সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত সীমান্তের কাছে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: দিল্লির প্রতি সতর্ক সংকেত

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০০ Time View

INDIA AND CHINA

সীমান্তের কাছে উচ্চতায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতকে শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে চীন। সীমান্ত ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন এই পরীক্ষা চালিয়ে চীন তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। এটি নয়া দিল্লির জন্য পরিষ্কার সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করছে। ভারতের প্রভাবশালী টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী কারাকোরাম মালভূমিতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো ১৭,৩৯০ ফুট উচ্চতায় সাবসনিক গতির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চীন তার সামরিক সক্ষমতা জানান দিয়েছে। তারা দেখিয়েছে যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও উন্নতমানের ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে, যা ভারতও ব্যবহার করতে পারে বা করবে বলে ধারণা করা হয়। তবে কারাকোরামের নির্দিষ্ট কোন স্থানে এই পরীক্ষা করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী স্পর্শকাতর স্থানে হতে পারে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে জানানো হয়, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিষয়ক ৩১তম মিটিং চলাকালীন এই পরীক্ষা করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, বৈঠকে উভয় পক্ষ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একজন চীনা বিশ্লেষকের মতে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর সীমান্তের কাছে চীনের এই অস্ত্র পরীক্ষা ভারতকে একটি প্রতিরোধমূলক বার্তা দিতে চায়। ফুদান ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের উপপরিচালক লিন মিনওয়াং বলেন, “যুদ্ধ এড়াতে লড়াই করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতের দাবিগুলো চীনের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব, যদিও উভয় পক্ষ শিগগিরই সীমান্ত বিষয়ক ইস্যুতে একমত হওয়ার চেষ্টা করছে।”

চীনের সামরিক ভাষ্যকার সং ঝোংপিং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ভারতের প্রতি একটি পরিষ্কার সতর্ক সংকেত হিসেবে বর্ণনা করেন। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) এই পরীক্ষার মাধ্যমে আলোচনা প্রক্রিয়ায় চীনের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। তার মতে, চীন যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম, তা সাবসুপারসনিক হোক বা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ভারত সীমান্তের কাছে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: দিল্লির প্রতি সতর্ক সংকেত

Update Time : ০৮:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

সীমান্তের কাছে উচ্চতায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতকে শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে চীন। সীমান্ত ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন এই পরীক্ষা চালিয়ে চীন তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। এটি নয়া দিল্লির জন্য পরিষ্কার সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করছে। ভারতের প্রভাবশালী টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী কারাকোরাম মালভূমিতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো ১৭,৩৯০ ফুট উচ্চতায় সাবসনিক গতির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চীন তার সামরিক সক্ষমতা জানান দিয়েছে। তারা দেখিয়েছে যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও উন্নতমানের ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে, যা ভারতও ব্যবহার করতে পারে বা করবে বলে ধারণা করা হয়। তবে কারাকোরামের নির্দিষ্ট কোন স্থানে এই পরীক্ষা করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী স্পর্শকাতর স্থানে হতে পারে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে জানানো হয়, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিষয়ক ৩১তম মিটিং চলাকালীন এই পরীক্ষা করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, বৈঠকে উভয় পক্ষ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একজন চীনা বিশ্লেষকের মতে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর সীমান্তের কাছে চীনের এই অস্ত্র পরীক্ষা ভারতকে একটি প্রতিরোধমূলক বার্তা দিতে চায়। ফুদান ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের উপপরিচালক লিন মিনওয়াং বলেন, “যুদ্ধ এড়াতে লড়াই করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারতের দাবিগুলো চীনের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব, যদিও উভয় পক্ষ শিগগিরই সীমান্ত বিষয়ক ইস্যুতে একমত হওয়ার চেষ্টা করছে।”

চীনের সামরিক ভাষ্যকার সং ঝোংপিং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ভারতের প্রতি একটি পরিষ্কার সতর্ক সংকেত হিসেবে বর্ণনা করেন। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) এই পরীক্ষার মাধ্যমে আলোচনা প্রক্রিয়ায় চীনের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। তার মতে, চীন যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম, তা সাবসুপারসনিক হোক বা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র।