যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন: ইসরায়েলের দিকে ছোড়া কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে

- Update Time : ১২:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
- / ৯৩ Time View

ইরান যখন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন ‘সক্রিয়ভাবে’ সহায়তা করে যাবে।
বাইডেন জানান, হামলার সময় তিনি ‘সিচুয়েশন রুমে’ ছিলেন, যা জাতীয় নিরাপত্তাজনিত গুরুতর সংকট মোকাবেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরান থেকে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল, যার বেশির ভাগই ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হামলার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, এটি ইরানি নাগরিক ও স্বার্থরক্ষার জন্য একটি ‘অবধারিত’ প্রতিক্রিয়া।
মঙ্গলবার পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার জানান, মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে, যা ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, তাদের হামলায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে আঘাত করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেননি তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি জোরালো হয়ে উঠেছে, বিশেষত গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জো বাইডেনের উদ্যোগের মাঝে। যদিও বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেনি। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জ্যাক সুলিভান বলেন, ইরানের হামলা একটি বড় সংঘাতের সূচনা করছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলার পরিণতি গুরুতর হবে এবং আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রে কাজ করব।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে প্রতিরোধ ও কূটনীতি—উভয় কৌশল ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।
Please Share This Post in Your Social Media

যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন: ইসরায়েলের দিকে ছোড়া কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে


ইরান যখন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন ‘সক্রিয়ভাবে’ সহায়তা করে যাবে।
বাইডেন জানান, হামলার সময় তিনি ‘সিচুয়েশন রুমে’ ছিলেন, যা জাতীয় নিরাপত্তাজনিত গুরুতর সংকট মোকাবেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরান থেকে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল, যার বেশির ভাগই ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হামলার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, এটি ইরানি নাগরিক ও স্বার্থরক্ষার জন্য একটি ‘অবধারিত’ প্রতিক্রিয়া।
মঙ্গলবার পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার জানান, মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে, যা ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, তাদের হামলায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে আঘাত করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেননি তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি জোরালো হয়ে উঠেছে, বিশেষত গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জো বাইডেনের উদ্যোগের মাঝে। যদিও বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেনি। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জ্যাক সুলিভান বলেন, ইরানের হামলা একটি বড় সংঘাতের সূচনা করছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলার পরিণতি গুরুতর হবে এবং আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রে কাজ করব।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে প্রতিরোধ ও কূটনীতি—উভয় কৌশল ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।