গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: ডা. শফিকুর রহমান

- Update Time : ০৬:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৯৩ Time View

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কেননা রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে ধারণ করে, বাইরের শক্তির সাহায্য বা প্রভাবের ওপর নির্ভর করে নয়।” শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগর ও জেলা জামায়াতের আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “দেশের রাজনীতিতে সংস্কার প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ সময় ধরে যদি নির্বাচন স্থগিত থাকে, তবে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, এবং তৃতীয় কোনো শক্তির উদ্ভব ঘটতে পারে।”
শিক্ষা সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষা সংস্কার কমিশনে এমন কিছু ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা আল্লাহকে স্বীকার করেন না। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা সংস্কারে অন্তত একজন আলিয়া এবং একজন কওমি নেসাবের আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী মূল্যবোধগুলো সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।”
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা সদস্য হত্যার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি তা না করা হয়, তবে জালিমদের পুনরুত্থান হতে পারে এবং দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, “মুমিনের জান ও মাল আল্লাহর কাছে বিক্রির যে শপথ করা হয়েছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন কায়েম করতে হবে। জামায়াতের প্রতিটি রোকনকে এই শপথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।”
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জুলাই-আগস্ট মাসে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, তা গত ১৫ বছরের মজলুমের চোখের পানির ফসল। আওয়ামী লীগের ১৫ বছর এবং মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের দুই বছর, মোট ১৭ বছরের জুলুম-নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে।”
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ এমরান হুসাইন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, এবং মুন্সি মিজানুর রহমান।
এই সম্মেলনে জামায়াত নেতারা বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
Please Share This Post in Your Social Media

গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: ডা. শফিকুর রহমান


জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কেননা রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থকে ধারণ করে, বাইরের শক্তির সাহায্য বা প্রভাবের ওপর নির্ভর করে নয়।” শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগর ও জেলা জামায়াতের আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “দেশের রাজনীতিতে সংস্কার প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ সময় ধরে যদি নির্বাচন স্থগিত থাকে, তবে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, এবং তৃতীয় কোনো শক্তির উদ্ভব ঘটতে পারে।”
শিক্ষা সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষা সংস্কার কমিশনে এমন কিছু ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা আল্লাহকে স্বীকার করেন না। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা সংস্কারে অন্তত একজন আলিয়া এবং একজন কওমি নেসাবের আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী মূল্যবোধগুলো সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।”
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা সদস্য হত্যার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি তা না করা হয়, তবে জালিমদের পুনরুত্থান হতে পারে এবং দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, “মুমিনের জান ও মাল আল্লাহর কাছে বিক্রির যে শপথ করা হয়েছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন কায়েম করতে হবে। জামায়াতের প্রতিটি রোকনকে এই শপথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।”
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জুলাই-আগস্ট মাসে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, তা গত ১৫ বছরের মজলুমের চোখের পানির ফসল। আওয়ামী লীগের ১৫ বছর এবং মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের দুই বছর, মোট ১৭ বছরের জুলুম-নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে।”
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ এমরান হুসাইন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, এবং মুন্সি মিজানুর রহমান।
এই সম্মেলনে জামায়াত নেতারা বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।