যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

- Update Time : ১০:২৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭৯ Time View

সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তার মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম থাকা, সেখানে বিনিয়োগ এবং দুবাইতে ব্যবসা ও রেসিডেন্সি নিয়েও সমালোচনা চলছে। এর মাঝেই শোনা যাচ্ছে, যেকোনো সময় রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যেতে পারেন তিনি, এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা যেকোনো সময় রাষ্ট্রের উচ্চতম দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলে আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের দায়ে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগের পর, আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারক হিসেবে মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। তবে আড়াই মাসের মধ্যেই, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই দিনে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা আপিল বিভাগের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

ওয়াহহাব মিঞা ১৯৭৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ আমলে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে তিনি ২০০১ সালে স্থায়ী বিচারক হন এবং ২০১১ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
Please Share This Post in Your Social Media

যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন


সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তার মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম থাকা, সেখানে বিনিয়োগ এবং দুবাইতে ব্যবসা ও রেসিডেন্সি নিয়েও সমালোচনা চলছে। এর মাঝেই শোনা যাচ্ছে, যেকোনো সময় রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যেতে পারেন তিনি, এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা যেকোনো সময় রাষ্ট্রের উচ্চতম দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলে আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের দায়ে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগের পর, আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারক হিসেবে মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। তবে আড়াই মাসের মধ্যেই, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই দিনে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা আপিল বিভাগের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

ওয়াহহাব মিঞা ১৯৭৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ আমলে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে তিনি ২০০১ সালে স্থায়ী বিচারক হন এবং ২০১১ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।