ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরি: একটি বিশ্লেষণ

- Update Time : ১১:০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১১৪ Time View
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সমর্থনে কাজ করা মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের সময়ে যে রঙ বদলের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে, তা সমাজে গভীর সংকেত প্রেরণ করেছে। এসব কৌশলের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, মিডিয়ার সংস্কার এখন কতটা জরুরি।
বিপ্লবের রং ও ফ্যাসিবাদের প্রতীকী ব্যবহার
জুলাই বিপ্লবীরা তাদের সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে লাল রং বেছে নেয়, যা ঐতিহাসিকভাবে বিপ্লব ও পরিবর্তনের প্রতীক। অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদীরা কালো রংকে তাদের আদর্শের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। এই রঙের ব্যবহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত পরিধানেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগস্ট মাসে বিপ্লব যখন পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন হঠাৎ করেই শুরু হয় রং পরিবর্তনের এক নজিরবিহীন নাটক। ফ্যাসিবাদী সমর্থকরা নিজেদের পূর্বের কালো রঙের পোস্ট মুছে ফেলে বা শুধুমাত্র ‘অনলি মি’ করে রেখে লাল রঙকে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে বেছে নেয়। এই রং পরিবর্তনের মিছিলে যোগ দেয় তথাকথিত ফ্যাসিবাদী দোসর হিসেবে পরিচিত মিডিয়া লীগও, যারা বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
মিডিয়া লীগের ভূমিকা: একটি বিশ্লেষণ
বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিডিয়া লীগ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তারা আওয়ামী লীগের শাসনামল এবং মুজিব পরিবারকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখতে সচেষ্ট ছিল। এই মিডিয়াগুলো এমন একটি নীতি অনুসরণ করেছে, যেখানে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করাকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়। তারা দেশজুড়ে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছে যে, শেখ হাসিনা ও তার শাসনামলকে প্রশ্ন করা মানেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। ফলে, এটি দেশব্যাপী একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের জন্ম দিয়েছে, যেখানে সকল বিরোধিতার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই মিডিয়া লীগ আওয়ামী লীগকে প্রশ্নহীনভাবে সমর্থন করে এসেছে এবং তাদের প্রতিটি কার্যক্রমকে প্রশংসার চাদরে ঢেকে রেখে আসছে। এক্ষেত্রে মুজিব পরিবারের প্রতিকৃতি এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে তাদের সমালোচনা করা একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই মনোভাব সমাজে একটি ফ্যাসিবাদী চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছে, যেখানে ভিন্নমতের প্রতি কোনো সহিষ্ণুতা ছিল না।
মিডিয়ার রং বদলের কৌশল
জুলাই বিপ্লবের পরপরই মিডিয়া লীগের পরিচিত মুখগুলো হঠাৎ করে তাদের অবস্থান পাল্টে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে। এটি তারা কোনো আদর্শগত উপলব্ধি থেকে করেনি; বরং নিজেদের স্বার্থরক্ষার্থে এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকার জন্য তারা এই রং বদল করেছে। ৫ আগস্টের পরিবর্তন ছিল একটি বৈপ্লবিক ঘটনা, যা স্বাভাবিক সরকার পরিবর্তন নয়।
এ ধরনের বিপ্লব বিরল, এবং এর পরে বিভিন্ন প্রতিপক্ষের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু এসব মিডিয়া আগের অবস্থান থেকে নিজেদের পাল্টে নিয়ে এখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, যেখানে ফ্যাসিবাদী আমলে তারা নীরব ছিল।
গণমাধ্যমের দ্বিমুখী নীতি
গণমাধ্যমের দ্বিমুখী নীতি বরাবরই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারা নীরব ছিল। কিন্তু আজ তোফাজ্জল ইস্যুতে তারা সরব। একইভাবে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুট, এবং মেগা দুর্নীতির মতো গুরুতর বিষয়গুলোতে তারা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি, মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনাদের অপরাধের দায়ে বাঙালি সন্তানদের কোণঠাসা করা হয়েছে, কিন্তু এসব মিডিয়া সেই সময় কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
আজ যখন ফ্যাসিবাদী আমলে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে তারা বড় আকারে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, তখন এটি একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে তারা আদর্শিক পরিবর্তনের চেয়ে নিজেদের রক্ষার জন্য কাজ করছে। আবরারের হত্যাকাণ্ডের মত স্পষ্ট অন্যায় নিয়ে তারা নিরব ছিল, কিন্তু আজ নানা অজুহাতে বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক তৈরি করছে।
মিডিয়া সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান সরকার বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে মিডিয়া লীগের ক্ষেত্রে এখনো কোনো প্রকৃত সংস্কার দেখা যায়নি। মিডিয়া যদি সংস্কার না হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের সমস্ত সংস্কার প্রয়াস ব্যর্থ হতে পারে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার নামে যে ফ্যাসিবাদী দোসররা মিডিয়াকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
একটি সুনির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজন
ফ্যাসিবাদী দোসর হিসেবে পরিচিত মিডিয়ার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করা, যা গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা, এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবে। এই নীতির মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রবাহ ও সাংবাদিকতার নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যাতে কোনও ফ্যাসিবাদী চিন্তা বা আদর্শ মিডিয়া ব্যবহার করে সমাজকে বিভ্রান্ত করতে না পারে।
আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় মিডিয়া লীগের রং বদলের কৌশল এবং তাদের দ্বিমুখী নীতি আমাদের জন্য একটি জাগ্রত সংকেত। দেশের ভবিষ্যত ও গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার জন্য মিডিয়া সংস্কার সময়ের দাবি, অন্যথায় মিডিয়ার চরিত্রহীন এই কৌশল জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
Please Share This Post in Your Social Media

ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরি: একটি বিশ্লেষণ

বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সমর্থনে কাজ করা মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের সময়ে যে রঙ বদলের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে, তা সমাজে গভীর সংকেত প্রেরণ করেছে। এসব কৌশলের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, মিডিয়ার সংস্কার এখন কতটা জরুরি।
বিপ্লবের রং ও ফ্যাসিবাদের প্রতীকী ব্যবহার
জুলাই বিপ্লবীরা তাদের সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে লাল রং বেছে নেয়, যা ঐতিহাসিকভাবে বিপ্লব ও পরিবর্তনের প্রতীক। অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদীরা কালো রংকে তাদের আদর্শের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। এই রঙের ব্যবহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত পরিধানেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগস্ট মাসে বিপ্লব যখন পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন হঠাৎ করেই শুরু হয় রং পরিবর্তনের এক নজিরবিহীন নাটক। ফ্যাসিবাদী সমর্থকরা নিজেদের পূর্বের কালো রঙের পোস্ট মুছে ফেলে বা শুধুমাত্র ‘অনলি মি’ করে রেখে লাল রঙকে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে বেছে নেয়। এই রং পরিবর্তনের মিছিলে যোগ দেয় তথাকথিত ফ্যাসিবাদী দোসর হিসেবে পরিচিত মিডিয়া লীগও, যারা বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
মিডিয়া লীগের ভূমিকা: একটি বিশ্লেষণ
বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিডিয়া লীগ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তারা আওয়ামী লীগের শাসনামল এবং মুজিব পরিবারকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখতে সচেষ্ট ছিল। এই মিডিয়াগুলো এমন একটি নীতি অনুসরণ করেছে, যেখানে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করাকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়। তারা দেশজুড়ে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছে যে, শেখ হাসিনা ও তার শাসনামলকে প্রশ্ন করা মানেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। ফলে, এটি দেশব্যাপী একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের জন্ম দিয়েছে, যেখানে সকল বিরোধিতার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই মিডিয়া লীগ আওয়ামী লীগকে প্রশ্নহীনভাবে সমর্থন করে এসেছে এবং তাদের প্রতিটি কার্যক্রমকে প্রশংসার চাদরে ঢেকে রেখে আসছে। এক্ষেত্রে মুজিব পরিবারের প্রতিকৃতি এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে তাদের সমালোচনা করা একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই মনোভাব সমাজে একটি ফ্যাসিবাদী চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছে, যেখানে ভিন্নমতের প্রতি কোনো সহিষ্ণুতা ছিল না।
মিডিয়ার রং বদলের কৌশল
জুলাই বিপ্লবের পরপরই মিডিয়া লীগের পরিচিত মুখগুলো হঠাৎ করে তাদের অবস্থান পাল্টে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে। এটি তারা কোনো আদর্শগত উপলব্ধি থেকে করেনি; বরং নিজেদের স্বার্থরক্ষার্থে এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় টিকে থাকার জন্য তারা এই রং বদল করেছে। ৫ আগস্টের পরিবর্তন ছিল একটি বৈপ্লবিক ঘটনা, যা স্বাভাবিক সরকার পরিবর্তন নয়।
এ ধরনের বিপ্লব বিরল, এবং এর পরে বিভিন্ন প্রতিপক্ষের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু এসব মিডিয়া আগের অবস্থান থেকে নিজেদের পাল্টে নিয়ে এখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, যেখানে ফ্যাসিবাদী আমলে তারা নীরব ছিল।
গণমাধ্যমের দ্বিমুখী নীতি
গণমাধ্যমের দ্বিমুখী নীতি বরাবরই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারা নীরব ছিল। কিন্তু আজ তোফাজ্জল ইস্যুতে তারা সরব। একইভাবে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুট, এবং মেগা দুর্নীতির মতো গুরুতর বিষয়গুলোতে তারা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি, মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনাদের অপরাধের দায়ে বাঙালি সন্তানদের কোণঠাসা করা হয়েছে, কিন্তু এসব মিডিয়া সেই সময় কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
আজ যখন ফ্যাসিবাদী আমলে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে তারা বড় আকারে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, তখন এটি একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে তারা আদর্শিক পরিবর্তনের চেয়ে নিজেদের রক্ষার জন্য কাজ করছে। আবরারের হত্যাকাণ্ডের মত স্পষ্ট অন্যায় নিয়ে তারা নিরব ছিল, কিন্তু আজ নানা অজুহাতে বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক তৈরি করছে।
মিডিয়া সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান সরকার বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে মিডিয়া লীগের ক্ষেত্রে এখনো কোনো প্রকৃত সংস্কার দেখা যায়নি। মিডিয়া যদি সংস্কার না হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের সমস্ত সংস্কার প্রয়াস ব্যর্থ হতে পারে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার নামে যে ফ্যাসিবাদী দোসররা মিডিয়াকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
একটি সুনির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজন
ফ্যাসিবাদী দোসর হিসেবে পরিচিত মিডিয়ার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করা, যা গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা, এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবে। এই নীতির মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রবাহ ও সাংবাদিকতার নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যাতে কোনও ফ্যাসিবাদী চিন্তা বা আদর্শ মিডিয়া ব্যবহার করে সমাজকে বিভ্রান্ত করতে না পারে।
আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় মিডিয়া লীগের রং বদলের কৌশল এবং তাদের দ্বিমুখী নীতি আমাদের জন্য একটি জাগ্রত সংকেত। দেশের ভবিষ্যত ও গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার জন্য মিডিয়া সংস্কার সময়ের দাবি, অন্যথায় মিডিয়ার চরিত্রহীন এই কৌশল জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।