সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএমএফের মতে বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে আছে

বিল্লাল হোসেন
  • Update Time : ১০:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৫ Time View

IMF AND BB

বাংলাদেশ ব্যাংক তার নীতিতে সঠিক পথে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

তিনি বলেন, “আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে রয়েছে। তবে, নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) শর্ত অনুযায়ী যেখানে ২৪ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে এটি রয়েছে ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে।”

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসেরও বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা থাকা উচিত। বর্তমানে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম।

বাংলাদেশের তিন বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ঋণ চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে শিখা আরও বলেন, “ম্যাক্রো স্ট্যাবিলিটি, এক্সচেঞ্জ রেট, এবং ফরেন রিজার্ভ বিষয়ে আইএমএফ তাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।”

এর আগে, আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন, আর্থিক লেনদেন পরিস্থিতি, এবং অতিরিক্ত ঋণ চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে।

বর্তমানে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া সম্ভব কি না তা পর্যালোচনা করতে ঢাকায় অবস্থান করছে। এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপার্জিওর।

আইএমএফের দলটি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে এবং সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন ঋণ অনুমোদন নিয়েও আলোচনা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, এবারের বৈঠকে কর আদায় বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হবে, পাশাপাশি কম ঋণ গ্রহণ এবং ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিল্লাল হোসেন

বিল্লাল হোসেন, একজন প্রজ্ঞাবান পেশাজীবী, যিনি গণিতের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি সমৃদ্ধ ও বহুমুখী ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। তার আর্থিক খাতে যাত্রা তাকে নেতৃত্বের ভূমিকায় নিয়ে গেছে, বিশেষ করে সৌদি আরবের আল-রাজি ব্যাংকিং Inc. এবং ব্যাংক-আল-বিলাদে বিদেশী সম্পর্ক ও করেসপন্ডেন্ট মেইন্টেনেন্স অফিসার হিসেবে। প্রথাগত অর্থনীতির গণ্ডির বাইরে, বিল্লাল একজন প্রখ্যাত লেখক ও বিশ্লেষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে মননশীল কলাম ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করে। তার দক্ষতা বিস্তৃত বিষয় জুড়ে রয়েছে, যেমন অর্থনীতির জটিলতা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, প্রবাসী শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্ট, রেমিটেন্স, রিজার্ভ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত দিক। বিল্লাল তার লেখায় একটি অনন্য বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন, যা ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে অর্জিত বাস্তব জ্ঞানকে একত্রিত করে একাডেমিক কঠোরতার সাথে। তার প্রবন্ধগুলো শুধুমাত্র জটিল বিষয়গুলির উপর গভীর বোঝাপড়ার প্রতিফলন নয়, বরং পাঠকদের জন্য জ্ঞানপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যা তত্ত্ব ও বাস্তব প্রয়োগের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। বিল্লাল হোসেনের অবদান তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে যে, তিনি আমাদের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের জটিলতাগুলি উন্মোচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি বিস্তৃত এবং আরও সূক্ষ্ম বোঝাপড়ার দিকে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

আইএমএফের মতে বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে আছে

Update Time : ১০:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক তার নীতিতে সঠিক পথে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

তিনি বলেন, “আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে রয়েছে। তবে, নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) শর্ত অনুযায়ী যেখানে ২৪ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে এটি রয়েছে ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে।”

আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসেরও বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা থাকা উচিত। বর্তমানে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম।

বাংলাদেশের তিন বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ঋণ চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে শিখা আরও বলেন, “ম্যাক্রো স্ট্যাবিলিটি, এক্সচেঞ্জ রেট, এবং ফরেন রিজার্ভ বিষয়ে আইএমএফ তাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।”

এর আগে, আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন, আর্থিক লেনদেন পরিস্থিতি, এবং অতিরিক্ত ঋণ চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে।

বর্তমানে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া সম্ভব কি না তা পর্যালোচনা করতে ঢাকায় অবস্থান করছে। এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপার্জিওর।

আইএমএফের দলটি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে এবং সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন ঋণ অনুমোদন নিয়েও আলোচনা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, এবারের বৈঠকে কর আদায় বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হবে, পাশাপাশি কম ঋণ গ্রহণ এবং ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।