সময়: বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি মসজিদ নিয়ে কেন বিতর্ক?

ডিজিটাল ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৩৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৪ Time View

মাণ্ডির যে মসজিদকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

মাণ্ডির যে মসজিদকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

 

ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলায় একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিতর্ক আপাতত প্রশমিত হলেও এই ঘটনায় যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের অনেক জায়গায় মানুষ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে।

গত সপ্তাহের শুক্রবার যখন রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল সিমলায় শান্তির জন্য আবেদন জানাচ্ছিল, তখন মাণ্ডি জেলার কয়েক দশকের পুরনো একটি মসজিদের কাছে কিছু হিন্দু সংগঠনের কর্মী এবং স্থানীয় লোকজন ‘হনুমান চালিশা’ পাঠ করে প্রতিবাদ জানায়। তাঁদের অভিযোগ, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে। তবে মাণ্ডির জেলাশাসক অপূর্ব দেবগন জানান, ওই জেলায় কোনো উত্তেজনা নেই।

শনিবার সিমলার রামপুর, সুন্নি, এবং কুল্লু জেলার বিভিন্ন জায়গায় একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি মসজিদের কাছেই হনুমান চালিশা পাঠ করে প্রতিবাদ জানায়।

মাণ্ডিতে এই ঘটনা ঘটে ১৩ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার। স্থানীয় লোকজন এবং হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা মাণ্ডির জেল রোডের মসজিদের সামনে জড়ো হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন সেখানে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করে এবং মসজিদের কাছে পৌঁছানোর আগেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়। সেখানেই তাঁরা হনুমান চালিশা পাঠ করে প্রতিবাদ জানান। মাণ্ডি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কারণ মসজিদের দ্বিতীয়তল অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে, এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদ থেকে। ২ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় মসজিদের কাছে বিক্ষোভ শুরু হয়, যখন স্থানীয় বাসিন্দা যশপালের সঙ্গে কয়েকজন মুসলিম যুবকের বিরোধের ঘটনা ঘটে। এরপর মসজিদে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে এবং ১১ই সেপ্টেম্বর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মাণ্ডিতে এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া গোপাল কাপুর জানান, সিমলার ঘটনা মাণ্ডির লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। মাণ্ডির মসজিদে বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তথ্য না থাকলেও, ইমাম ইকবাল আলীর দাবি অনুযায়ী, অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

মাণ্ডির জেলাশাসক অপূর্ব দেবগন জানান, মসজিদ নিয়ে চলা বিতর্ক এখন পুরোপুরি প্রশমিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি মসজিদ নিয়ে কেন বিতর্ক?

Update Time : ১০:৩৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মাণ্ডির যে মসজিদকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

 

ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলায় একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিতর্ক আপাতত প্রশমিত হলেও এই ঘটনায় যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের অনেক জায়গায় মানুষ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে।

গত সপ্তাহের শুক্রবার যখন রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল সিমলায় শান্তির জন্য আবেদন জানাচ্ছিল, তখন মাণ্ডি জেলার কয়েক দশকের পুরনো একটি মসজিদের কাছে কিছু হিন্দু সংগঠনের কর্মী এবং স্থানীয় লোকজন ‘হনুমান চালিশা’ পাঠ করে প্রতিবাদ জানায়। তাঁদের অভিযোগ, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে। তবে মাণ্ডির জেলাশাসক অপূর্ব দেবগন জানান, ওই জেলায় কোনো উত্তেজনা নেই।

শনিবার সিমলার রামপুর, সুন্নি, এবং কুল্লু জেলার বিভিন্ন জায়গায় একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি মসজিদের কাছেই হনুমান চালিশা পাঠ করে প্রতিবাদ জানায়।

মাণ্ডিতে এই ঘটনা ঘটে ১৩ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার। স্থানীয় লোকজন এবং হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা মাণ্ডির জেল রোডের মসজিদের সামনে জড়ো হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন সেখানে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করে এবং মসজিদের কাছে পৌঁছানোর আগেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়। সেখানেই তাঁরা হনুমান চালিশা পাঠ করে প্রতিবাদ জানান। মাণ্ডি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কারণ মসজিদের দ্বিতীয়তল অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে, এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদ থেকে। ২ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় মসজিদের কাছে বিক্ষোভ শুরু হয়, যখন স্থানীয় বাসিন্দা যশপালের সঙ্গে কয়েকজন মুসলিম যুবকের বিরোধের ঘটনা ঘটে। এরপর মসজিদে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে এবং ১১ই সেপ্টেম্বর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মাণ্ডিতে এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া গোপাল কাপুর জানান, সিমলার ঘটনা মাণ্ডির লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। মাণ্ডির মসজিদে বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তথ্য না থাকলেও, ইমাম ইকবাল আলীর দাবি অনুযায়ী, অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

মাণ্ডির জেলাশাসক অপূর্ব দেবগন জানান, মসজিদ নিয়ে চলা বিতর্ক এখন পুরোপুরি প্রশমিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি