ভারত-চীন কী এক হচ্ছে?

- Update Time : ০৩:০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১১৬ Time View

গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পিটিআই, দ্য হিন্দু, এবং সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
বৈঠকে সীমান্ত ইস্যুতে সাম্প্রতিক অগ্রগতিও আলোচিত হয়। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন ও ভারতের মতো দুটি প্রাচীন পূর্ব সভ্যতা এবং উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশের উচিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা, ঐক্য ও সহযোগিতা বেছে নেওয়া, এবং একে অপরকে ‘গ্রাস করা’ থেকে বিরত থাকা। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আবারো ভালো অবস্থায় ফিরে আসবে।
অন্যদিকে, অজিত দোভাল উল্লেখ করেছেন যে ভারত ও চীনের উচিত নিজেদের এবং তাদের অভিন্ন উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, ২৮০ কোটি ভারতীয় ও চীনারা একসঙ্গে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৈঠক সম্পর্কে জানিয়েছেন, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সম্পর্ক উন্নতির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন এবং এ জন্য উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর দাবি করেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশিরভাগ জায়গায়, যেখানে সংঘাত হয়েছিল, ৭৫ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। জয়শংকরের এই দাবির পর, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লাদাখে পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেইজিং আরও দাবি করেছে যে তারা গালওয়ানসহ চারটি জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে।
Please Share This Post in Your Social Media

ভারত-চীন কী এক হচ্ছে?


গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পিটিআই, দ্য হিন্দু, এবং সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
বৈঠকে সীমান্ত ইস্যুতে সাম্প্রতিক অগ্রগতিও আলোচিত হয়। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন ও ভারতের মতো দুটি প্রাচীন পূর্ব সভ্যতা এবং উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশের উচিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা, ঐক্য ও সহযোগিতা বেছে নেওয়া, এবং একে অপরকে ‘গ্রাস করা’ থেকে বিরত থাকা। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আবারো ভালো অবস্থায় ফিরে আসবে।
অন্যদিকে, অজিত দোভাল উল্লেখ করেছেন যে ভারত ও চীনের উচিত নিজেদের এবং তাদের অভিন্ন উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, ২৮০ কোটি ভারতীয় ও চীনারা একসঙ্গে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৈঠক সম্পর্কে জানিয়েছেন, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সম্পর্ক উন্নতির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন এবং এ জন্য উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর দাবি করেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশিরভাগ জায়গায়, যেখানে সংঘাত হয়েছিল, ৭৫ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। জয়শংকরের এই দাবির পর, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লাদাখে পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেইজিং আরও দাবি করেছে যে তারা গালওয়ানসহ চারটি জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে।