হাসিনার ভিসার মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন

- Update Time : ০৫:৩২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১১২ Time View
গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট তারিখে বোন শেখ রেহানার সঙ্গে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ আজ, ২০ সেপ্টেম্বর, শেষ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ভারতে তার বৈধ অবস্থানের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ এবং আলোচনা চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে কোন আইনে ভারতে রাখা হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জানান, যদিও শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিছু মহল ধারণা করছে যে শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশের সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে, তাই এখন ভারতে তার অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটি ভারতের সরকারের হাতে রয়েছে।
জি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, তারা জানেন না কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। ঢাকা এই বিষয়টি নিয়ে ভারত থেকে কোনো তথ্য প্রাপ্তির চেষ্টা করেনি। ভারত যে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার অধিকার রাখে, এবং এটি ভারতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো উচিত। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং সেখান থেকে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনা যদি চুপ থাকতেন, তাহলে বিষয়টি ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনি ভারতে থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন, যা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অববন্ধুসুলভ আচরণ। তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন গণরোষ এবং অভ্যুত্থানের কারণে এবং সেখান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।”
এভাবে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে রাজনৈতিক মহল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
Please Share This Post in Your Social Media

হাসিনার ভিসার মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন

গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট তারিখে বোন শেখ রেহানার সঙ্গে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ আজ, ২০ সেপ্টেম্বর, শেষ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ভারতে তার বৈধ অবস্থানের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ এবং আলোচনা চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে কোন আইনে ভারতে রাখা হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জানান, যদিও শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিছু মহল ধারণা করছে যে শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশের সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে, তাই এখন ভারতে তার অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটি ভারতের সরকারের হাতে রয়েছে।
জি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, তারা জানেন না কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। ঢাকা এই বিষয়টি নিয়ে ভারত থেকে কোনো তথ্য প্রাপ্তির চেষ্টা করেনি। ভারত যে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার অধিকার রাখে, এবং এটি ভারতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো উচিত। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং সেখান থেকে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনা যদি চুপ থাকতেন, তাহলে বিষয়টি ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনি ভারতে থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন, যা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অববন্ধুসুলভ আচরণ। তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন গণরোষ এবং অভ্যুত্থানের কারণে এবং সেখান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।”
এভাবে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে রাজনৈতিক মহল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।