “বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষায় নয়, সংস্কৃতিতেও এগিয়ে। প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছেন।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা কার্যক্রম, স্কলারশিপের সুযোগ, এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে কাজ করে, যা উভয় দেশের জন্য এক বিশাল অর্জন।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার স্টাডি ক্লাবের সভাপতি মাহামুদুল হাসান জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাদের ক্লাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য সহায়তা দিচ্ছে। ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে এবং সব ধরনের ভীতি দূর করতে কাজ করছে। এছাড়া, মাহামুদুল হাসান বলেন, “আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের গমনপথ সহজ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

সেমিনারে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও শেভেনিং স্কলারশিপের গুরুত্ব, আইইএলটিএস মাস্টার ক্লাস, ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ এবং গবেষণা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে, আইডিপি বাংলাদেশের ‘আইইএলটিএস’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কেএমবি জামান আইইএলটিএস নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে পরীক্ষার প্রস্তুতি ও কার্যকর কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। এতে এডুকেশন ইউএসএ, মার্কিন দূতাবাস, আইডিপি বাংলাদেশসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কালবেলা ও এন টিভি এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে আইডিপি বাংলাদেশ কাজ করেছে।

এ ধরনের সেমিনার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে দিচ্ছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগসমূহ শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত শিক্ষার সুযোগ করে দেবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের সফলতা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রেও একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। এই সহযোগিতা দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এক নতুন মাত্রা যোগ করছে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা করার অঙ্গীকার নিয়ে শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেইউ) অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।” এ বক্তব্যটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিচায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এম মাহফুজুর রহমান। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এতে উল্লেখ করা হয় যে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগের ফলে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও নৈতিকতার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।

স্টিফেন ইবেলি আরও জানান, “বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষায় নয়, সংস্কৃতিতেও এগিয়ে। প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছেন।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা কার্যক্রম, স্কলারশিপের সুযোগ, এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে কাজ করে, যা উভয় দেশের জন্য এক বিশাল অর্জন।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার স্টাডি ক্লাবের সভাপতি মাহামুদুল হাসান জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাদের ক্লাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য সহায়তা দিচ্ছে। ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে এবং সব ধরনের ভীতি দূর করতে কাজ করছে। এছাড়া, মাহামুদুল হাসান বলেন, “আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের গমনপথ সহজ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

সেমিনারে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও শেভেনিং স্কলারশিপের গুরুত্ব, আইইএলটিএস মাস্টার ক্লাস, ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ এবং গবেষণা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে, আইডিপি বাংলাদেশের ‘আইইএলটিএস’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কেএমবি জামান আইইএলটিএস নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে পরীক্ষার প্রস্তুতি ও কার্যকর কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। এতে এডুকেশন ইউএসএ, মার্কিন দূতাবাস, আইডিপি বাংলাদেশসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কালবেলা ও এন টিভি এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে আইডিপি বাংলাদেশ কাজ করেছে।

এ ধরনের সেমিনার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে দিচ্ছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগসমূহ শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত শিক্ষার সুযোগ করে দেবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের সফলতা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রেও একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। এই সহযোগিতা দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এক নতুন মাত্রা যোগ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র

Update Time : ১০:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা করার অঙ্গীকার নিয়ে শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেইউ) অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।” এ বক্তব্যটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিচায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এম মাহফুজুর রহমান। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এতে উল্লেখ করা হয় যে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগের ফলে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও নৈতিকতার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।

স্টিফেন ইবেলি আরও জানান, “বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষায় নয়, সংস্কৃতিতেও এগিয়ে। প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছেন।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা কার্যক্রম, স্কলারশিপের সুযোগ, এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে কাজ করে, যা উভয় দেশের জন্য এক বিশাল অর্জন।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার স্টাডি ক্লাবের সভাপতি মাহামুদুল হাসান জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাদের ক্লাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য সহায়তা দিচ্ছে। ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে এবং সব ধরনের ভীতি দূর করতে কাজ করছে। এছাড়া, মাহামুদুল হাসান বলেন, “আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের গমনপথ সহজ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

সেমিনারে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও শেভেনিং স্কলারশিপের গুরুত্ব, আইইএলটিএস মাস্টার ক্লাস, ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ এবং গবেষণা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে, আইডিপি বাংলাদেশের ‘আইইএলটিএস’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কেএমবি জামান আইইএলটিএস নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে পরীক্ষার প্রস্তুতি ও কার্যকর কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। এতে এডুকেশন ইউএসএ, মার্কিন দূতাবাস, আইডিপি বাংলাদেশসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কালবেলা ও এন টিভি এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে আইডিপি বাংলাদেশ কাজ করেছে।

এ ধরনের সেমিনার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে দিচ্ছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগসমূহ শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত শিক্ষার সুযোগ করে দেবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের সফলতা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রেও একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। এই সহযোগিতা দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এক নতুন মাত্রা যোগ করছে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা করার অঙ্গীকার নিয়ে শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেইউ) অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।” এ বক্তব্যটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিচায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এম মাহফুজুর রহমান। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা প্রদান করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এতে উল্লেখ করা হয় যে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগের ফলে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও নৈতিকতার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।

স্টিফেন ইবেলি আরও জানান, “বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষায় নয়, সংস্কৃতিতেও এগিয়ে। প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছেন।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা কার্যক্রম, স্কলারশিপের সুযোগ, এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে কাজ করে, যা উভয় দেশের জন্য এক বিশাল অর্জন।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার স্টাডি ক্লাবের সভাপতি মাহামুদুল হাসান জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাদের ক্লাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য সহায়তা দিচ্ছে। ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে এবং সব ধরনের ভীতি দূর করতে কাজ করছে। এছাড়া, মাহামুদুল হাসান বলেন, “আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের গমনপথ সহজ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

সেমিনারে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও শেভেনিং স্কলারশিপের গুরুত্ব, আইইএলটিএস মাস্টার ক্লাস, ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপ এবং গবেষণা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে, আইডিপি বাংলাদেশের ‘আইইএলটিএস’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কেএমবি জামান আইইএলটিএস নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে পরীক্ষার প্রস্তুতি ও কার্যকর কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। এতে এডুকেশন ইউএসএ, মার্কিন দূতাবাস, আইডিপি বাংলাদেশসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কালবেলা ও এন টিভি এবং নলেজ পার্টনার হিসেবে আইডিপি বাংলাদেশ কাজ করেছে।

এ ধরনের সেমিনার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে দিচ্ছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগসমূহ শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত শিক্ষার সুযোগ করে দেবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের সফলতা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রেও একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। এই সহযোগিতা দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এক নতুন মাত্রা যোগ করছে।