কমলা হ্যারিস জয়ী হলে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক

- Update Time : ১১:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৮৯ Time View
মার্কিন নির্বাচনী জরিপে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে, ট্রাম্পের সমর্থক ও শীর্ষ বিনিয়োগকারী জন পলসন, যিনি পলসন অ্যান্ড কোং-এর প্রতিষ্ঠাতা, হুমকি দিয়েছেন যে হ্যারিস নির্বাচিত হলে তিনি বাজার থেকে তার বিনিয়োগ তুলে নেবেন।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পলসন কমলা হ্যারিসের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে বলেন, “হ্যারিসের প্রস্তাবিত নীতিগুলো বাজারে আতঙ্ক তৈরি করবে, মানুষকে সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য করবে এবং শেষ পর্যন্ত মন্দার দিকে নিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “হ্যারিস জয়ী হলে আমি আমার বিনিয়োগ বাজার থেকে তুলে নেব। আমি নগদে লেনদেন করবো এবং স্বর্ণে বিনিয়োগ করবো, কারণ আমি মনে করি তার নীতিগুলো বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।” এছাড়া, পলসন উল্লেখ করেন যে, “হ্যারিস ১০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদের মালিকদের জন্য ২৫ শতাংশ করের প্রস্তাব দিয়েছেন। যদি এটি কার্যকর হয়, তাহলে এটি শেয়ার, ঋণপত্র, বাড়ি, শিল্পকলা সহ বিভিন্ন সম্পদের ব্যাপক বিক্রির কারণ হবে।”
টেসলার সিইও ইলন মাস্কও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “ওয়ারেন বাফেট ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।” মাস্কের এই মন্তব্য মার্কিন বাজারের জন্য আরও উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়।
মে মাসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় বার্কশায়ারের প্রধান বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বলেছিলেন, “অ্যাপলের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত ছিল কর পরিশোধ ও অনিশ্চয়তার সময়ে নগদ অর্থ সঞ্চয়ের পরিকল্পনার অংশ।” জুন মাসের শেষ দিকে বার্কশায়ারের নগদ অর্থের মজুদ ছিল ২৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এছাড়া, বাফেট তার আরেকটি প্রধান বিনিয়োগ স্টক ব্যাংক অফ আমেরিকা কর্পোরেশনে অংশীদারিত্বও হ্রাস করেছেন।
সূত্র: বেঞ্জিঙ্গা।
Please Share This Post in Your Social Media

কমলা হ্যারিস জয়ী হলে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক

মার্কিন নির্বাচনী জরিপে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে, ট্রাম্পের সমর্থক ও শীর্ষ বিনিয়োগকারী জন পলসন, যিনি পলসন অ্যান্ড কোং-এর প্রতিষ্ঠাতা, হুমকি দিয়েছেন যে হ্যারিস নির্বাচিত হলে তিনি বাজার থেকে তার বিনিয়োগ তুলে নেবেন।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পলসন কমলা হ্যারিসের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে বলেন, “হ্যারিসের প্রস্তাবিত নীতিগুলো বাজারে আতঙ্ক তৈরি করবে, মানুষকে সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য করবে এবং শেষ পর্যন্ত মন্দার দিকে নিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “হ্যারিস জয়ী হলে আমি আমার বিনিয়োগ বাজার থেকে তুলে নেব। আমি নগদে লেনদেন করবো এবং স্বর্ণে বিনিয়োগ করবো, কারণ আমি মনে করি তার নীতিগুলো বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।” এছাড়া, পলসন উল্লেখ করেন যে, “হ্যারিস ১০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদের মালিকদের জন্য ২৫ শতাংশ করের প্রস্তাব দিয়েছেন। যদি এটি কার্যকর হয়, তাহলে এটি শেয়ার, ঋণপত্র, বাড়ি, শিল্পকলা সহ বিভিন্ন সম্পদের ব্যাপক বিক্রির কারণ হবে।”
টেসলার সিইও ইলন মাস্কও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “ওয়ারেন বাফেট ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।” মাস্কের এই মন্তব্য মার্কিন বাজারের জন্য আরও উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়।
মে মাসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় বার্কশায়ারের প্রধান বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বলেছিলেন, “অ্যাপলের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত ছিল কর পরিশোধ ও অনিশ্চয়তার সময়ে নগদ অর্থ সঞ্চয়ের পরিকল্পনার অংশ।” জুন মাসের শেষ দিকে বার্কশায়ারের নগদ অর্থের মজুদ ছিল ২৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এছাড়া, বাফেট তার আরেকটি প্রধান বিনিয়োগ স্টক ব্যাংক অফ আমেরিকা কর্পোরেশনে অংশীদারিত্বও হ্রাস করেছেন।
সূত্র: বেঞ্জিঙ্গা।