হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হবে কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূসের বক্তব্য: কেন নয়?

- Update Time : ০৯:১২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৮৬ Time View
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন, যদি শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। তিনি বুধবার নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন। বর্তমানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে তার কাছে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। গঠিত কমিশনগুলোর কাছ থেকে পরবর্তী মাসগুলোতে সংস্কারের সুপারিশ আশা করা হচ্ছে, এবং তারপর নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাকে ফেরানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “কেন হবে না?” এবং যুক্ত করেন, “অপরাধ করে থাকলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা তার নেই এবং পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আমাকে দেখে কি মনে হয়, আমি নির্বাচনে লড়ব?”
বুধবার নিউইয়র্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আটকে থাকবে, ততক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তি কার্যকর হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বৈশ্বিক এই চুক্তিটি কার্যকর হয়।
বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস আরও বলেন, আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পৃথিবী ধ্বংসের মূল। মানুষ একটি ‘আত্মবিনাশী সভ্যতা’ গড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন আনা হলেও, বিশ্বের মৌলিক ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস না করা পর্যন্ত তা কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করবে না। ধনী দেশগুলোর মাধ্যমে হওয়া জলবায়ু বিপর্যয়ের বোঝা বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহন করা উচিত নয়।
Please Share This Post in Your Social Media

হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হবে কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূসের বক্তব্য: কেন নয়?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন, যদি শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। তিনি বুধবার নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন। বর্তমানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে তার কাছে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। গঠিত কমিশনগুলোর কাছ থেকে পরবর্তী মাসগুলোতে সংস্কারের সুপারিশ আশা করা হচ্ছে, এবং তারপর নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাকে ফেরানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “কেন হবে না?” এবং যুক্ত করেন, “অপরাধ করে থাকলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা তার নেই এবং পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আমাকে দেখে কি মনে হয়, আমি নির্বাচনে লড়ব?”
বুধবার নিউইয়র্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আটকে থাকবে, ততক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তি কার্যকর হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বৈশ্বিক এই চুক্তিটি কার্যকর হয়।
বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস আরও বলেন, আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পৃথিবী ধ্বংসের মূল। মানুষ একটি ‘আত্মবিনাশী সভ্যতা’ গড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন আনা হলেও, বিশ্বের মৌলিক ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস না করা পর্যন্ত তা কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করবে না। ধনী দেশগুলোর মাধ্যমে হওয়া জলবায়ু বিপর্যয়ের বোঝা বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহন করা উচিত নয়।